v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-05 15:49:41    
ক্যালসিয়াম পূরনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে

cri
     ভিন্ন ভিন্ন ক্যালসিয়াম খাওয়ার বিজ্ঞাপন ও না না ধরণের ক্যালসিয়াম সংক্রান্ত পণ্যগুলো বর্তমানে স্বাস্থ্য সংরক্ষণ ক্ষেত্রের একটি জনপ্রিয়তায় পরিণত হয়েছে। ক্যালসিয়াম হচ্ছে মানুষের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। আমরা এই ক্যালসিয়াম কম বা বেশি খেলে স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যা হতে পারে। তাহলে কিভাবে ক্যালসিয়াম খেতে হয় ।

    চীনা জনগণের জীবন যাত্রার মান বেশি উন্নত হয়েছে বলে এখন অনেকই ক্যালসিয়াম খাওয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিয়ষ হিসেবে দেখেন । বুড়ো-বুড়ি আর শিশু এমন কি অনেক তরুণ-তরুণীও প্রতিদিন ক্যালসিয়াম খাচ্ছে। আমাদের সংবাদদাতা পেইচিংয়ের একটি রাস্তায় বেশ কয়েক জনের সাক্ষাত্কার নিয়েছে। সংবাদদাতা জিজ্ঞাস করেন: "আপনি ক্যালসিয়াম খান কি না?" তাদের স্বপ্রনোদিত উত্তর হচ্ছে :" 'হ্যাঁ খ্যাই,' । ' আমার স্ত্রীও খাচ্ছে।' ' আমার বাবা মাও খাচ্ছেন।' এমনকি ' আমার ছেলেও খায় '। ' ক্যালসিয়াম এখন আমাদের অনেক পছন্দ। এখন আর আমি তাকে ত্যাগ করতে পারি না'।"

    আসলে, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় জিনিষ খাওয়ায় একটি চমত্কার সুযোগ । তবে ক্যালসিয়াম অনিয়মিতভাবে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারীতা নয়ই। বরং , অনেক ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। চীনের হে পেই প্রদেশে এমনি একটি ঘটনা ঘটে ছিল। এক জন গৃহিণী নিজের ইচ্ছা মত প্রতিদিন বেশি ক্যালসিয়াম খেতেন । কয়েক বছর পরে তাঁর কোমারে অনেক ব্যঁথা শুরু হয় । পরে, হাসপাতালে গিয়ে শরীরের পরীক্ষা করে দেখেন, তার কিডনিতে পাথর হয়েছে। ডাক্তার তাকে বলেছেন, তাঁর কিডনির পাথর দীর্ঘ দিনের তা ক্যালসিয়াম খাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। আরও একটি ঘটনার কথ বলি চিয়া সু প্রদেশের একজন অধিবাসী , তিনি উচ্চরক্তচাপে ভোগেন । তিনি বইগুলোতে দেখেছেন যে, প্রতিদিন প্রায় ০.১ গ্রাম ক্যালসিয়াম খেলে তাঁর উচ্চরক্তচাপের অবস্থার নিম্ন মাত্র হবে। এমনি করে চিকিত্সকের পরামর্শবিহীন খাওয়ার পর, তিনি হঠাত্ করে সেরিব্রাল হেমারেজ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ।

    এটা থেকে বুঝা যায় যে, খুবই বেশি ক্যালসিয়াম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য শুধু ক্ষতিকরই হবে। তাহলে প্রতিদিন কতটুকু ক্যালসিয়াম খেলে আমাদের জন্য সমস্যা নেই? পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক বিভাগের অধ্যাপক লি কে জি বলেছেন:" আসলে, প্রতিদিন শুধু ২ গ্রাম ক্যালসিয়াম খেলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আরও বেশি খেলে স্বাস্থ্যের জন্য তা ক্ষতিকর হবে।

    তিনি আরো বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সাধারণত প্রায় ০.৭ ও ১.২ গ্রাম ক্যালসিয়াম খেতে হয়। ২ গ্রাম হচ্ছে এ ক্ষেত্রের একটি সর্বোচ্চ সংখ্যা। আসলে, টাটকা দূধ আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেয় । এ জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে এক কাপ দূধ খেলে, শরীরের জন্য যথেষ্ট পুষ্টি সংগৃহীত হবে এবং এ জন্যে অনেক টাকাও খরচ হবে না । টাটকা দূধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজ সম্পদ । বিশেষ করে দূধের মেদ ও চিনির পুষ্টিকর মূল্য ক্যালসিয়াম খাওয়ার চেয়ে অনেক ভালো । দূধের মধ্যে রয়েছে আলবুমিন যা শরীরের পুষ্টি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করে এবং অনাক্র্যমতা জোরদার করে ।

    দূধের মধ্যে নানা ধরনের এমিনোফেনল রয়েছে । বিভিন্ন বয়সের লোকদের জন্য তা খুবই সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে । দূধের মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকার জন্য আপনারা দূধ খান, ফলে সহজভাবেই শরীর তা গ্রহণ করতে পারবে । ক্যালসিয়াম খাওয়ার চেয়ে দূধ অনেক ভালো ওষুধের কাজ করবে ।

    তাহলে কী ধরণের মানুষের ক্যালসিয়াম খেতে হবে? বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ক্যালসিয়াম খাওয়ার আগে প্রতেকের উচিত প্রথম হাসপাতালে গিয়ে শরীর পরীক্ষা করা । সত্যিকারভাবে ক্যালসিয়াম খাওয়া উচিত কি না, আপনি ডাক্তারের কথা অনুযায়ী, ঠিকভাবে ক্যালসিয়াম খান।তাছাড়া, ক্যালসিয়াম খাওয়ার সময় কিছু কিছু সবজি আর ফলও খেতে পারে না। কারণ এর ওপর ক্যালসিয়ামের ভূমিকা ভালভাবে পালন করতে পারে না। পেইচিংয়ের অধিবাসী ওয়াং লি ইয়ুন বলেছেন: " আমি ক্যালসিয়াম খাওয়ার পর, মাঝে মাঝে আমার জিভে কষ্ট হয়।"

    যেসব মানুষ বেশি ভিটামিন সি খায় , সেসব লোকের উচ্চ রক্ত চাপসহ ধারাবাহিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কম । এ জন্য সাধারণ জীবনে আপনাদের বেশি ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও সবজি খাওয়া ভালো । যেমন কমলা, বাতাবী লেবু ও টম্যাটো । তা ছাড়া, সুখী ও প্রশান্ত মন শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।