v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-12 19:09:29    
প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের আফ্রিকা যাত্রা মৈত্রী ও সযোগিতার যাত্রা

cri
    চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও আফ্রিকার আটটি দেশে আনুষ্ঠানিক সফর শেষ করে ১০ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় বিশেষ বিমান যোগে স্বদেশের উদ্দেশ্যে সিচেলস ত্যাগ করেন । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেছেন , আফ্রিকার আটটি দেশে তার সফর সফল হয়েছে । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ১১ দিনে প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ক্যামেরুন ,লাইবেরিয়া , সুদান , জাম্বিয়া , নামিবিয়া , দক্ষিণ আফ্রিকা, মোজাম্বিক ও সিচেলসে রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন । তার বর্তমান আফ্রিকা সফর সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেছেন , এগারো দিনব্যাপী আফ্রিকা যাত্রায় আমি ও আমার সফরসঙ্গীরা আফ্রিকার আটটি দেশ সফর করেছি । সফরকালে কর্মসূচী ছিল খুব বেশি । আমি আটটি আফ্রিকা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাত ও বৈঠক করেছি এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন , চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফল বাস্তবায়ন , অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে মতবিনিময় করেছি এবং ব্যাপকভাবে মতৈক্য পৌঁচেছি । সফরকালে চীন ও আফ্রিকার এ আটটি দেশের মধ্যে অর্থনীতি , বাণিজ্য , সংস্কৃতি , স্বাস্থ্যরক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । আমি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াবিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছি । ভাষণে আমি চীন ও আফ্রিকার যুব সমাজের মধ্যে      বন্ধুত্ব বাড়ানো , ঐতিহ্যিক মৈত্রী সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করে তোলা , সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বাড়ানো এবং চীন ও আফ্রিকার মধ্যে নতুন ধরনের অংশীদারী সম্পর্কের উন্নয়নের প্রস্তাব করেছি ।

    প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের বর্তমান আফ্রিকা সফরের আটটি দেশের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এ আটটি দেশের মধ্যে যেমন রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম দেশ সুদান , তেমনি রয়েছে আফ্রিকার সবচেয়ে ছোট দেশ সেচেলস । এ ছাড়াও রয়েছে আফ্রিকার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিতগুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লাইবেরিয়া । আফ্রিকার এই আটটি দেশের বাস্তব অবস্থা একই নয় এবং সংস্কৃতিরও তারতম্য আছে । কিন্তু এ আটটি দেশ চীনের সঙ্গে মৈত্রী বাড়ানোর আন্তরিক আকাংখা পোষণ করে এবং প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওকে আন্তরিক সংবর্ধনা ও আতিথেয়তা দেখিয়েছে ।

    প্রেসিডেন্ট হুন চিন থাও তার আফ্রিকা যাত্রায় ঋণ মওকুফ করা , চীনে রপ্তানির জন্য আফ্রিকার শূন্য শুল্ক হারযুক্ত পন্যের সংখ্যা বাড়ানো , আফ্রিকার পল্লী অঞ্চলে স্কুল ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় ও কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব এবং আফ্রিকায় প্রথম আর্থ-বাণিজ্যিক উন্নয়ন অঞ্চল ও স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠার বাস্তব পরিকল্পনা পেশ করেছেন । তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আফ্রিকার সঙ্গে সহযোগিতার ব্যাপারে চীন নিজের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখবে । চীন সমতার ভিত্তিতে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াবে এবং সহযোগিতা সফল করার আন্তরিক প্রচেষ্টাচালাবে ।

    চীন ও আফ্রিকার বাণিজ্যের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশ তরান্বিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও স্পষ্টভাষায় উল্লেখ করেছেন , চীন সরকার চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে রপ্তানির পরিমান বাড়ানোর মাধ্যমে অন্য দেশের বাজার দখলের চেষ্টাকে সমর্থন করবে না । চীন আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আমদানি বাড়ানোর ব্যবস্থা নেবে এবং আফ্রিকার কিছু রপ্তানি পণ্যের শুল্ক কমিয়ে দেওয়া অথবা মওকুফ করবে ।

    আফ্রিকার আটটি দেশের নেতৃবৃন্দ আফ্রিকা -চীন মৈত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন , প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের বর্তমান সফর অভূতপূর্ব ও ঐতিহাসিকভাবে তাত্পর্যসম্পন্নএকটি সফর , চীন আফ্রিকার বন্ধু ,আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সহযোগিতা রাষ্ট্র-রাষ্ট্র সহযোগিতার একটি উজ্জ্বলদৃষ্টান্ত। তারা আরো বলেছেন , চীনের সঙ্গে সহযোগিতা আফ্রিকার নবোত্থানের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

    চীন -আফ্রিকা মৈত্রী সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেছেন , অতীত , বর্তমান ও ভবিষ্যত চীন সবসময়ই আফ্রিকান জনগণের ভালো বন্ধু , ভালো অংশীদার ও সুখদুঃখে সমভাগী ভ্রাতা থাকবে । চীন ও আফ্রিকার জনগণ বংশপরমপরায় বন্ধুত্ব বজায় রাখবে ।