চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন কাং ১৩ মার্চ পেইচিংয়ে বলেছেন, চীন জাতিসংঘ সনদের মর্ম ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির ভিত্তিতে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন এবং মিলিতভাবে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে ইচ্ছুক।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে সিনজো ১২ মার্চ টোকিওতে বলেছেন, অবিলম্বে জাপান ও অষ্ট্রেলিয়ার স্বাক্ষরিত নিরাপত্তার নিশ্চয়তাবিধান সংক্রান্ত যৌথ ঘোষণা চীনের বিরুদ্ধে নয়। এই বিষয়ে সংবাদদাতার সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তরে ছিন কাং বলেছেন, চীন আশা করে, সংশ্লিষ্ট এক দেশ দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করবে এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো ছাড়াও এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ত্বরান্বিত করার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
ছিন কাং পুনরায় ঘোষণা করেছেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করবে। চীনের প্রতিরক্ষা নির্মাণ শুধু প্রতিরক্ষামূলক। চীন প্রতিরক্ষার আধুনিকীকরণ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য অন্য দেশকে আগ্রাসন ও হুঁশিয়ার করা নয় এবং বিদেশে তার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ তাও নয়, এটি শুধু পুরোপুরিভাবে নিজের নিরাপত্তা, ভূভাগের অখন্ডতা ও বিকাশের স্বার্থ রক্ষার জন্যই। চীন আশা করে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বাস্তব তাকে মেনে নিয়ে চীনের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা নীতিকে উপলব্ধি করবে।
|