v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-26 19:15:10    
২০--২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০০৭

cri

 ** গত ১৮ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী চীনের ঐতিহ্যিক বসন্ত উত্সবের ছুটি ছিল। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি বছর বসন্ত উত্সবের সময় চীনে নানা ধরনের পণ্যদ্রব্যের বিক্রির পরিমাণ গত বছরের অনুরূপ সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি হয়েছে।

 বিশেষ করে কয়েকটি শহরে উচ্চপর্যায়ের বিদ্যুত্ যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল পণ্যদ্রব্য যথেষ্ট পরিমাণ বিক্রি করা হয়েছে । শপিং, রেস্তোরায় খাবার খাওয়া ছাড়াও বসন্ত উত্সবে বই পড়া, শরীর চর্চা করা এবং চা খাওয়াসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবার কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে ছিল ।

 চীনের রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে , ১৮ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭.৫ লাখ , যা গত বছরের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি ।

 চীনের বেসামরিক বিমান পরিবহন ব্যুরোর এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি বছর বসন্ত উত্সবের ৭ দিনের ছুটিকালে চীনের বেসামরিক বিমান পরিবহন ৩৭.১ লাখ পার্সন টাইমস যাত্রীবহন করেছে, যা গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি ।

 ** চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে , ২০০৪ সালের পর পশ্চিম চীনের গ্রামাঞ্চলে আবাসিক ব্যবস্থাসম্পন্ন স্কুলগুলোর গঠনকাজ , প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোর বিপন্ন ঘরবাড়ির পুনর্নির্মাণ এবং আধুনিক দূরপাল্লার শিক্ষা প্রভৃতি প্রকল্প অবাধে বাস্তবায়িত হয়েছে । এসব ব্যবস্থা পশ্চিম চীনের গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোর শিক্ষাগত অবস্থাকে অনেক উন্নত করেছে । ২০০৬ সালে সর্বপ্রথমে চীনের পশ্চিমাংঞ্চলেই ছাত্রদের শিক্ষা ফি মওকুফের মত কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয় । ফলে চীনের গ্রামাঞ্চলের স্কুলের বয়সী কিশোরদের স্কুলে ভর্তির হার বেড়েছে । এ পর্যন্ত চীনের ৯৬ শতাংশ জেলায় মোটামুটিভাবে ৯ বছরব্যাপী বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং তরুণ-তরুণীদের নিরক্ষরতা দূর হয়েছে ।

 ** সম্প্রতি চীনের জাতীয় বনশিল্প ব্যুরোর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, ২০০৬ সালে চীনের বনশিল্পের মোট উত্পাদন মূল্য ০.৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনবিরও বেশী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীনের বনশিল্পের উন্নয়ন দ্রুত হচ্ছে। আর্থিক দিক থেকেও তা লাভ জনক হচ্ছে। ফলে বৃক্ষ চাষ, অর্থকরী বৃক্ষের যত্ন নেয়া, ফুলের বাগান করা, বন সংক্রান্ত ব্যাপারে পর্যটনের ভুমিকাকে গুরুত্ব দেয়া ও বন্য পশু-পাখি সংরক্ষণ বিভিন্ন ধরনের শিল্পের প্রতি জনসাধারণের আগ্রহ বেড়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর চীনের কাঠের উত্পাদনের পরিমাণ ছিল ৭.৮ কোটি কিউবিক মিটার এবং শুকনো ও টাটকা ফলের উত্পাদনের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি টনেরও বেশী। বর্তমানে চীনে উদ্ভিদ ও জীব দেহের নির্যাস থেকে নতুন ধরনের জ্বালানী উত্পানের লক্ষমাত্রা অর্জন করেছে।

 ** পাকিস্তানের নৌবাহিনীর আমন্ত্রণে, 'লিয়ান ইয়ুনকাং' ও 'সান মিং' নামে ফ্রিগেট নিয়ে গঠিত চীনা গণ মুক্তি ফৌজ নৌবহর ১৯ ফেব্রুয়ারী চে চিয়াংয়ের নিং বো থেকে পাকিস্তানে গিয়ে 'শান্তি-০৭' সামুদ্রিক যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

 পাকিস্তানের নৌবাহিনী এবারে এই মহড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রন্স, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও তুরস্কের নৌবহর, বিমান ও বিশেষ সেনাবাহিনী এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এবারের মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা সন্ত্রাসের হুমকি ও চ্যালেন্জকে প্রতিহত করা, বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও যোগাযোগের বিষয়টিকে জোরদার করা এবং বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সন্ত্রাসী মোকাবিলার সামর্থ্যকে উন্নত করা।

 **ভারত ও পাকিস্তান ২১ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লীতে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কিত দুর্ঘটনার আশংকা কমানো সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাতে দু'পক্ষের অনিচ্ছাকৃত ঘটনার কারণে পারমাণবিক অস্ত্রের যুদ্ধ এড়ানো যায়।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী এবং সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরি একই দিন ভারত ও পাকিস্তান যৌথ কমিটির সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছেন। সম্মেলন শেষে দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর পরই তা কার্যকর হয়েছে।

