v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-01 20:48:12    
শ্রীলংকা ও চীনের সম্পর্ক আরো উন্নতি হবেঃ রাজাপাকসে(ছবি)

cri

 শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে চীন সফরের আগে কলোম্বোয় সিনহুয়া বার্তা সংস্থার সংবাদদাতার নেয়া এক সাক্ষাত্কারে আবেগপূর্ণ কণ্ঠে বলেছেন, "বসন্ত উত্সবের পর আমি চীন সফরকারী প্রথম বিদেশী রাষ্ট্র প্রধান হবো। শ্রীলংকার কথায় আমি আত্মীয়স্বজনের কাছে যাচ্ছি। শ্রীলংকা চীনের বিকাশকে নিজের বিকাশের মতো মনে করে এবং আশা করে, চীনা জনগণও শ্রীলংকার বিকাশকে চীনের বিকাশ গণ্য করবেন।"

 রাজাপাকসে বলেছেন, শ্রীলংকা ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের সুদৃঢ় ভিত্তি আছে। বহু দিন আগে চীনের বিখ্যাত পরিব্রাজক ফাহিন শ্রীলংকা এসেছিলেন। তিনি দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন, এরপর থেকে দু'দেশের বিনিময় আর বন্ধ হয় নি।

 তিনি বলেছেন, চীন ও শ্রীলংকার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা ভিন্ন হলেও দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে দু'দেশের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হয়েছে। চীন শ্রীলংকার বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক কংগ্রেস কেন্দ্র, সর্বোচ্চ আদালত ভবনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাপনা নির্মাণে সাহায্য করেছে। শ্রীলংকা ও চীন জ্বালানি সম্পদ সমস্যার সমাধানে পুটলাম কয়লা চালিত বিদ্যুত্ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে । চীন শ্রীলংকার উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

 রাজাপাকসে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম রক্ষার ব্যাপারে শ্রীলংকা ও চীন সবসময় পরস্পরকে সমর্থন করে আসছে। তাইওয়ান সমস্যায় শ্রীলংকা এক চীনের নীতি অনুসরণ করবে, ভবিষ্যতেও পরিবর্তন হবে না। রাজাপাকসে শ্রীলংকার জাতীয় সমস্যায় শ্রীলংকা সরকারকে দেয়া সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং আশা করেন, শ্রীলংকার শান্তি প্রক্রিয়ায় চীন অব্যাহতভাবে ভূমিকা পালন করবে।

 রাজাপাকসে বলেছেন, শ্রীলংকা ও চীন উভয়ই উন্নয়নশীল দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি হয়েছে। গত বছরের প্রথমার্ধে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ৮ শতাংশে পৌঁছেছে। চীন সফরকালে তিনি চীনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শ্রীলংকার দক্ষিণাংশের বন্দরসহ নানা প্রকল্পে সহযোগিতা করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি আশা করেন, এবারের সফর দু'দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্পর্ককে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

 রাজাপাকসে মনে করেন, চীনের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা শ্রীলংকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, জনবহুল অবস্থায় চীনের অর্থনীতির দ্রুত বিকাশ লাভ ঘটেছে। শ্রীলংকার এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। চীন সফরকালে তিনি চীনের অর্থনীতি ও শিল্প ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন। তিনি চীনের শিল্পপতিদের শ্রীলংকায় গিয়ে পুঁজি বিনিয়োগ করতে এবং কারখানা খুলতে আমন্ত্রণ জানাবেন। শ্রীলংকা দু'দেশের মধ্যেকার স্থানীয় পর্যায়ের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।

 রাজাপাকসে আশা করেন, দু'দেশের বেসরকারী বিনিময় ও অর্থনৈতিক আদান-প্রদান আরো জোরদার হবে। তিনি বলেছেন, শ্রীলংকা সরকার শ্রীলংকা ভ্রমণে আরো বেশি চীনাদের আকর্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করছে। চীন সফরকালে তিনি শ্রীলংকার জনগণের মৈত্রীর প্রতীক ছোট হাতি "মিকালা" চীনা জনগণকে উপহার দেবেন।

 রাজাপাকসে আস্থার সঙ্গে বলেছেন, "শ্রীলংকা ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি চীন সফর করবো। গত ৫০ বছরের সুসম্পর্ক ও সাফল্যের আলোকে আমি বিশ্বাস করি, পরবর্তী ৫০ বছরে শ্রীলংকা ও চীনের সম্পর্ক আরো বিকশিত হবে। "