আমাদের সাধারণ জীবনে অফিসের কাজের অতি ব্যস্ততার জন্য আমরা সবসময় ভালভাবে খাবার খেতে পারি না। শুধু রাতে বাড়িতে ফিরে আসার পর সুস্বাদু খাবার খেতে পারি । কিন্তু আপনারা জানেন এ পদ্ধতিতে আপনার শরীর সহজভাবেই মোটা হয়ে যাবে । আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদের জন্য শরীর মোটা হওয়ার কয়কটি ভূল পদ্ধতির কথা জানাবো।
১. অনেক খাবার খেয়ে ফেলার পর সারাদিন আর কিছু খাবো না
অনেকেই মনে করে, প্রতিদিন শুধু একবার যথেষ্ট খাবার খাওয়ার পর আর কিছু খাবে না ,তাহলে শরীরের স্লিম অবস্থা বজায় রাখতে পারা যাবে। আসলে এটা খুবই ভুল ধারণা । কারণ, আমাদের শরীরে খীদে লাগার সময় খাবার খেলে তা স্বাভাবিকভাবেই খাবারের ক্যালরি গ্রহণ করতে পারবে । যদি সবসময় এ পদ্ধতিতে খাবার খান, তাহলে সহজভাবেই মোটা হয়ে যাবেন ।
২. নাস্তা না খাওয়া
নাস্তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তা হচ্ছে শরীরের রাসায়নিক রূপান্তরের প্রয়োজনীয় জিনিস । নাস্তা খাওয়ার ৮ ঘন্টা পর আমাদের শরীরের মেদ দ্রুত খরচ হবে । যদি নাস্তা না খান, তাহলে শরীরের সারাদিনের স্বাভাবিক রাসায়নিক রূপান্তর নষ্ট হয়ে যাবে । তা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে ।
৩. বেশি খিদে লাগলে তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া
আমাদের পাকস্থলী বেশী খিদে লাগলে, আমরা সাধারণত তাড়াতাড়ি সব খাবার খেতে চেষ্টা করি । আসলে আমাদের মাথা এবং পাকস্থলীর মধ্যে যোগাযোগের জন্য ২০ মিনিট প্রয়োজন হয় । এ জন্য যখন মাথা পেট ভরে তথ্য গ্রহণ করে তখন পাকস্থলী অতিরিক্ত খাবারে পূর্ণ এবং হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
৪. কম পানি খাওয়া
শরীরের রাসায়নিক রূপান্তর প্রক্রিয়ার জন্য অনেক পানি প্রয়োজন। যদি কম পানি খান, তাহলে সহজভাবেই মোটা হয়ে যাবেন । প্রতিদিন আমাদের কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি খাওয়া দরকার ।
৫. বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়ার সময় বেশি খাওয়া
আমাদের জীবনে অব্যশই বন্ধু আছে । যদি তাদের সঙ্গে খাবার খান বা তাদের বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন, তাহলে আনন্দের জন্য সহজভাবেই বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন । সবসময় এভাবে খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমবে এবং মোটা হয়ে যাবেন ।
বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে প্রতিদিন ৫ বা ৬ বার খাবার খাওয়া এবং প্রত্যেক বার কম খাবার খাওয়া । এভাবে আমাদের শরীর মেদ খরচের পরিমাণ আগের চেয়ে ১০ শতাংশেরও বেশি হয় । এভাবে শরীরে মেদ কম জমবে ।
|