বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ওয়াল্ড রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি আনিসুর রহমান তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠান আমাদের বাঙ্গলী শ্রোতাদের প্রাণের প্রিয় অনুষ্ঠান, যা প্রতিদিন রাতে সুদুর চীনের রাজধানী পেইচিং থেকে ভেসে আসে। আর আমরা এ সময়টা অধীর আগ্রহে রেডিও নিয়ে বসে থাকি। আমরা সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয়এবং আরো শ্রোতাউপযোগী করার জন্যে , তথা আমাদের মনের মতো করে গড়ে তোলার জন্য সবার্ত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের শ্রোতাসংঘ এবং শ্রোতাসাধারনের সঙ্গে আপনাদের অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয় চিঠির মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।' বন্ধু আনিসুর রহমান, আপনি বাংলা বিভাগের একজন ভুক্ততালিকা শ্রোতা। আপনার চিঠি আমরা নিয়মিত আমাদের পাই। আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্যে আপনি সত্যই অনেক চেষ্টা করেছেন এবং অবদান রেখেছেন। এখানে আমি বাংলা বিভাগের সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি অনেক চিঠি আমাদের কাছে পাঠিয়েছিন , কিন্তু আমারা আপনার প্রত্যেকটা চিঠি উত্তর দিতে পারি না। এ জন্য আমরা খুবই অনুতপ্ত। প্রত্যেক মাসে আমরা বাংলাদেশ বা ভারত থেকে কয়েক হাজার চিঠি পেয়ে থাকি। এত বেশি চিঠি পড়া সময়সাপেক্ষ।আমরা বাছাই করা চিঠির উত্তর দিয়ে থাকি। আশা করি , এ জন্য আপনারা আমাদের ভুল বুঝবেন না, এবার উত্তর দিলাম। খুশী তো?
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার শ্রোতা মো: সাজ্জাদ হোসেন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' শ্রোতাদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে আপনারা রাতে ২ বার এবং সকালে ১ বার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছেন। আপনাদের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি হতে পারিনি। কারন একই অনুষ্ঠান তিনবার শোনা একঘেয়েমী মনে হয়।' বন্ধু সাজ্জাদ হোসেন , আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার মনখোলা কথা বলার জন্যে। আমাদের এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অসংখ্য শ্রোতা তাদের চিঠিতে রাতে ২ বার এবং সকালে ১ বার বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের অনুরোধ করেছিলেন। কারণ যদি শুধু রাতে অনুষ্ঠান এক বার সম্প্রচার করা হয়, তাহলে সম্প্রচারের সময় যারা অন্য জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা অনুষ্ঠানটি শোনার সুযোগপাননা।
সুতরাং ব্যাপক শ্রোতার অনুরোধ বিবেচনা করার পরই আমরা অবশেষে রাতে ২ বার এবং সকালে ১ বার অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অধিকাংশ শ্রোতাই আমাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন, যদি তারা রাতবেলায় অনুষ্ঠান শোনার সুযোগ না পান তাহলে তারা পরের দিন সকালে শুনতে পারেন। বন্ধু সাজ্জাদ হোসেন , এ সম্বন্ধে আপনার মতামতকে আমরা সম্মান করি। সুতরাং আপাতত: অনুষ্ঠান প্রচারের সময়সূচী এভাবেই থাকবে। ভবিষ্যতে আমরা বিষরাই নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের শ্রোতা উজ্জল নাথ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' আমি অনেকদিন যাবত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনে আসছি। কিন্তু চিঠি লিখতে সাহস পায়নি। এই অনুষ্ঠান শুনে আমার এত ভাল লাগে সত্যি তা এই সামান্য কাগজে-কলমে লিখে প্রকাশ করতে পারছি না। আপনাদের শ্রুতিপূর্ণ মধুর কথা শুখে আমার মনকে বাকুল করে তুলেছে। তাই চিঠি না লিখে থাকতে পারলাম না। আপনারা যদি আমাকে এই বাংলা অনুষ্ঠানের একজন নতুন শ্রোতা হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে খুবই আনন্দিত হব। যদি শ্রোতা হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে অনুষ্ঠানসূচী ও চীনা ভাষা শিক্ষার বইগুলো পাঠাবেন। কারণ চীনা ভাষা শিক্ষার আসরটি আমার খুবই ভাল লাগে। আশা করি আমার অনুরোধটুকু রাখবেন। বন্ধু উজ্জল নাথ , প্রথমে আমি বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে আপনাকে আমাদের শ্রোতা হিসেবে গ্রহণ করলাম। আপনএকজন নতুন শ্রোতা পেয়ে আমরাও খুব খুশি হয়েছি।