v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-09 17:04:40    
ট্রাফিক আর্ট শিল্পী রূহুল আমীন কাজলের দেয়া সাক্ষাত্কারের দ্বিতীয় অংশ

cri

 প্রঃ আপনি বলছেন বাজার অর্থনীতি

 উঃ হ্যাঁ , মুক্ত বাজারের একটা সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে যার জন্য ক্যাপিট্যালিষ্টরা চীনের দিকে আসার জন্য আগ্রহী। এবং এখানে তাদের ক্যাপিট্যাল তারা তৈরী করছে। তো সমস্ত ক্যাপিট্যালিষ্টদের ক্যাপিট্যাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 প্রঃ আপনি এটাও জানেন যে চীন বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু। বিভিন্নভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। আর্থিক বলেন, কনস্ট্রাকসন বলেন নানা ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি আসলে?

 উঃ হ্যাঁ আমরা ছোটবেলা থেকেই জানতাম যে চীনের সহায়তায় বাংলাদেশে অনেক আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি সাহায্য পেয়েছে এবং চীনের এই সহানুভূতিশীল এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের এশীয়ার দেশের সাথে রাখবে এটাই আমরা চাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যে ভাবে একে অপরকে যে সহযোগিতা করে, তা আমাদের যেটা হচ্ছে চীনের সংস্কৃতির সাথে কিছুটা সংস্কৃতির মিল আছে ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে।

 প্রঃ ওরিয়েন্টাল কালচার আপনি বলতে চাচ্ছেন।

 উঃ হ্যাঁ, ওরিয়েন্টাল কালচার তারপরে দার্শনিক ভিত্তি ও সমাজ ব্যবস্থা যেটা আমরা ছোট বেলা থেকেই বা আমাদেরও পূর্বের পৌরানিক সব ইতিহাস থেকে দেখা যায় যে দার্শনিক ভিত্তিক ভারতীয় উপ-মহাদেশের। সে দিক থেকে আমাদের প্রায় কাছাকাছি । ভাষা হয়তো দুটো ভিন্ন। সেই মানসিকতা যে সহানুভূতিপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সেটা রয়েছে। সেটাই আমরা প্রকাশ পাই। সেটার প্রকাশটাই আমরা দেখি এবং সেই জন্য আমি আনন্দিত ও গর্বিত বলবো। এ দেশটির সাথে আমাদের বাংলাদেশের চমত্কার সম্পর্ক রয়েছে। এবং চীনে যে এ রকম একটা বাংলা বিভাগ রেডিও চৈনিক ভাষার লোকেরা বাংলা ভাষায় বলছে এটাতে আমি সত্যি আশ্চর্য এবং আনন্দিত।

 প্রঃ আচ্ছা মিঃ কাজল আপনিতো মূলত একজন শিল্পী। আপনি এ পর্যন্ত দু'বার চায়নায় এসেছেন। চীনের শিল্পকর্ম নিয়ে আপনার কি উপলব্ধি বা মূল্যায়ন কি? আপনিতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন, দেখেছেন। একটু আগে টেরা কোটার কথা বললেন।

 উঃ এখন চীনে যে ট্রাডিশনাল কাজকর্ম হচ্ছে তা অবশ্যই এক বিশেষ ধরনের। বিশ্বের অন্য কোথাও এই ধরনের শিল্পকলার নিদর্শন পাই না। আমি সবসময়ই চীনের ওয়াটার কালার, ল্যান্ডস্কেপ এ সম্পর্কে খুব আগ্রহী ছিলাম দেখে আমি মুগ্ধ। দেখি এত সিমপ্লিসিটি যে সিমম্পল ব্রাশ দিয়ে ছবি আঁকা , প্রকৃতিকে একটু বাহ্যিকভাবে প্রকাশ করা। এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয় যে এই মাধ্যমে এই ধরনের প্রকাশ ভঙ্গি যেটা আমাদের ওখানেও জল রঙের ছবিগুলোতে পাওয়া যায় কিছু কিছু। অনেক শিল্পীরাও চীনের থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ছবি এঁকেছেন।

 প্রঃ আপনি কি বলবেন যে বাংলাদেশে যারা শিল্পকর্ম নিয়ে কাজ করছেন, শিক্ষা নবিশ আটিষ্ট তাদের কি চীনের এই জল রং থেকে কি অনেক কিছু শেখার আছে?

