|
|
(GMT+08:00)
2007-02-19 19:31:26
|
|
সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চীনা মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন করেছে
cri
সম্প্রতি সারা চীন দেশে চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী উত্সব---বসন্ত উত্সব উদযাপন করা হচ্ছে। চীনের চান্দ্র বর্ষ অনুযায়ী এ উত্সব উদযাপন করা হয়। এ আনন্দঘর্ন দিনে অনেক চীনা লোক আজকের সুখী জীবনকে একটি শব্দের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চায়। এ শব্দ হল’ সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ’। সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হওয়ার পর চীনা মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নত হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে চীনের বিভিন্ন জায়গার ছোটবড় দোকানগুলোতে কেবল মানুষের ভীড় আর ভীড়। বসন্ত উত্সব উপলক্ষে লোকজন জিনিসপত্র কিনতে ব্যস্ত। পেইচিং শহরের বিখ্যাত বাণিজ্য সড়ক----ওয়াংফুচিন সড়কের একটি দোকান থেকে ইয়েন জি ইয়াং একটা নতুন টেলিভিশন কেনার কথা ভাবছেন। তার বাসায় প্রখস কেনা ১৪ ইন্চি সাদা-কালো টেলিভিশনের কথা উল্লেখ করে তিনি আবেগের সঙ্গে বললেন,
যখন আমার বয়স ছয় সাত বছর, তখন আমাদের বাসায় একটি ২১ ইন্চি রঙিন টেলিভিশন ছিল। তখন আমার খুব ভাল লেগতো। কিন্তু গত কয়েক বছরের মধ্যে বাজারে দ্রুত পরির্বতন ঘটেছে। এখন ২৯ ইন্চি, ৩৪ ইন্চি আধুনিক ধরনের টেলিভিশন পাওয়া যায়।
টেলিভিশনের এই পরিবর্তনে প্রতিফলিত হচ্ছে যে, গত ২০ বছরের মধ্যেই চীনা মানুষের পণ্যভোগের মান ক্রমান্বয়ে উন্নত হয়েছে।
১৯৪৯ সালে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা থেকে গত শব্দাতীর ৭০ দশকের শেষ নাগাদ চীনে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থনৈতিক কাঠামো প্রবর্তিত হয়েছি। চীনের জাতীয় অর্থনৈতিক শিল্প ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই কাঠামো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সে সময় চীনের বাজারে জিনিসপত্রের অভাব ছিল বেশী। সরকারের বিতরণ-করা বিশেষ টিকিট দিয়ে খাদ্য ও কাপড় সহ প্রয়োজনীয়ক জিনিসপত্র কিনতে হতো।
কিন্তু ১৯৭৮ সাল থেকে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। চীনের সাবেক শীর্ষ নেতা তেং সিয়াও পিংয়ের নেতৃত্বে ১৯৭৮ সাল থেকে চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চালু করা হয়। সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতির আলোকে চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি হয়েছে। ২০০৬ সালে চীনের সামাজিক ভোগ্যপণের খুঁচরা বিক্রির মোটমূল্য ৭.৬ ট্রিলিয়ন রেন মিন পিতে দাঁড়িয়েছে। ৩০ বছর আগে এটা কল্পনাও করা যেত না।
চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হওয়ার পর অধিক থেকে অধিকতর চীনা নাগরিক বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ২০০৬ সাল নাগাদ ১০ লাখ চীনা ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে পড়াশুনা করতে গিয়েছে। হুওয়াং য়াও হুয়ে হলেন বিদেশে অধ্যয়নরত চীনা ছাত্র-ছাত্রীদের যোগাযোগ সমিতির উপ মহা পরিচালক। গত শতাব্দীর আশি দশকে তিনি উত্তর আমেরিকায় পড়াশুনা করতে গিয়েছিলেন। চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ প্রসঙ্গে তিনি তার ধারণা ব্যক্ত করে বলেছেন,
আমার মনে হয়, চীনের জন্য তেং শিয়াও পিংয়ের অবদান অতুলনীয়। আমার নিজের কথা ধরা যাক, তেং শিয়াও পিংয়ের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি ছাড়া, আমাদের এই প্রজম্মের সুখ জীবন চিন্তা করা ছিল প্রায়অসম্ভব।
তেং শিয়াও পিং এক সময় বলেছেন, ‘ আমি চীনের ছেলে, আমি আন্তরিকভাবেই আমার মাতৃভূমি ও জনগণকে ভালবাসি’। বতর্মানে চীন সংস্কার ও উন্মুক্তকরনের পথ বয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আরও উন্নত জীবন এবং স্বচ্ছল সমাজ সৃষ্টি করার জন্য চীনা মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বন্ধুরা
|
|
|