হান মিউং-সুক ১৯৪৪ সালের ২৪ মার্চ পিয়ংইয়াংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯ বছর বয়সে সময় তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত্ ইউহা নামের মেয়েদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রান্সের সংস্কৃতির ওপর গবেষণা করেন। ১৯৬৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার আধ্যাত্মবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধ্যাত্মবাদের স্নাতাকোওর ডিগ্রী এবং ইউহা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারী গবেষণা বিষয়ক ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি স্থায়ীভাবে নারী আলোন্দনে কাজ করেন। তিনি ইতিবাচকভাবে নারীদের ক্ষমতা সুরক্ষা এবং নারীদের সামজিক অবস্থান উন্নয়নের চেষ্টা করতে থাকেন। যদিও এ কাজ খুবই কঠিন, তবুও তিনি ইতিবাচকভাবে নারীদের ক্ষমতা সুরক্ষার সামাজিক আলোন্দনে যোগ দেন। তিনি বহুবার নারী জোটের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০ শতাব্দীর ৮০ দশকে তিনি ও দক্ষিণ কোরিয়ার নারী জোটের মিলিত চেষ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ার কংগ্রেসে 'পরিবার আইন', 'নিয়োগের ব্যাপারে নারী-পুরুষের সমতা আইন' ও 'যৌণ বলপ্রয়োগের বিরুদ্ধে শাস্তি সংক্রান্ত আইন' গৃহীত হয়। এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের ঐতিহ্যিকভাবে পেছণের সারি থেকে সামনে এগিয়ে আসার ভিত্তি স্থাপিত হয়।
২০০০ সালে তিনি ডেমোক্র্যাডিক লেবার পার্টির কংগ্রেসের স্পীকার নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার নারীমন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে, তিনি প্রথম নারীমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে রোহ মুন হিউন প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হন। হান মিউং সুক নতুন সরকারের প্রথম পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে তিনি ক্ষমতাসীন পার্টি ইউরি পার্টির কংগ্রেসের স্পীকার নির্বাচিত হন।
২০০৬ সালের ২৪ মার্চ প্রেসিডেন্ট রোহ মুন হিউন হান মিউং সুককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুপারিশ করেন। ১৯ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ার কংগ্রেসে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। তিনি হন ১৯৪৮ সালে দেশ প্রতিষ্ঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
|