v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-12 15:35:03    
কুয়াংসি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতির মাধ্যমিক স্কুল

cri
    দক্ষিণ চীনের কুয়াংসি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হচ্ছে সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ঘনবসতি এলাকা । এখানে চুয়াং, মিয়াও জাতি ও ইয়াও জাতিসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতির মোট জনসংখ্যা ১.৮ কোটি। মধ্য কুয়াংসির লিউ চৌ এলাকায় একটি বিখ্যাত মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এই মাধ্যমিক স্কুল "জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক স্কুল", "সংখ্যালঘু জাতির ক্ষেত্রে জাতীয় উন্নত ইউনিট"সহ অনেক গৌরবময় সনদ পেয়েছে। ১৯৯১ সাল থেকে কুয়াংসির বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে চীনের বিখ্যাত ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই স্কুলটি কি করে এতো শ্রেষ্ঠ সাফল্য অর্জন করেছে?

    স্কুলের উপাচার্য হৌ তাই চুং আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, লিউ চৌ এলাকার জাতীয় মাধ্যমিক স্কুল ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে স্কুলের ৫২টি ক্লাস আছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। স্কুলের ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৭০ শতাংশই বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতির ছাত্রছাত্রী। তাদের বেশির ভাগই সীমান্তের দরিদ্র অঞ্চল থেকে এসেছে। উপাচার্য হৌ বলেছেন,

    স্কুলটি গড়ে তোলার সময় উন্নয়নের যে লক্ষ্যকে সবসময়ই বিবেচনায় রেখেছে, তা হলোঃ সংখ্যালঘু জাতির জন্য প্রতিভা গড়ে তোলা, সংখ্যালঘু জাতির দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা পাওয়ার অধিকারকে সুরক্ষা করা এবং সংখ্যালঘু জাতির জন্যে ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ ভর্তি নীতি প্রণয়ন করা।

    এই স্কুল গড়ে তোলার ফলে সীমান্তের অনেক এলাকার পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তির ইতিহাস শুরু হয়েছে। এমনকি অনেক পরিবারে কয়েকজন ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এই স্কুলের চুয়াং জাতির শিক্ষিকা ওয়ে তান কুয়ে হচ্ছেন একটি ছোট পাহাড়ী গ্রামের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছাত্রী। বর্তমানে তিনি এই স্কুলে ইংরেজী শিক্ষাদান করছেন। গত বছর তিনি শিক্ষা বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রী পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি একটি ছোট গ্রাম থেকে এসেছি। তাই আমি সংখ্যালঘু জাতির ছাত্রছাত্রীদের কথা গভীরভাবে অনুভব করি। তিনি আশা করেন, তাঁর মত আরো বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী তৈরী হবে, যাতে তারা গ্রামের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে পারে।

    ১৬ বছর বয়সী ইয়াও জাতির মেয়ে পাং সিয়াও ইউ হচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণীর একজন ছাত্রী। সে আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন,

    আমার বাড়ি একটি দরিদ্র পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত। এখানে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির হার খুব নিম্ন। আমি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ কাজে লাগতে চাই। কারণ আমি দরিদ্র পাহাড়ী এলাকা থেকে এসেছি বলে আমার মৌলিক জ্ঞান ভালো নয়। তবে স্কুলের শিক্ষকরা আমার বিশেষ যত্ন নিচ্ছেন। তাই আমি দ্রুত উন্নতি লাভ করেছি। তাঁদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

    লিউ চৌ এলাকার জাতীয় মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বেশির ভাগই পাহাড় ও গ্রাম থেকে এসেছে। তাঁদের পরিবারের অবস্থা ভালো নয়। স্কুলে বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে লেখাপড়ার জন্য নির্ভরযোগ্য আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়।

    লিয়াও চিয়া চিয়া হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণীর একজন চুয়াং জাতির ছাত্র। তাঁর জন্মস্থান চিন সিউ জেলা হচ্ছে চীনের জাতীয় পর্যায়ের একটি দরিদ্র জেলা। তাঁর বাড়ি থেকে স্কুল ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। তাই দীর্ঘকালীন ছুটির সময় সে শুধু বাড়িতে যেতে পারে। তিনি বলেছেন,

    সংখ্যালঘু জাতির একজন ছাত্র হিসেবে স্কুলে গিয়ে লেপ ও চাদরের মত কিছু মৌলিক পণ্য পাওয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে কিছু টাকাও পেতে পারি।

    সে সংবাদদাতাকে বলেছে, বর্তমানে সে বেশ কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে চীনের ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। সে নিজেই বিশ্বাস করে যে, সাফল্য অর্জনে সক্ষম হবে।

    বর্তমানে এই মাধ্যমিক স্কুল কম্পিউটার ওয়েবসাইট এবং শিক্ষার নতুন প্ল্যাটফরম গড়ে তুলেছে। শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইটের ব্যবস্থা ও শিক্ষার প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে তথ্যায়নের পরিবেশে শিক্ষাদান ও লেখাপড়ার বিনিময় বাস্তবায়ন করতে পারেন। ছাত্রছাত্রীরা ইন্টার্নেট, ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইট, দূরপল্লার শিক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আরো বেশি তথ্য সম্পদ গ্রহণ করে নিজেকে ভালো ছাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।