v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-12 18:48:55    
ইরাকে মার্কিন বাহিনীর নব নির্বাচিত পরিচালক কি তার দায়িত্ব ভালভাবে পালন করতে পারবেন?

cri
    ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উর্ধতন পরিচালক ডেভিড পিট্রাউস সবেমাত্র নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি হলেন ইরাকে মার্কিন বাহিনীর তৃতীয় হাই-কমান্ডার। মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, তিনি মার্কিন বাহিনীর কৌশল পরিবর্তন করে নতুন ধারায় মার্কিন বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করবেন। সুযোগ পেলেই তিনি ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অবস্থার পরিবর্তন করবেন। কিন্তু তার এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    ৫৪ বছর বয়স্ক লেকটেন্যান্ট জেনারেল ডেভিড পিট্রাউস প্রধান সেনাপতির অধীনস্ত্র একজন অফিসার। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন। ২০০৩ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর ১০১ ডিভিশনের পরিচালক হিসেবে তিনি সাদ্দাম সরকারকে পরাস্ত করার অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। পরে ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। উত্তর ইরাকের মোসুল শহরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নের সহযোগিতায় তিনি ভাল কাজ করেছেন। তার আগের কমন্ডার জর্জ কেসি'র সঙ্গে ভিন্ন, তিনি মনে করেন সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র আর ইরাককে একসঙ্গে সহযোগিতা চালাতে হবে। কারণ, এই কর্মটি বহনটি এক পক্ষের করা বেশ কঠিন ।

    পিট্রাউস নিযুক্ত হওয়ার দিন বলেছেন, ইরাকের সম্প্রদায়িক সাংঘর্ষিক সমস্যা মিমংশার জন্য নতুন কৌশল বেছে নেবেন। তার নতুন কৌশলের মধ্যে রয়েছে: স্থানীয় নাগরিকদের জন্য বিশেষ আইডি কার্ড তৈরী করা। যার মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য কার্ডের দ্বারা অবিলম্বে সকল তথ্য জানা যায়। সশস্ত্র ব্যক্তিদের সঙ্গে অভিযান চালানোর পর পরই ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে সংঘর্ষ স্থলে ছোট ঘাঁটি স্থাপন করা। যাতে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা সুরক্ষায় সহযোগিতা চালানো যায়। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি বাগদাদকে নয়টি অংশে বিভক্ত করবেন। ৩০টি ঘাঁটিতে মোতায়েন ইরাকী পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মার্কিন বাহিনীর তত্ত্বাবধানে অভিযান চালাবে।

    কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, কৌশল যতই পরিবর্তন করা হোক না কেন মূল সমস্যাটি কিন্তু সমাধান করা যাবে না। পিট্রাউস এখন তিনটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন:

    প্রথমত, ইরাকের সুন্নী ও শিয়া সম্প্রাদায়ের মতভেদ কিভাবে মিমাংশা করা যায় । এটা হলো সবচেয়ে জটিল সমস্যা। যদিও প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির নেতৃত্বাধিন ইরাক সরকার সুন্নী ও শিয়া দুটি সম্প্রদায়ের সশস্ত্র ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আঘাত হানার প্রতিশ্রুত দিয়েছেন। কিন্তু তিনি এ বিষয়টির উপর তেমন জোর দেএন নি। মার্কিন পক্ষ ইরাক সরকারকে মাহদি আর্মিসহ শিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আঘাত হানার ব্যবস্থা কার্যকর হ্চছে না বলে অভিযোগ করে আসেছে, পক্ষান্তরে শিয়া সম্প্রদায় মার্কিন বাহিনীর কাছে আল-কায়েদার উপর আক্রমন চালানোর সঙ্গে সঙ্গে সুন্নী সম্প্রদায়ের সশস্ত্রদেরকেও আঘাত হানার দাবি জানিয়েছে। নিসন্দেহে, ইরাকের দুটি সম্প্রদায়ের মতভেদ কমানো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

    দ্বিতীয়ত, মার্কিন বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো অথবা "বিশেষ আইডি কার্ড" তৈরী করা যে কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে আঘাতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা মুশকিল। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলা কমানো প্রায় অসম্ভব। কয়েক বছর ধরে মার্কিন ও ইরাকী বাহিনী সশস্ত্র ব্যক্তিদের মোকাবেলার জন্য অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।তা সত্বেও সন্ত্রাসী হামলা এখনো মাঝে মাঝে ঘটছে।

    তৃতীয়ত, ইরাকের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ৪ বছর ধরে চলছে। মার্কিন পক্ষের ক্ষতিও গুরুতর। ৩১০০জন সৈন্য ইতোমধ্যেই নিহত এবং কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার সামরিক খাতে ব্যয়ের কারণে মার্কিন নাগরিকদের ইরাকে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। একটি সর্বশেষ জরীপ থেকে জানা গেছে, বুশকে সমর্থনের হার ২০০২ সালের ৮৩ শতাংশ থেকে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের ৩০ শতাংশে নেমেছে। এ থেকে জানা যায়, বুশ সরকার জনসাধারণের সমর্থন হারিয়েছে। জনসাধারণের সমর্থন ছাড়া পিট্রাউসের সামর্থ্য যত বেশিই হোক না কেন, ইরাকের পরিস্থিতির তেমন একটা পরিবর্তন করা সম্ভব নাও হতে পারে।