v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-23 18:15:48    
ইউক্যালিপটাস গাছের দেশ ---- সুদান

cri
    সুদান প্রজাতন্ত্র আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং লোহিত সাগরের পশ্চিম তীরে অবস্থিত । আফ্রিকার একটি সর্বোচ্চ আয়তনের দেশ সুদানের আয়তন মোট ২৫ লাখ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি । দেশটিতে প্রচুর আরব ইউক্যালিপটাস গাছ আছে, এর উত্পাদন আর রপ্তানির পরিমাণ বিশ্বে সর্বাধিক । এর জন্য সুদানকে " ইউক্যালিপটাস গাছের দেশ" বলা হয়।

    ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারী সুদান স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং সুদান প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। সারা দেশে মোট ১৯টি জাতি এবং ৫৯৭টি সম্প্রদায় আছে। লোকসংখ্যা মোট ৩.৫ কোটি । এর মধ্যে ৫২ শতাংশ হলো নিগ্রো এবং ৩৯ শতাংশ হলো আরব অধিবাসী। দেশটির ৭০ শতাংশ অধিবাসী ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে। সরকারী ভাষা আরবী।

    সুদান একটি কৃষি প্রধান দেশ। গ্রামীণ লোকসংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ । সুদানের অর্থকরী পণ্য হচ্ছে আরব ইউক্যালিপটাস গাছ, তুলা এবং বাদাম। এর অধিকাংশ রপ্তানি করে বলে কৃষি পণ্যের রপ্তানি পরিমাণ ৬৬ শতাংশ । দেশটিতে আরব ইউক্যালিপটাস গাছের আবাদী জমির পরিমাণ ৫০.৪ লাখ হেকটর। বার্ষিক উত্পাদন   প্রায় ৩০ হাজার টন। যা বিশ্বের মোট উত্পাদন পরিমাণের ৬০ ও ৮০ শতাংশ । তুলার উত্পাদনের পরিমাণ বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে । বাদামের উত্পাদনের পরিমাণ বিশ্বে সর্বাধিক । তাছাড়া, সুদানের পশুপালন শিল্প সম্পদ আরব দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ।

    সুদানের প্রাকৃতিক সম্পদ প্রচুর, লোহা, রৌপ্য, নিওডিবিয়াম, তামা, সোনা, হীরা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কাঠ ইত্যাদি। বনের আয়তন ৬.৪ কোটি হেকটর। এটি সারা দেশের আয়তনের ২৩.৩ শতাংশ । সুদানের পানিসম্পদও প্রচুর। মোট ২০ লাখ হেকটর মিঠা পানি আছে।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সুদান তেল শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা দ্রুত উন্নত হয়েছে। বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সুদানের দ্রুত অর্থনীতির বৃদ্ধি হার বজায় রয়েছে। ২০০৫ সালে দেশটির জি.ডি.পির পরিমাণ ছিলো মোট ২৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয়ের ৭৬৮.৬ মার্কিন ডলার।

    ১৯৫৯ সালে চীন ও সুদানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর, দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা সম্পর্ক অব্যাহতভাবে সামনে এগিয়ে গেছে। ফলে দু'পক্ষ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করেছে। এখন, সুদান হচ্ছে আফ্রিকায় চীনের সঙ্গে সহযোগিতাকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০০৫ সালে চীন ও সুদানের বাণিজ্যের পরিমাণ দিলো ৩.৯০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা পূর্ববতী তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।