v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-16 20:55:33    
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ'র ছাত্র রেহান সালাউদ্দিনের সাক্ষাত্কারের প্রথম অংশ

cri

    প্রঃ রেহান সালাউদ্দিন, আপনি কবে এসেছেন এবং কোথায় লেখাপড়া করছেন?

 উঃ গত বছরের ৩০ আগষ্ট আমি চীনে এসেছি চীন সরকারের স্কলারশীপ কাউন্সিলের স্কলারশীপ নিয়ে। আমি এখন উহান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছি।

 প্রঃ শুনেছি চীনে আসার পর অবসর সময়ে অনাথ ও দরিদ্রদের সহযোগিতা করে থাকেন। আমাদের শ্রোতাবন্ধুদের জন্য এই সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?

 উঃ আসলে আমি চীনে আসার আগে বাংলাদেশেও এ ধরনের কাজ করেছি। চীনে তা কন্টিনিউ করে যাচ্ছি।

 প্রঃ আপনি কিভাবে দরিদ্র বা অনাথদের খুঁজে বের করেন?

 উঃ আসলে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে আমার বন্ধুবান্ধব রয়েছে। কোথাও কোন দরিদ্র রোগীর সন্ধান পেলে তারা আমাকে জানায়। তখন আমি আমার ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দরিদ্র রোগীদের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করি।

 প্রঃ সাধারণত কিভাবে আপনি এবং আপনার বন্ধুরা সাহায্য করে থাকেন?

 উঃ প্রথমতঃ আমরা বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করি। তা ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিলে অনেকেই আমাদের সহযোগিতা ছাড়া নিজেরাই সরাসরি তাদের সাহায্য করতে পারছে।

 প্রঃ আপনার বন্ধু ছাড়া আপনার কোন আত্মীয়স্বজন এ ধরনের সেবামূলক কাজ করেছেন কিনা?

 উঃ আমার বাবা এবং মাকে দেখেছি এ ধরনের সেবামূলক কাজ করতে। তাদের দেখেই আমি উদ্বুদ্ধহয়েছি। তা ছাড়া আমার ছোট ভাইও আমার সঙ্গে মাঝে মাঝে এ ধরনের কাজ করে থাকে।

 প্রঃ আপনি আগে বলেছেন, বাংলাদেশেও আপনি এ ধরনের সেবামূলক কাজ করেছেন। কবে থেকে শুরু করেছেন?

 উঃ ৮ বছর আগে আমাদের দেশে বন্যা হয়েছিল। তখন দুর্গতদের সাহায্য করার চেষ্টা করি। তখন থেকেই আমার আসলে এ ধরনের মানসিকতা গড়ে ওঠেছে।

 প্রঃ কেন এসব কাজ শুরু করলেন?

 উঃ প্রথম যখন আমি দুর্গতদের সাহায্য করতে যাই, তখন মনে হয়েছে, আমরা তো ভালই আছি। আমাদের এলাকা বন্যা কবলিত হয় নি। যারা বন্যা কবলিত হয়েছে , তাদেরকেও আমাদের অবস্থানে নিয়ে আসতে হবে।

 প্রঃ আপনাদের সেবামূলক কাজ চীনের বিভিন্ন গণ মাধ্যম তুলে ধরেছে। এ সম্পর্কে আপনার অনুভূতি কি?

 উঃ আসলে আমাদের কাজ সম্পর্কে যে সাক্ষাত্কার নিয়েছে তা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং কাজটা যে কত জরুরী তা তুলে ধরাই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে এ ধরনের লোকদের সাহায্য করার ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যায়। আমাদের কাজ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে কখনোই সে রকম কোন ইচ্ছা ছিল না, এখনো নেই। কারণ আমি চাই আমার উপর মানুষের আস্থা জন্মাবে যে আমি এই কাজটি করতে পারি।

 প্রঃ ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস চীনে এসেছিলেন । শুনেছি আপনি হলেন তাঁর সহকারী। এটা কি সত্য?

 উঃ আসলে ডঃ ইউনুসের সহকারী শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই রয়েছে। আমি উনাকে উহানের জনগণের অবস্থা বুঝিয়েছি। সেখানকার দরিদ্র শিক্ষার্থী ও রোগীদের কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, যদি তোমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পার , তবে আমি তোমাদের সহযোগিতা করবো। উনি যে আমাকে কোন কাজে নিয়োগ দিয়েছেন তা নয়। উনার কাজ আমি ছেলেবেলা থেকেই খুব পছন্দ করি।