v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-09 19:36:09    
নামিবিয়া প্রজাতন্ত্র

cri
    নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হিফিকেফুনয়ে ফোহামবার আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারী নামিবিয়া রাষ্ট্রীয় সফর করেন।

    নামিবিয়া প্রজাতন্ত্র আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির উত্তর দিকে এ্যাংগোলা এবং জাম্বিয়া। পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে বোটসওয়ানা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। পশ্চিম দিকে আটলান্টিক মহাসাগর। দেশটির আয়তন ৮.২ লাখ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা ২০ লাখ ৩ হাজার। এর মাধ্যমে ৮৮ শতাংশ নিগ্রো। দেশটির ৯০ শতাংশ অধিবাসী খৃষ্ট ধর্মে বিশ্বাস করে। সরকারী ভাষা ইংরেজী। জেনারেল ভাষা দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ভাষা এবং জার্মান ভাষা ইত্যাদি। রাজধানী ওয়াইন্ডহোক।

    নামিবিয়ার পূর্ব নাম দক্ষিণ-পশ্চিমা আফ্রিকা। দীর্ঘকাল দেশটিতে ঔপনিবেশিক শাসন ছিলো। ১৫ ও ১৮ শতাব্দীতে নামিবিয়া পরপর নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল এবং ব্রিটেনসহ নানা দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৮৯০ সালে জার্মানী নামিবিয়া দখল করে। ১৯১৫ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের একটি পরাজিত দেশ হিসেবে নামিবিয়া দখল করে এবং ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে দেশটিকে অধিকার করা হয়েছে। এর পর, দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার নেতৃত্বাধীন নামিবিয়ার জনগণ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে সংগ্রাম শুরু করে । ১৯৬৬ সালের আগস্ট মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দেশটির জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দক্ষিণ-পশ্চিমা আফ্রিকাকে নামিবিয়ায় পরিণত করে । ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নামিবিয়ার স্বাধীনতা সংশ্লিষ্ট ৪৩৫ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্যে ১৯৯০ সালের ২১ মার্চ নামিবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটি হলো আফ্রিকায় স্বাধীনতা অর্জনকারী সর্বশেষ দেশ।

    নামিবিয়ায় খনিজসম্পদ প্রচুর। গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ হচ্ছে হীরা, ইউরেনিয়াম, তামা এবং লোহা ইত্যাদি। এর মধ্যে হীরা উত্পাদন খুবই জনপ্রিয়। খনিজ শিল্প হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প । দেশটির ৯০ শতাংশ খনিজ দ্রব্য রপ্তানি হয় । খনিজসম্পদের পরিমাণ সারা দেশের উত্পাদন পরিমাণের ২০ শতাংশ বেশি ।

    সম্প্রতিক বছরগুলোতে নামিবিয়ার পর্যটন শিল্প দ্রুতভাবে উন্নয়ন করেছে। ১৯৯৭ সালে এটি বিশ্ব পর্যটন সংস্থার অন্যতম সদস্যদেশে পরিণত হয়।

    এ পর্যন্ত নামিবিয়া ৯৬টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ চীন নামিবিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর দু'দেশ শান্তিপূর্ণ উপকারিতামূলক সম্পর্কের ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে উন্নয়ন করেছে। একই সঙ্গে দু'দেশ রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করেছে। দু'পক্ষ আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে সমন্বয় ও সহযোগিতা খুবই ঘনিষ্ঠভাবে চালিয়েছে।