v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-01 17:05:18    
চীন গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের  বাধ্যতামূলক শিক্ষালাভ নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে

cri
    গত কয়েক দিনের ছুটির পর চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুলের নতুন টার্ম শুরু হতে যাচ্ছে । এই টার্ম থেকে শুরু করে চীনের গ্রামাঞ্চলের ১৫ কোটি ছাত্রছাত্রী বিনাখরচে তাদের ৯ বছরের বাধ্যতামূলক শিক্ষা লাভ করবে । এটা ২০০৬ সালে সার্বিকভাবে কৃষি কর মওকুব করার পর কৃষকদের বোঝা কমানোর জন্যেচীন সরকারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ । এই পদক্ষেপ গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়ন ও কৃষকদের আয় বাড়ানোর ব্যাপারেইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে ।

    ২০০৬ সালে চীনের আংশিক গ্রামাঞ্চলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুল-ফি মওকুফ করা হয়েছে । গ্রামাঞ্চলের যে সব ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের ফি মওকুফ হয়েছে ১২ বছর বয়সী ছেলে লি ইয়াওচৌ তাদের মধ্যে একজন । তার বাড়ি দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশে অবস্থিত । পারিবারিক আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল নয় বলে তার স্কুল ফি দেয়ার ব্যাপারে বাবা মার সামর্থ ছিল না । স্কুল ফি মওকুফ হওয়ার পর তার বাবামার বোঝা অনেক লাঘব হয়েছে । এ সম্পর্কে লি ইয়াওচৌ বলেছে ,গত বছর থেকে শুরু করে আমাকে আর স্কুল ফি দিতে হয় না । আমাকে শুধু বই ও খাতা কেনার খরচ দিতে হয় । আমার বাড়ির বোঝা অনেক কমেছে বলে এখন আমি খুব খুশি ও সুখী ।

    চীন এক কৃষি প্রধানবৃহত্তম দেশ । চীনের গ্রামাঞ্চলের লোকসংখ্যা অনেক বেশি এবং শিক্ষাপ্রাপ্ত লোক সংখ্যাও বেশি । কিন্তু গ্রামবাসীদের আয় কম বলে লি ইয়াওচৌর মতো গ্রামাঞ্চলের বহু ছেলেমেয়ে স্কুলে লেখাপড়া করতে যেতে পারত না ।

    তাদের পক্ষে স্কুলে লেখাপড়া চালানো একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয় । তাদের স্কুলফি কৃষক পরিবারের ব্যয়ের একটি বিরাট অংশ ছিল । এমন কি নিজদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে কিছু পরিবারকে অর্থ ধার করতে হত । ২০০৬ সালে চীন সরকার পরবর্তী দু বছরের মধ্যে ৯ বছরের বাধ্যতামূলক শিক্ষা ক্ষেত্রের সকল গ্রামীনছাত্রছাত্রীদের স্কুলফি মওকুফ করার ব্যবস্থা নিয়েছে । তাছাড়া এ ব্যবস্থা অনুযায়ী গ্রামীণ ছাত্রছাত্রীরা বিনাখরচে পাঠ্যপুস্তকপাবে। দরিদ্র ছাত্রছাত্রী যারা স্কুলে থেকেই লেখাপড়া করে তারা সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকিপাবে । এই সব নীতি গ্রামাঞ্চলের ছাত্রত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের সমাদর পেয়েছে । চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা , বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান চাও লু এ সম্পর্কে বলেছেন , ২০০৬ সালে স্কুল ফি মওকুফ , স্কুল মেরামত ও পুননির্মাণ , বিনা খরচে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ , স্কুলে থাকা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তুকি দেয়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের বিভিন্ন স্তরের অর্থ বিভাগ মোট ৩৬.১ বিলিয়ন রেনমিনপি বরাদ্দ করেছে । এই সব নীতির কল্যাণে শিক্ষার ব্যাপারে কুষক পরিবারের বোঝা লাঘব হয়েছে । যার ফলে গ্রামাঞ্চলেরপ্রাথমিক স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুলের অর্থের নিশ্চয়তাবিধানের মান উন্নত হয়েছে । গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুলের স্কুলচ্যুত হওয়ার সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে ।

    চাও লু বলেছেন , এ বছর চীন সরকার গোটা গ্রামাঞ্চলে স্কুল ফি মওকুয় করার ব্যবস্থা চালু করবে । এ জন্যে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পর্যায়ের অর্থ বিভাগের কাছে সময়মতো অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে । যাতে গ্রামাঞ্চলের যে সব স্কুল ফি মওকুফ হয়েছে সেই অঞ্চলের শিক্ষাদানের কাজ স্বাভাবিকভাবে চালানো যায় । এ বছরের জানুয়ারী মাসে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার এ ক্ষেত্রে ১০ বিলিয়ন রেনমিনপি বরাদ্দ করেছে ।

    চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবিন্নঅঞ্চলকে এই নীতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ভালভাবে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের খুঁজে বের করে দেখাশুনা করার কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে । দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ফি মওকুফ করা ছাড়াও সরকারী ক্রয়ের মাধ্যমে বিনাখরচে তাদেরকে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে । তাছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের অর্থ বিভাগকে গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে কর্মরত সকল শিক্ষকদের সময়মতো বেতন দেয়ার বিষয়টিরও নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে ।