v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-12 16:53:03    
" ৮৬৩" পরিকল্পনা চীনের উচ্চতর প্রযুক্তির উন্নয়নে অনেক সাহায্য এনে দিয়েছে

cri
    " ৮৬৩" শুধু কয়েকটি সহজ নম্বর নয় ,এমন কি, তাকে অবহেলারও নয়। এই নম্বরের সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা। ২০ বছর ধরে তার সাহায্যে চীনের উচ্চতর প্রযুক্তি গবেষণা ক্ষেত্রের মান অনেক উন্নত হয়েছে বলে বিশ্বের উন্নততরদেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ব্যবধান অনেক কমে গেছে। " ৮৬৩" পরিকল্পনা সম্পর্কে চীনের প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর ফল অর্জিত হয়েছে।

    বিংশ শতাব্দীর ৮০ দশকে তথ্য এবং জীবানু প্রযুক্তিসহ উচ্চতর বৈজ্ঞানিক বিষয়টি প্রধান হিসেবে বিবেচনা করে নতুন প্রযুক্তিগত সংস্কার শুরু হয়েছে। উচ্চতর বৈজ্ঞানিক শিল্প হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার একমাত্র উপায়। যার উচ্চতর প্রযুক্তি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের সব দিকেই তার কার্যক্ষমতা প্রসারিত করতে সক্ষম হয়।

    এর কারণে ১৯৮৬ সালে চীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্চতর প্রযুক্তিগত গবেষণা সংক্রান্ত উন্নয়নশীল পরিকল্পনা চালু হয়েছে। তা হলো " ৮৬৩" পরিকল্পনা। এ বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা জীবানু, বিমান, তথ্য এবং জ্বালানীসম্পদসহ আটটি উচ্চতর প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রের বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণভাবে উন্নয়ন করেছে। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান সু কুয়ান হুয়া বলেছেন, " ৮৬৩" পরিকল্পনা চালু হওয়ার ২০ বছরে দেশী-বিদেশী বিশেষ পেটেন্ট মোট ৮ হাজারেরও বেশি অর্জিত হয়েছে । তা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে । তিনি বলেন:" ২০ বছরে এর ওপর চীন মোট ৩৩ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করেছে। '৮৬৩' পরিকল্পনার দায়িত্ব বহনকারী চীনা প্রযুক্তিকর্মীদের সংখ্যা মোট ১.৫ লাখেরও বেশি। এ পরিকল্পনা চীনের নিজস্ব সৃজনশীল শক্তি ও সার্বিক রাষ্ট্রীয় শক্তিকে উন্নত এবং জাতীয় আত্মবিশ্বাস জোরদারের বিষয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।"

    নিঃসন্দেহ, " ৮৬৩" পরিকল্পনা হলো নয়া চীনে বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মহাপরিকল্পনার অন্যতম। এ পরিকল্পনার ধারাবাহিক গুরুত্ব প্রযুক্তিগত শিল্পের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় চীনে জীবানু ঔষধ এবং তথ্য প্রযুক্তিসহ আন্তর্জাতিক নতুন উচ্চতর প্রযুক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে প্রচুর নিজস্ব পণ্যের গবেষণা হয়েছে। এর মাধ্যমে " সু কুয়াং" নামক হাইটেক কম্পিউটার হলো চীনে তথ্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অর্জিত প্রতীকীকরণের অন্যতম।

    এ কম্পিউটার তৈরী ক্ষেত্রের প্রধান সুন নিং হুই অবহিত করেছেন যে, গত শতাব্দীর ৯০ দশকে " ৮৬৩" পরিকল্পনার সাহায্যে, " সু কুয়াং" নামক ১ নম্বর সুপার কম্পিউটার তৈরী হয়েছে। এটি চীনের হাইটেক কম্পিউটার গবেষণা ক্ষেত্রে সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমিত হচ্ছে। এর পর, কয়েক বছর ধরে চীনের হাইটেক কম্পিউটার গবেষণা ক্ষেত্রে আরো একটি নতুন পর্যায় উন্মোচিত হয়েছে। এতে পরপর কম্পিউটারের চলমান গতি হলো প্রত্যেক সেকেন্ডে ২.৫ , ১০০ এবং ৪০০ বিলিয়নবার থেকে এপর্যন্ত মোট ১০ ট্রিলিয়নবারে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন:

    " বর্তমানে বিশ্বের শুধু তিনটি দেশ এ ধরণের কম্পিউটার নির্মাণে সক্ষম হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান ছাড়া, তা হচ্ছে চীন । আমরা আশা করি ২০০৮ সালে ১০০ ট্রিলিয়নবার হাইটেক কম্পিউটার দেখা দিতে পারে। যাতে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা যায়।"

    এ ছাড়াও, চীনের নিজস্ব তৈরী হাইটেক কম্পিউটারকে " ৮৬৩" পরিকল্পনার অন্যান্য তথ্য শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় ইন্টারনেট হলো এগুলোর অন্যতম।

    এখন " সু কুয়াং" নামক সুপার কম্পিউটার নিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় ইন্টারনেট পেইচিং, শাংহাই এবং হংকংসহ আটটি স্থানে কাজ শুরু হয়েছে। যাতে জমির জরিপ, বিমান নির্মাণ, আবহাওয়া, শিক্ষা এবং পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা যায়। " ৮৬৩" পরিকল্পনার হাইটেক কম্পিউটার এবং গুরুত্বপূর্ণ সফ্টওয়্যার বিষয়ক কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রধান ছিয়ান তে ফেই বলেছেন:" ইন্টারনেট আসলে বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য ভাগাভাগি করতে পারে। যেমন, জমি সংক্রান্ত জরিপ রিপোর্ট করার ব্যাপারে, সারা দেশের ভূ-গর্ভস্থ পানিকে পরীক্ষা করার জন্যে ঐতিহ্যিক উপায় নিয়ে আমাদের প্রায় তিন বছর সময় লেগে যেতো। তবে ইন্টারনেট দিয়ে আমরা শুধু তিন মাসের মধ্যে এখন সব কাজ শেষ করতে পারি।"

    জানা গেছে, " ৮৬৩" পরিকল্পনার পালনের জন্য চীনের উপযুক্ত প্রযুক্তিবিদ এবং সৃজনশীল দলকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে। যাতে সরাসরিভাবে তথ্য প্রযুক্তিগত শিল্পায়ন ও গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠাগুলোর ব্যবহৃত প্রকল্পের স্থাপনকে ত্বরান্বিত করা যায়। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক টেকসই উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখা যায় ।

    উল্লেখ্য, চীনের জীবানু প্রযুক্তিগত শিল্প ক্ষেত্রের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমান হয়েছে মোট ৩৬০ বিলিয়ন ইউয়ান রেন মিনপি।