 ** ভারত সরকার ২১ ফেব্রুয়ারী সেদেশের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানে পরমাণু অস্ত্রের উন্নয়নে সহায়ক যেকোন ধরণের পরমাণু জ্বালানী রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা করেছে।

 ভারত সরকার বলেছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিষেধজ্ঞার আওতায় ভারতের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত কোন ভাবেই ইরানে তার পরমাণু জ্বালানী সমৃদ্ধকরণ, উত্পাদন ও ভারী পানিসহ বিভিন্ন পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন সহায়ক হয় এমন জ্বালানী রফতানি না করা।

 ** পাকিস্তানের সামরিক পক্ষ ২৩ ফেব্রুয়ারী বলেছেন, এ দিন তারা সাফল্যের সঙ্গে পরমাণু বোমা বহনকারী নতুন দূরপাল্লার স্থল থেকে স্থলে নিক্ষেপযোগ্য একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ করেছে।

 পাকিস্তানের বার্তা সংস্থার এক খবরে প্রকাশ, 'হাতাফ-৬ শাহীন-২' নামক ক্ষেপণাস্ত্রটি ২ হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পাবে। তবে এর সর্বোচ্চ পাল্লা হচ্ছে ২ হাজার ৫শ' কিলোমিটার।

 ** দু'দিনব্যাপী আলোচনার পর ২৩ ফেব্রুয়ারী ইসলামাদে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে পাকিস্তান ও ভারতের প্রতিনিধিগণ আগামী জুন মাসের আগে ইরান, পাকিস্তান ও ভারত সলগ্ন প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তি প্রণয়নে সম্মত হয়েছেন।

 গত ২৩ ফেব্রুয়ারী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের তেল বিষয়ক সচিব আহমাদ ওয়াকার বলেছেন, দু'দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইন স্হাপন প্রকল্প সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গভীরভাবে মত বিনিময় হয়েছে।

 ** ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী থেকে পাকিস্তানগামী একটি দ্রুত গতিসম্পন্ন রেল গাড়িতে ১৯ ফেব্রুয়ারী মধ্যরাতে হঠাত্ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশী আহত হয়েছে।

 খবরে জানা গেছে, এই রেল গাড়িটি ১৮ ফেব্রুয়ারী নয়াদিল্লী থেকে রওয়ানা হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত আটারি স্টেশনে পৌঁছার কথা। যাত্রীদের সেখান থেকে আরেকটি রেল গাড়িতে পাকিস্তানের লাহোরে যাওয়ার কথা ছিল।

 ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বিষ্ফোরণে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে বলেছেন , অপরাধীদের আটক করার জন্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে । কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সোনিয়া গান্ধী একটি বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন যে , এ ঘটনা একটি বর্বর সন্ত্রাসী ঘটনা । তিনি ভারত ও পাকিস্তানের জনগণের প্রতি মানবজাতির শত্রুদের ওপর আঘাত হানার আহ্বান জানিয়েছেন ।

 পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসুরী ১৯ ফেব্রুয়ারী ভারতে ঘটিত রেলগাড়ী বিষ্ফোরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন , এ বিষ্ফোরণ এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা । পাকিস্তান ভারত সরকারের প্রতি যথাশীঘ্র এই ঘটনা তদন্তের দাবী জানিয়েছে ।

 ** ২১ ফেব্রুয়ারী টনি ব্লেয়ার ঘোষণা করেছেন যে, বৃটিশ সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইরাকে তার বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ৭১০০ থেকে ৫৫০০ জনে কমিয়ে আনবে।

 এদিন ব্লেয়ার বৃটিশ সংসদের নিম্ন পরিষদে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বলেছেন, ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের বসরার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে। ইরাকী কর্তৃপক্ষ এখন সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। তাই সেখানে মোতায়েনরত বৃটিশ সৈন্য প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে।

 ** অস্ট্রেলিয়া সফররত মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ব্রুস চেনী ২৪ ফেব্রুয়ারি সিডনীতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।

 চেনী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধের চেষ্টা পরিত্যাগ করে নি।

 ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানোছের মোত্তাকী ২৪ ফেব্রুয়ারী তেহরানে বলেছেন , বর্তমানে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর সামর্থ যুক্তরাষ্ট্রের নেই । পাশা পাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর অন্যান্য মিত্র দেশগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ।

 মোত্তাকী সংবাদদাতাদের বলেছেন , ইরান মনে করে এ অঞ্চলে আরেকটি যুদ্ধ করার সামর্থ যুক্তরাষ্ট্রের নেই । ইরান দু'টি সম্ভাবনা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছে । তবে ইরান আশা করে সংলাপের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে ।