v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-06 20:18:24    
চিঠির সারাংশ--০৬/০৩/০৭

cri
    বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার সবুজ বেতার শ্রোতা সংঘের শ্রোতা সকাল আহমেদ শাহীন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' সি আর আই এর বাংলা বিভাগের সাথে জড়িত সবাইকে জানায় আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আমি আপনাদের অনুষ্ঠান প্রচার সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। আপনাদের অনুষ্ঠান খুব স্পষ্টভাবে শোনা যায়, মনে হয় পেন এফ এম এ শুনছি। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন হয় যে কিছুই শোনা যায়না। তখন অনুষ্ঠান শুনতে এতো কষ্ট হয় তা বোঝাতে পাবো না। যদি কোনদিন অনুষ্ঠান না শোনা যায় হাহলে খুব কষ্ট হয়। এমন হয় কেন জানাবেন। আর বর্তমানে নাকি অনুষ্ঠান চার বার প্রচার হচ্ছে। তার মধ্যে রাতে তিন বার ও সকালে এক বার। কিন্তু আমি রাতে দুই বারও সকালে একবার মোট তিন বার শুনতে পাচ্ছি। চার বার শুনতে পাচ্ছিনা। তাই চার বার প্রচার না করে আগের মতে তিন বার প্রচার করাই ভাল। বন্ধু সকাল আহমেদ শাহীন , আপনাকে ধন্যবাদজানাছি আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শোনার জন্যে । আপনার চিঠিতে আপনি বলেছেন, মাঝে মাঝে আমাদের অনুষ্ঠান স্পষ্টভাবে শুনতে পারেন না। এর কারণ কি আমরাও ঠিক মতো বলতে পারি না। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে আপনার মতামত পৌছে দেবো। আমার মনে হয় এতে কোনকারিগরির সমস্যা রয়েছে। চিঠিতে আপনি বলেছেন, আপনি আমাদের অনুষ্ঠান চার বার শুনতে পারেন না। এটা খুব দু:খের ব্যাপার। আপনি আমাদের চার বার না করে তিন বার প্রচারের অনুরোধ করেছেন। আপনার প্রস্তাব বোধ্যগম্য। কিন্তু বাংলা বিভাগ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সুতরাং আপনার সমঝোতা দরকার।

    বাংলাদেশের সিরাজগঙ্গ জেলার সুর্য তরুন বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি মো: আলমাছ আলী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি সি আর আই এর এজন নতুন শ্রোতা, ভাইয়া আমি সি আর আই কে অনেক ভালবেসে এসেছি। তার পরও আমি একটা নতুন ক্লাব খুলেছি্ আমার প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে এবং আরো অনেক শ্রোতা আছে ধীরে ধীরে তাদেরকেই আমার ক্লাবে ভর্তি করব, আমি যদি তোমাদের কাছে সবদিক থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা না পাই তাহলে আমার এ সপ্ন সত্য হবেনা। তাই ভাইয়া তোমাদের কাছে আমার কিছু চাওয়া আছে, যেমন প্রথমে আমাদের ক্লাবকে গ্রহন করা , এবং আমার চিঠির উত্তর দেওয়া। বন্ধু আলমাছ আলী , প্রথমে আমি বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে আপনার ক্লাবকে গ্রহণ করি। আপনার চিঠির উত্তর দেয়ার পরিবর্তে আজ আপনার চিঠি আমাদের এই অনুষ্ঠানে পড়ে শুনিয়েছি। আশা করি, আপনার এই ক্লাবের সদস্যের সংখ্যা দিন দিন বাড়বে। আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনবেন। যদি আমাদের অনুষ্ঠান সম্বন্ধে কোনমতামত ও প্রশ্নথাকে তাহলে চিঠি লিখে জানাবেন ।

    বাংলাদেশের পাবনা জেলার শ্রোতা মাসুদ রানা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি বাংলা বিভাগের একজন নিয়মিত শ্রোতা। কিন্তু অত্যন্ত ব্যাথা ভরা হৃদয় নিয়ে আজ এই চিঠি লিখতে বসেছি। কারণ একে একে ৪/৫টা চিঠি সি আর আই এর ঠিকানায় পাঠিয়েছি। কিন্তু একটা চিঠিরও প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়নি। উত্তর দেওয়া দুরের কথা। এতে আমি খুব হতাশ হয়েছি। আমার মনে হয় নতুন শ্রোতা বলেই আমাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অথবা আমার পাঠানো চিঠি ঠিক জায়গায় পৌছায় না। কাজেই এই চিঠির যদি উত্তর না দেওয়া হয় তাহলে বাধ্য হয়েই আমাকে চিঠি লেখা বন্ধ করে দিতে হবে। কিন্তু আমি নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে থাব। আমাকে নতুন অনুষ্ঠান সূচি ও সি আর আই থেকে প্রকাশিত ' আমি তুমি ও সে ' পত্রিকা প্রদান করলে খুব খুশি হব। বন্ধু মাসুদ রানা , আপনার চিঠি পড়ে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। আপনি আমাদেরকে একধানা কয়েকটি চিঠি লিখেছেন , কিন্তু এখন পযর্ন্ত আপনি আমাদের কাছ থেকে একটি চিঠিও পাননি। এখানে আমাকে আপনাকে ব্যাখ্যাকরতে হবে । প্রত্যেক দিন বাংলা বিভাগ বাংলাদেশ আর ভারত থেকে অনেক চিঠি পেয়ে থাকে। কিন্তু জনশক্তির অভাব রয়েছে বলে অনেক চিঠি পড়া হয়নি। বর্তমানেআমাদের বাংলা বিভাগের অভিসে অনেক চিঠি স্তুপিতহয়েছে। আপনার লেখা সব চিঠিগুলো আমাদের হাতে আসে নি। সুভাগ্যক্রমে আপনার এই চিঠি আমাদের নজরে পড়েছে। সুতরাং আজকের এই অনুষ্ঠানে আপনার চিঠি পড়ে শোনার সম্ভাবনা হয়েছে।অনুষ্ঠানে আপনার চিঠি পড়তে শুনে কেমন লাগছে? আপনি চিঠি লিখতে মোটেই বন্ধ করবেন না, বরং আগের মতো ভবিষ্যতেও আমাদের কাছে চিঠি পাঠাবেন। কোন মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখে জানাবেন।

    বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার শ্রোতা এম,এম, লোগাম সারোয়ার তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি যত ব্যস্তায় থাকিনা কেন, সি আর আই যেন আমার প্রতিটি নি:শ্বাসে প্রতিধ্বনীত হয়। তাই সি আর আইকে ভুলতে পারিনা। আমি শ্রোতা হিসেবে এ টুটুও বলতে পারি যে, সি আর আই আমার ব্যস্ত সময়েরও ক্ষাখী। সুখে-দু:খে এবং ব্যস্ততায় সি আর আই যেন আমার সব সময়ে প্রেরনা, উত্সাহ আর হৃদয় আনন্দিত করে। এ জন্যেই তো সি আর আই আমার জীবনের সঙ্গে মিশে আছে। সেই ছোট বেলায় সি আর আইকে পেয়েছি। ঢাকে আদর দিয়ে স্নেহ দিয়ে এবং অন্তর নিংড়ানো ভারবাসা দিয়ে আজঅবধি জীবনের ছায়া করে রেখেছি। আপনারা বিশ্বাস করবেন না, সি আর আই আর আমি কত কাছাকাছি। বন্ধু এম এম গোলাম সারোয়ার আপনি সত্যিই বাংলা বিভাগের একজন ভক্ত শ্রোতা। মাসে আপনি বেশ কয়েকটি চিঠি আমাদের পাঠান। আপনার লেখা চিঠিতে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, আপনি আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান মন দিয়ে শুনেন। আপনার মতো শ্রোতা পেয়ে আমরা সুভাগ্য বলে বোধ করি। আশা করি নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন । আমরা সব সময় আপনার মতো শ্রোতাদের কাছে মতামত পেতে চাই।

    বাংলাদেশের মাগুরা জেলার শ্রোতা মো: আশরাফুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি সি আর আরই এর এজন নিয়মিত শ্রোতা। আমি অনেক দিন ধরে আপনাদের অনুষ্ঠান শুনেছি। তা ছাড়া, আমার ক্লাবের সকল সদস্য ও সদস্যা আপনাদের অনুষ্ঠানগুলো মনোযোগ সহকারে শুনছে এবং ক্লাবের সাপ্তাহিক আলোচনা সভায় তারা তাদের মতামত দিচ্ছে। তারা বলছে বতর্মান বিদেশী বেতার হিসেবে সি আর আইকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আমি আমার ক্লাব সদস্যদের নিয়ে আপনাদের অনুষ্ঠান শুনে আসছি। তবে আমার কিছু প্রস্তাব আছে। তা হল বিশ্ব সংবাদ ১০ মিনিট করতে হবে। প্রতিবেদন নিয়মিত থাকবে। অনুষ্ঠানের ফাকে ফাকে বাংলা, হিন্দি ও চীনা গান প্রচার করতে হবে। অনুষ্ঠানের মাঝামাঝিতে আপনার চিঠি নামক একটি অনুষ্ঠান করতে হবে। তবে মিতালী অনুষ্ঠান যেভাবে আছে ঠিক সেভাবে চলবে। ঘেলাধুলা বিষক অনুষ্ঠানে ক্রিকেট, ফুটবল ও অন্যান্য ঘেলাধুলার সংবাদ প্রচার করতে হবে , শুধু চীনের ঘেলাধুলার সংবাদ প্রচার করলে হবেনা।

    ইতিহাসের আজ অনুষ্ঠানের পর সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদের ব্যবস্থা করতে হবে। আশা করি আমার প্রস্তাবগুলো গ্রহন করবেন। বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, আপনি তো আমাদের পুরাতন শ্রোতা। আমরা নিয়মিত আপনার চিঠি পড়ি। চিঠিতে আপনি খুব ভাল প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। আপনার প্রস্তাবগুলো নিয়ে আমরা বেতারের কতৃর্পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো। কারণ অনুষ্ঠান ইচ্ছামতো পরিবর্তনের ক্ষমতা বাংলা বিভাগের নেই। অনেক সময় কতৃর্পক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন পেতে হবে। যেই হোক, আমরা আপনার প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করবো।