v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-13 21:04:56    
যুব চলচ্চিত্র পরিচালক লিউ চিয়ে

cri
    চীনের ছবি "কোর্টহাউস অন দি হর্সব্যাক" সম্প্রতি ইতালির ৬৩তম ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবের পুরষ্কার পেয়েছে। এই ছবির পরিচালক হলেন লিউ চিয়ে ।

    ৩৮ বছর বয়স্ক লিউ চিয়ে চলচ্চিত্র তৈরীর শুরু করার আগে কিন্তু একজন চিত্র শিল্পী হতে চাইলেন। হাই স্কুলে পড়ার সময় তার স্বপ্নের পরিবর্তন হয়। পেইচিং চলচ্চিত্র ইন্সটিটিউটে ফটোগ্রাফী শেখার পর তিনি স্বাধীনভাবে প্রযোজক হয়েছেন। এর ফলে তিনি অনেক কিছু শিকতে পেয়েছেন:

    "আমি ফটোগ্রাফী শিখেছি। তাই পড়াশোনা শেষে প্রথমে একজন ফটোগ্রেফার হতে চাইলাম। কিন্তু পছন্দমত চাকরি পাই নি। তখন অনেক চিন্তা করেছি, কারণ আমি আমার এই স্বপ্নটিকে ছাড়তে চাই না। অবশেষে হঠাত্ একদিন পরিচালক ওয়াং সিয়াও শুয়াই'র সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনিও এখন এমন অবস্থায় ছিলেন। তাই আমরা দুজনে ইনডিপেন্টেট প্রোডিউসার হয়ে একসঙ্গে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে কাজ করেছি।"

    ওয়াং সিয়াও শুয়াই'র ছবি সব সময়েই সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা নিয়ে তৈরী করা হয়। এই বৈচিত্র ময়তা লিউ চিয়ের উপর প্রভাব ফেলেছে।

    ২০০৩ সালে লিউ চিয়ে চীনের ইয়ুন নান প্রদেশের একটি ছোট শহর নিং লাংয়ে গেছেন। সেখানকার লোক জন দরিদ্র এবং পাহাড় বেষ্টিত অঞ্চল। খরচ বাঁচানো এবং আইনী তথ্য প্রচারের জন্য স্থানীয় বিচারকগণ ঘোড়ায় চড়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বিচার কাজ সম্পন্ন করেন। এই ঘটনা জেনে লিউ চিয়ে খুব মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি ৬ বার সেখানে গিয়েছেন এর সত্যতা ডেনে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। লিউ চিয়ে নিজেই বলেছেন:

    "আমি ভেবেছি এটি একটি ভাল সুযোগ। এর মাধ্যমে আমরা গ্রামাঞ্চলের আইন ব্যবস্থা প্রণয়নের ব্যাপারে নজর রাখতে পারি। কারণ এই সমস্যা ব্যাপকভাবে চীনের গ্রামাঞ্চলের সমস্যা। কিন্তু আগে কেউ এর প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি। আমি মনে করি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই সমস্যাটি জনসাধারণের কাছে তুলে ধরবো।"

    এই ছবি শুটিং'য়ের সময়ে কেউ কেউ মনে করে যে এই বিষয়ের ছবিটি হয় তো ভাল আয় করতে পারবে না। কিন্তু লিউ চিয়ে মনে করেন তাদের কষ্টের জীবনকে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা তার দায়িত্ব। তিনি নিজের বিয়ের জন্য জমানো টাকাগুলোও এই ছবিতে বিনিয়োগ করেছেন। ছবি মুক্তি পাওয়ায় সমাজের বোদ্ধা ব্যক্তিত্ব এবং সরকার ও আইন ক্ষেত্রের সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। এবং ৬৩তম ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবের পুরষ্কার পেয়েছে। এই নিয়ে লিউ চিয়ে মনে করেন:

    "কিছু কিছু লোক হয়তো মনে করেন যে এই সমস্যা তাদের কাছ থেকে অনেক দূরে। তাদের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, এ নিয়ে তাদের চিন্তা নেই, চাপও নেই। কিন্তু আইন বিশেষজ্ঞগণ সহজেই এই ছবিতে গ্রামাঞ্চলের বিচারকও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে না। কারণ এটি একটি বাস্তব সত্য। তা চীনের আইনগত কাঠামো গঠনের পথে একটি বাধকতা সৃষ্টি করবে।"

    লিউ চিয়ে বলেছেন, "কোর্টহাউস অন দি হর্সব্যাক" হলো তার প্রথম ছবি। তা নিয়ে ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবে অংশ নেয়ার সময়ে তিনি কখনই পুরষ্কার পাওয়ার কথা চিন্তা করেন নি। কিন্তু নির্বাচন কমিটি এই ছবি'র ভূয়সী প্রশংসা করেছে। ছবিটি দেখে সবাই মুগ্ধ হয়েছে। তাদের স্বীকৃতি পেয়ে লিউ চিয়ে খুব খুশি এবং কৃতজ্ঞ।

    ফটোগ্রাফার থেকে পরিচলক লিউ চিয়ে নিজের সাফল্য নিয়ে কিন্তু খুব তৃপ্ত। তিনি মনে করেন বর্তমানে চীনের চলচ্চিত্র মহলে ভালোভাবে বাস্তব সমস্যা তুলে ধরছে এমন ছবি কিন্তু খুবই কম। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে তিনি আরো বেশি সাধারণ মানুষের জীবন সংক্রান্ত ছবি তৈরী করতে পারবেন। যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের সুখ ও দুঃখ এবং তিনি তার ছবির মাধ্যমে প্রতিফলিত করতে চান নিঃসংকোচে।