এসব বুড়ো "ছাত্রছাত্রীদের" মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনার অবস্থা দেখে তাদের শিক্ষক ছাও ইয়াং আদালত থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক ওয়াং লি ইং বলেছেন:
"তাদের বয়স বেশি হয়েছে, কয়েক জনের বয়স ৮০ বছরেরও বেশি। কিন্তু পড়াশোনার সময় যেন যুবকযুবতীদের মতো মনযোগ দিয়ে শোনছেন এমন মনভাব দেখে আমি খুব মুগ্ধ হয়েছি। আমি আগে জানতাম না যে তারা ইংরেজী শিখতে এতো আগ্রহী। প্রথম দিকে ভাবতাম তারা শুধু কিছু শব্দ শিখলেই যথেষ্ট। কিন্তু পরে দেখেছি শিখার সময় যদি কোনো সমস্যা থাকে তারা তা পুরোপুরি বোঝার পর আমকে ছাড়বে। তাদের বয়স বেশি হয়েছে, স্মরণ শক্তি তেমন ভাল নয়। হয়তো আজকের শিক্ষা দেয়া বিষয়গুলো আগামিকাল ভুলে যাবে। আমি বার বার করে তাদের বলে শুনাই এবং তারা বার বার করে তা মনে রাখার চেষ্টা করেন। তাদের শেখার ইচ্ছা আছে, ক্লাসে আমরা খুব আনন্দ পাই।"
২০০৭ সাল হলো অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি কাজ করার মূল বছর। বিশেষ করে চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে একটি অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য পরিসেবা ও অংশ নেয়ার তত্পরতা শুরু হয়েছে। পেইচিংয়ের অধিবাসীরা ভিষণ আগ্রহ নিয়ে এই তত্পরতায় অংশ নিচ্ছে। তারা মনে করে একটি উচ্চ মানের এবং চমত্কার অলিম্পিক গেমস আয়োজন প্রতিটি অধিবাসীর সঙ্গে জড়িত। সবার প্রচেষ্টায় কেবল অলিম্পিক গেমস সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব।
এখন চীনে দশম রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন ও জাতীয় গণ কংগ্রেসের অধিবেশন চলছে। আমাদের সংবাদদাতা চীনের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রতিনিধি, চীনের বিখ্যাত পিংপাং খেলার ক্রীড়াবিদ তেং ইয়া ফিং'র সাক্ষাত্কার নিয়েছে। অলিম্পিক গেমসের জন্য এতো বেশি লোক প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এতো আগ্রহী লোক দেখে তেং ইয়া ফিং খুবই খুশি। তিনি বলেছেন:
"আমি মনে করি এটা এক রকম চীনা জনগণের মনের গৌরব এবং মাতৃভূমির উপরে দায়িত্বশীল মনভাব। আমরা স্মরণ করে দেখি, চীন অলিম্পিক আয়োজনের অধিকার পাওয়ার সময়ে ৫ লাখেরও বেশি পেইচিংয়ের অধিবাসী নিজ নিজ বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে এসে হয় থিয়ান আন মেন চত্বরে জমাতে হয়ে আনন্দ উদযাপন করেছেন। গৌরব বা ভালবাসের শক্তিতে তারা এমন একটি কাজ করেছে? তারা মনে করে এটি আমাদের জাতি ও সারা দেশের একটি সাফল্য। আমার একজন বিদেশী বন্ধু বলেছেন, চীনা মানুষরা যেন জন্ম নেয়ার প্রথম দিকেই নিজের জাতি ও দেশের প্রতি গৌরব ও ভালবাসা ধারণ করে থাকে। বুড়োদের ইংরেজি ভাষা শেখার আগ্রহ থেকে দেখা যায়, চীনা নাগরিকরা অলিম্পিক গেমস নিয়ে কত গৌরব ও আনন্দ বোধ করে। এই আগ্রহ তাদের দেশ ও সমাজের দায়িত্ব ও গৌরবের প্রতীক।"
আন হু লি অঞ্চলের বয়সী অধিবাসীরা নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি কাজের জন্য অবদান রেখেছেন। তারা এই কাজের জন্য আনন্দ ও গৌরব বোধ করেন। অবশেষে আমরা একসঙ্গে শুনি তাদের শিখা ইংরেজী ভাষার মাধ্যমে তাদের মনের কথা: "প্রিয় বিদেশী বন্ধুরা, ২০০৮ সালে চীনের পেইচিংয়ে স্বাগতম!"
|