v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-02 19:33:36    
বেইজিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী ল্যারির সাক্ষাত্কার

cri

 আমার নাম ল্যারি। আমি বেইজিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনা করছি। আমার আব্বু হলেন চাইনিজ আমার আম্মু ইন্ডিয়ান চাইনিজ। আমি বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমি সাড়ে চার বছর ধরে চীনে আছি। চীন অনেক বড়, অনেক উন্নত। অনেক ডায়নামিক। চীনের আরও উন্নতি হবে। আগামী ৬,৭ বছর চীন শুধু সামনের দিকেই এগোতে থাকবে। চীনের সাড়ে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা বৃথা যায় নি। এই সময়ে চীনে অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছে। এটা ভাল অভিজ্ঞতা। তবে চীনে যারা প্রথম আছে, তাদের বিচিত্র অভিজ্ঞতা হবে।

 আমি বেইজিং-এ থাকি, তাই বেইজিং নিয়েই বলছি। এখানে গরমকালে প্রচন্ড গরম। শীতকালে প্রচন্ড শীত এবং শুষ্ক। বসন্ত এবং শরত্ খুব স্বল্প সময়ের জন্য আসে। তা দু'সপ্তাহের জন্য। কখন আসে, কখন চলে যায়। টেরই পাওয়া যায় না। কিন্তু বেইজিংয়ে রাজনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক কিছু শেখার আছে। শুধু আবহাওয়ার দিকটি বিবেচনা করলে হবে না। বেইজিংয়ে অনেক কিছু দেখার আছে। চমত্কার সব জায়গা আছে। এসব যায়গায় আমি ঘুরেছি। তবে এখানে এসে আমি বুঝতে শিখেছি যে, বেইজিং আসলে কেমন যায়গা।

 অবশ্য পুরো চায়নাটাই অনেক বড়। পুরোপুরি ঘুরতে গেলে কমপক্ষে ১০ বছর লেগে যাবে। চায়নার ডায়নামিজম বেইজিং-এ আসলে টের পাওয়া যায়। সাংহাইতেও পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের লোকজন যদি চায়নায় আসতে চান , তাহলে জুলাই , আগস্ট চমত্কার সময়। এসব বাংলাদেশী চায়নায় ব্যবসা করেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথিদের সাহায্য করবেন। তা ছাড়া বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানালেও তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

 প্রঃ আপনি কবে চীনে এসেছিলেন?

 উঃ ২০০২ সালের জুলাই মাসে আমি চীনে এসেছি। চীনের শিক্ষা পদ্ধতি এবং বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আমার অভিমত হলো, চীনাদের শিক্ষার পদ্ধতি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক উন্নত। বিশেষ করে অংক।

 বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী চীনে আসতে চান, তাদেরকে আমি বলব তারা অংক বিষয়ে পড়াশুনা করতে আসতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে তাদের দু'বছর পড়াশুনা করে , তারপর এখানে আসলে ভালো। কারণ চায়নার কারিকুলাম অত্যন্ত উন্নত মানের। হঠাত্ করে আসলে এ্যাডজাষ্ট করা একটু কষ্টকর হবে। লেখাপড়ার জন্য সাংহাইতে যাবার ব্যাপারে আবেদন করতে পারেন। কারণ ওখানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তবে আমি আগেই বলেছি বেইজিং পড়াশুনার জন্য খুব ভাল যায়গা। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্ট্যান্ডার্ড খুব উচ্চ পর্যায়ের।

 প্রঃ বসন্ত উত্সব নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি?

 উঃ জুলাই মাসে আমি গ্রাজুয়েশন করবো। নববর্ষের পরে আমি আমার নতুন করে চাকরি খুঁজব।