চামড়া ফর্সা ও নরম ত্বরান্বিত করা :
১. মুখ পরিস্কার করার পর আপনারা জলপাই তেল এবং অল্প লবণ মিশিয়ে মাস্ক তৈরী করুন । তারপর তা আস্তে চেহাড়ার ওপর রেখে দিন এবং মাসাজ করেন । কয়েক মিনিট পর গরম তোয়ালে মুখে রাখুন । তারপর পানি দিয়ে মুখ পরিস্কার করুন , আপনারা ফরসা ও নরম চেহারা দেখতে পাবেন ।
২. ৫০ মিলিলিটার দূধের মধ্যে কিছু জলপাই তেল এবং ময়দা রাখুন, তারপর এসব জিনিস মিশিয়ে পেস্ট করুন এবং মুখের ওপর রাখুন । ২০ মিনিট পর, পানি দিয়ে তা পরিস্কার করুন , আপনার মুখ আরো নরম হবে ।
৩. এক চামচ চিনি এবং কিছু জলপাই তেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরী করুন , প্রত্যেক সপ্তাহে তিন বার তৈরী করুন । কার্যকরভাবে ত্বকের সূক্ষ্মরন্ধ্র ছোট করবে এবং চামড়া আরো ফর্সা হবে ।
চোখের ভাঁজ প্রতিরোধ করা :
১.বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চেহারায় নানা ধরনের ভাঁজ সৃষ্টি হবে । ঘৃতকুমারী পাতার রস অল্প জলপাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চোখ বা চেহারার ভাঁজের ওপর দিন , অবিলম্বে দেখতে পাবেন এসব ভাঁজ হাল্কা হয়ে গেছে ।
২. একটি ডিম , অর্ধেক লেবু ,কিছু লবণ অল্প জলপাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে রিফরিজারেটরে রাখুন, প্রত্যেক সপ্তাহে এক বা দুই বার ব্যবহার করুন, দীর্ঘকাল ব্যবহার করলে চোখের ভাঁজ স্পষ্টভাবে কমে যাবে ।
৩.শীতকালে ঠোঁট সংরক্ষণ করা:
শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়া বা শরীরের ঠাণ্ডা লাগানোর সময়ে আমাদের ঠোঁট সহজভাবে শুষ্ক হয়ে যায় । এ সময় আমরা ঠোঁটের ওপর কিছু জলপাই তেল ব্যবহার করলে, দুই বা তিন দিনের মধ্যে ঠোঁটের অবস্থা ভালো হবে । এর উপায় খুবই সহজ । শুধু রাতে ঘুমের আগে গরম তোয়ালে ঠোঁট পরিস্কার করে কিছু জলপাই তেল ঠোঁটের ওপর রেখে দিন ।
চুল উজ্জ্বল ও মসৃন হবে :
সবসময় চুল ধোয়ার জন্য আমাদের চুল সহজে শুষ্ক হয়ে যায় এবং পড়ে যায় । এ অবস্থা কেউ পছন্দ করে না । এ জন্য চুল ধোয়ার পর কিছু জলপাই তেল ব্যবহার করে গরম তোয়াল দিয়ে চুল বেধে রেখে এবং পানি দিয়ে ঠুয়ে ফেলুন । আপনার চুল শুকানোর পর দেখতে উজ্জ্বল হবে ।
তা ছাড়া, হাত শুষ্ক হয়ে গেলে জলপাই তেল ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে, হাতও নরম হবে ।
|