চীনের ঐতিহ্যিক বসন্ত উত্সব উদযাপনে বিদেশী নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে ভাষণ বা প্রবন্ধের মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক ১৬ ফেব্রুয়ারী ফ্রান্স ও ইউরোপে বসবাসকারী সকল চীনা বংশোদ্ভুত ও প্রবাসী চীনাদের উদ্দেশ্যে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ফ্রান্স ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গভীরতর উন্নয়নের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এ দিন প্রকাশিত "ইউরোপ টাইমস" পত্রিকার বসন্ত উত্সবের বিশেষ সংখ্যায় শিরাক এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, দু'দেশের সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পরস্পরের সম্মান করা, হাতে হাত মিলিয়ে সহযোগিতা করা ও পারস্পরিক সমঝোতাকে গভীর করা।
অস্ট্রিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ভিলহেম মোলতারের ১৬ ফেব্রুয়ারী অস্ট্রিয়ায় চীনা নাগরীকদের উদ্দেশ্যে দেয়া তারর্বাতায় চীনা বংশোদ্ভুত ও প্রবাসী চীনাদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, নতুন বছর অস্ট্রিয়া ও চীনের আন্তরিক সহযোগিতা সম্পর্কের জন্য আরো ফলপ্রসু সৌভাগ্য বয়ে আনবে।
১৫ ফেব্রুয়ারী রাতে বৃটেনের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রধান লন্ডনের পৌর সরকার ভবনে মনোজ্ঞ সান্ধ্যকালীন ভোজ সভার আয়োজন করে চীনের চান্দ্র বর্ষের নববর্ষ উদযাপন করেছেন। ৪৮টি গোষ্ঠি ক্লাবের চেয়ারম্যান স্টিফেন পেরি বলেছেন, এখন থেকে চীন আমাদের জীবনযাপনের সব দিকে প্রভাব ফেলবে। আমাদের প্রত্যেককেই আধুনিক চীনের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা উচিত। সান্ধ্য ভোজ সভায় লন্ডন আর্থিক নগরের মেয়র জন ষ্টুয়ার্ট, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী মাইকেল হেসেলটিন ও বৃটেনের সংসদের নিম্ন সভার নেতা , সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র বৃটেনের অধিবাসীদেরকে চীনা ভাষা শেখার ওপর গুরুত্ব আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন । যাতে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো সম্ভব হয়।
|