v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-13 16:09:20    
সন্ত্রাস দমনের জন্যে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাকিস্তানের সফর

cri
    মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ১২ ফেব্রুয়ারী ইসলামাবাদে পৌঁছে পাকিস্তানে তাঁর স্বল্পকালীন সফর শুরু করেছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হচ্ছে তাঁর প্রথম পাকিস্তানের সফর। গেটস পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশার রফের সঙ্গে বৈঠকের পর অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বসন্তকালে আফগানিস্তানে তালিবানের ব্যাপক হামলা দমনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে সাহায্য চাইবে।

    গেটস রাওয়ালপিণ্ডিতে মুশার রফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নেতৃদ্বয় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আফগানিস্তান পরিস্থিতি, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তের নিরাপত্তাসহ অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মত বিনিময় করেছেন। অব্যাহতভাবে অবনতিশীল আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, বিশেষ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে সীমান্ত লংঘন এবং সন্ত্রাসী তত্পরতা হচ্ছে দু'পক্ষের বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুশার রফ পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান আগের মত ভবিষ্যতেও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষার জন্যে প্রচেষ্টা চালাবে। তিনি আফগানিস্তান, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তানে অবস্থিত ন্যাটোর যৌথ বাহিনীকে সহযোগিতা করার লক্ষে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে আফগানিস্তানে তালিবান সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী তত্পরতা চালানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আফগানিস্তানের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির মূল কারণ হচ্ছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান নয়।

    উত্তর ওয়াজিরিস্তানের শান্তি চুক্তি সমস্যা প্রসঙ্গে মুশার রফ স্বীকার করেছেন যে, গত বছরে পাকিস্তান সরকার আফগানিস্তান সংলগ্ন পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে, এই চুক্তি পুরোপুরিভাবে কার্যকর হয়নি। কিন্তু পাশাপাশি দেখা যায় যে, সন্ত্রাস দমন হচ্ছে জনগণের মন জয় করার একটি প্রক্রিয়া। তাই সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের উপর চাপ প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে এর মূল কারণ খুঁজে বের করা উচিত। রাজনৈতিক প্রচেষ্টার ভূমিকা ত্যাগ করা উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে গেটস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান সরকার তার স্বায়ত্তশাসিত এলাকায় শান্তি স্থাপনে সহায়তা করবে।

    পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে সীমান্ত লংঘন করা সন্ত্রাসী তত্পরতা প্রসঙ্গে মুশার রফ বলেছেন, সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে আফগানিস্তানের শরণার্থী শিবিরকে তাদের আবাসন হিসেবে অভিহিত করছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব শরণার্থী শিবির বন্ধ করা এবং ধাপে ধাপে পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থী প্রত্যর্পণ করা সীমান্ত লংঘন করা সন্ত্রাসী তত্পরতা দমনের জন্যে খুব জরুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে এ ক্ষেত্রে কিছুটা বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে। তা সত্ত্বেও, পাকিস্তান সরকার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তের কিছু কিছু অঞ্চলে পৃথকীকরণ ব্যবস্থা নির্মাণ করা এবং স্থল মাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে কার্যকরভাবে সীমান্ত পার হওয়ার তত্পরতা বন্ধ করা যায়। গেটস সন্ত্রাস দমন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবদানের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান হচ্ছে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় মিত্র। তিনি আরো বলেছেন, পাকিস্তানের সাহায্যে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে তালিবান সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নির্মূল করা সম্ভব হবে।

    মুশাররফের সঙ্গে বৈঠকে গেটস সন্ত্রাস দমন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এ ছাড়াও, আফগানিস্তান সমস্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভুল নীতির কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। এ থেকে পুরোপুরিভাবে বোঝা যায় যে, আফগানিস্তানের অবনতিশীল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সামরিক শক্তি বাড়ানো এবং সন্ত্রাস দমন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষের মতামত সম্বনিত করাকে সন্ত্রাস দমনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

    বিশ্লেষকরা বলেছেন, বসন্তকালের শুরু এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে প্রস্তুতি নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনের অভিযান আরো জোরদার করা হবে। সন্ত্রাস দমন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির সরাসরি পরিবর্তন ঘটাবে, এবং মুশাররফ সরকারের ওপর গভীর প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।