v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-09 17:53:34    
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন বিহ্বল করেছে

cri
    দুদিনব্যাপী ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীসম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে ৮ ফেব্রুয়ারী স্পেনের সেভিলিতে শুরু হয়েছে । দিন দিন অবনতি হওয়া আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সম্মেলনেরপ্রধান আলোচ্যবিষয় । যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদেশগুলোকে আফগানিস্তানে আরও বেশি সৈন্য পাঠাতে তাগিদ দিয়েছে বটে , কিন্তু নানা লক্ষণ থেকে মনে হচ্ছে যে , ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবারের সম্মেলনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাবে না ।

    গত মাসে ন্যাটোরঅনানুষ্ঠানিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের পর এবারের অনানুষ্ঠানিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে আবার আফগান কার্যক্রম চালানোর না অসুইবিধা নিয়ে মতামত সমন্বয় করা হয় । অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে কোনো আলোচ্য বিষয় স্থির করা হয় নি এবং কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না । কিন্তু মার্কিন রিপাবলিকান পার্টির কার্যকরভাবে আফগান পরিস্থিতির পরিবর্তন করা ইরাকের অসুবিধা দুর করা বুশ সরকারের মর্যাদা রক্ষার এক মাত্র আশায় পরিণত হয়েছে । আফগানিস্তানে কিছু অগ্রগতি লাভের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকে যততাড়াতাড়ি সম্ভব মিত্রদেশগুলোর সমর্থন পেতে হবে ।

    এই সম্মেলনের প্রাক্কালে মার্কিনীরা ন্যাটোর আফগান কার্যক্রমের সামনের এবং নেপথ্যের " অভিনেতা" হয়েছে । ন্যাটোর ইউরোপের মিত্রবাহিনীর সর্বোচ্চ সেনাপতি , মার্কিন জেনারেল ক্রাটোক গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নতুন পদে নিযুক্ত হয়েছেন। মার্কিন জেনারেল ডান ম্যাকনিল ৪ ফেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানস্থ ন্যাটোবাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক পদে নিযুক্ত হন ।দোনাল্ড রামস্ফেল্ডের বদলে রবার্ট গেইজ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন । তালিবানের নতুন দফার আক্রমণের সম্মুখীন হয়ে সমর্থন আদায় করা প্রথমবার ন্যাটো সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা গেইজ ও ক্রাটোকের প্রধান কর্তব্যে পরিণত হয়েছে ।

    এখন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সত্যিই বিপদজনক । ২০০৩ সালে ন্যাটো আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী বাহিনীর কাছ থেকে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই দেশের হিংসাত্মক তত্পরতা কমেনি বরং বেড়েছে । এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী তালিবান সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী শক্তির২০০৬ সালে ন্যাটো সেনাদের লক্ষ্য করে চালানো সরাসরি আক্রামণ , আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ২০০৫ সালের চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে । এগুলোতে মোট ৪০০০ লোক প্রাণ হারিয়েছে । এ বছর আফগান পরিস্থিতিরআরও অবনতি ঘটেছে । তালিবান নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তারা নাকি বসন্তকালেআরও ব্যাপক আক্রমণ চালাবে । তারা ঘোষণা করেছে , যে কোনো সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্যেতারা ২০০০ মানব বোমা তৈরী করেছে । অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আফগানিস্তান পুনর্গঠনে সরাসরি বাধা দিয়েছে । মাদকদ্রব্য তৈরী ও কেনাবেচার দ্রুত হওয়ায় আরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটছে ।

    এ ধরণের বিপদজনক পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে মোতায়েন ৩৩ হাজার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবাহিনীযথেষ্ট নয় । যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর নেতৃবৃন্দরা বারবার সদস্যদেশগুলোর উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানে সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন । কিন্তু এতে কেউ তেমন সাড়া দেয় নি । গত বছরের নভেম্বর মাসে র শীর্ষ সম্মেলন হোক বা জানুয়ারী মাসের ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন হোক , বিভিন্ন দেশ শুধু মুখে কথা দিয়েছে । ন্যাটোর মহাসচিব জোপ দে হোপ স্চেফার হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন , যদি সৈন্য শক্তিরঅভাবে ন্যাটোর তত্পরতা ব্যর্থ হয় তাহলে আফগানিস্তান সন্ত্রাসী ব্যক্তি রপ্তানির জায়গায় পরিণত হবে । যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন , ক্রাটক এবারের অনানুষ্ঠানিক প্রতিরামন্ত্রী সম্মেলনে সৈন্য বাড়িয়ে দেওয়ার প্যাকেজ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন । পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ৪ মাসে পূর্বআফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে ২০০০ এবং দক্ষিণ অঞ্চলে ১০০০ সৈন্য পাঠানোহবে ।

    এখন যুক্তরাষ্ট্র , বৃটেন , ডেনমার্ক সহ কয়েকটি দেশ ছাড়া অধিকাংশ সদস্য দেশ অভ্যন্তরের চাপে এ ব্যাপারে নিরবতা বজায় রেখেছে । স্পেন, নেডারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ইতালি , তুরস্ক বলেছে যে , তারা সহসা আফগানিস্তানে আরও সৈন্য পাঠাবে না । জার্মানী আফগানিস্তানে ৬টি পর্যবেক্ষণ বিমান পাঠাবে বলে ৭ ফেব্রুয়ারী স্বীকার করেছে , কিন্তু তারা সৈন্য পাঠাতে অস্বীকার করেছে।