আমরা শীঘ্রই আপনার কাছে অনুষ্ঠানসূচী পাঠাবো। কিন্তু দু:খের বিয়ষ হল, এখন পযর্ন্ত আমাদের চীনা ভাষা শোখার বই ছাপানো হয়নি। তবে পরর্বতী সংখ্যার 'আমি তুমি সে' পত্রিকায় চীনা শেখার পাঠ ছাপানো হবে। আশা করি, আপনি আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনবেন। কোন মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখে জানাবেন। কারণ আমাদের অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্যে আপনাদের পরামর্শ ও প্রস্তাব দরকার।
বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার শ্রোতা মো: রিপন হোসেন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি একজন নিয়মিত শ্রোতা। আপনাদের অনুষ্ঠান শুনে আমি জানা তথ্যগুলো জানতে পারছি। আমার আগের ধারণা ছিল চীন দেশ অন্যান্য দেশ থেকে গরিব দেশ। আসলে আমার ধারণা ছিল ভুল। আপনাদের অনুষ্ঠান শুনে এখন আমার সেই ধারণা কেটে গেছে। আপনাদের অনুষ্ঠান আমার কাছে এতই ভাল লাগে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতে না। ধন্যবাদ রিপন হোসেন। আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি চীন সম্বন্ধে আরও বেশী জানতে পারবেন। আমাদের অনুষ্ঠান সম্বন্ধে যদি আপনার কোন কোন মতামত থাকে তাহলে চিঠি লিখে জানাবেন।
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার শ্রোতা মো: নজরুল ইসলাম তাঁর চিঠতে এভাবে লিখেছেন, ' আমি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুত সমিতির কুমিল্লা জোনের একজন কর্মকর্তা। বতর্মানে এ জি এম ফাইন্যাস পদে কর্মরত। ১৯৯৯ সালে যখন বিয়ে করি তখন আমার এক বন্ধু ছোট একটি ডিজিটাল রেডিও আমাকে উপহার দেন। সেদিন রেডিওসেটটি দেখে বিয়ে বাড়ীর সবাই খুব হেসেছিল। আমিও মনে মনে লজ্জাই পাচ্ছিলাম। আমার বন্ধু আমার বিয়েতে রেডিও গিফট করবে এটা ছিল একেবারেই অনাকাংখিত। প্রায় বছর খানের পর কি যেন মনে করে রেডিওর প্যাকেট খুলে ছোট একটি চিঠি এবং চীন বেতারের একটি অনুষ্ঠান সূচী পেলাম। এরপর সময় পেলে---যখন কিছুই করার থাকে না—এমন অবসরে মাঝে মাঝে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনতাম। তারপর কখন যেন কোন যাদুর ছোয়াঁয় আপনাদের নিয়মিত শ্রোতা হয়ে গিয়েছি সে কথা নিজেও জানি না। বন্ধু নজরুল ইসলাম, আপনি একটি খুব সুন্দর গল্প আমাদের বলেছেন। নি:সন্দেহে আপনার এই বন্ধু আমাদের বাংলা বিভাগের একজন পুরাতন শ্রোতা। আপনাকে আমাদের একজন শ্রোতা তৈরী করার জন্যে উনি সেই রেডিও আপনাকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন। আমার মনে হয় এই উপহার খুবই তাত্পর্যপূর্ণ। অন্য যে কোন উপহারের চাইতে এই উপহার অনেক ভাল। আপনি কি মনে করেন? আশা করি আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনবেন।
বাংলাদেশের জামালপুর জেলার শ্রোতা আজুমাছেল ছাদী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি আপনাদের অনুষ্ঠানের একজন নিয়মিত শ্রোতা। আপনাদের অনুষ্ঠান শুনে আমরা বিভিন্ন দিক থেকে উপকৃত হচ্ছি। আপনাদের অনুষ্ঠান থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি ও শিখতে পারছি। আপনাদের অনুষ্ঠানের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভাললাগে অর্থনীতির অগ্রযাত্রা । তা ছাড়া আপনাদের শনিবারের অনুষ্ঠান—মিতালী আমার খুব ভাললাগে। বন্ধু আজুমাছেল ছাদী, ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের অনুষ্ঠান শোনার জন্য। আমরা জানি আপনি আপনাদের শ্রোতা সংঘের একজন মহাসচিব। দীর্ঘকাল ধরে আপনি আপনাদের শ্রোতা সংঘের পক্ষ থেকে আমাদের অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্যে অনেক অবদান রেখেছেন। এর জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশি করি আগের মতো ভবিষ্যতেও নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন এবং এই অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্যে প্রচেষ্টা চালাবেন।
|