 উঃ হ্যা, মনে করি শেখার আছে এই জন্য যে জল রং সাধারণত কাগজে ব্যবহার হয় এবং চীনের কাগজের একটা ট্রাডিশন আছে। চীনই প্রথম কাগজ তৈরী করে এবং তাদের যে বিশেষ ধরনের জল রংয়ের ওপর কাজ করা হয় এবং টেকনিকের থেকে একটা নতুন দিক তৈরী করে এবং একটা নতুন প্রকাশ ভঙ্গিও দেখা দেয়। সেখানে একে অপরের কাছ থেকে যে সুযোগগুলো পায়, সেটা আমাদের মধ্যে যখন আসছে , আমি মনে করি অনেক শিল্পী এবং ছাত্র চীনে এসেছে এবং চীন থেকে অনেক কিছুই গ্রহণ করেছে এবং উত্তোবোত্তর দিক নির্ণয় করার সুযোগ পাচ্ছে। আধুনিক চীনের শিল্পকলা আমি কিছু কিছু দেখার সুযোগ পেয়েছি। চীনের একজন শিল্পীর সাথে যৌথ প্রদর্শনীতেও ছিলাম। আধুনিক শিল্পীদের মাঝে পশ্চিমা ধ্যানধারনা প্রভাবিত হয়েছে এবং জীবন যাত্রাও যে ভাবে বাড়ছে সে রকম ভাবেই আগাচ্ছে। এটাই হয়তো স্বাভাবিক মানুষের জীবন যাত্রার সাথে তাদের দ্রব্যবাদী একটা প্রবণতা সেইটা একই তালে চলে। শিল্পকলাতেও সেটা প্রভাব ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক। তারপরে চীনের ভাষ্কর্য আমার কাছে খুবই ভালো লাগে যেটা আমি মনে করি যে, একটা বিশেষ পদ্ধতিতে তারা ভাষকর্য করে। সেটার কিছুটা সুযোগ পেয়েছি। চীনের একজন শিল্পীকে আমি ডেনমার্কে আমন্ত্রণ করেছিলাম পাথরের ভাষ্কর্য করার জন্য। সেখান থেকে আমি দেখেছি তাদের কর্ম পদ্ধতি। এখানে এসেও দেখলাম ভাষ্কর্যের একটা ট্র্যাডিশন তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে ইদানিং আধুনিক ভাষ্কর্যের মধ্যে মেটাল দিয়ে তৈরী করা। বিভিন্ন পদার্থের ওপর নিকেল, চমত্কার একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট তৈরী করেছে চীন।

 প্রঃ আপনি কি আমাদের চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশে যারা শিল্পকলা নিয়ে কাজ করছেন। এদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন খুব সংক্ষেপে?

 উঃ শিল্পকলা মাধ্যমটাই অন্যান্য মাধ্যমের তুলনায় একটা বিশেষ মাধ্যম যেহেতু এর কোন শব্দ নেই, কোন ভাষা তৈরী হয় না। তারপরও শব্দ তৈরী করতে হয়, ভাষা তৈরী করতে হয়। সে কারণে সব শিল্পীদের প্রথা বোধ থাকা প্রয়োজন। শুধু রং দিয়ে একটা বিষয় নিয়ে ছবি আঁকলেই ছবি হয় না। সেখানে একটা ভাষা সৃষ্টি করতে হয় শব্দ তৈরী করতে হয়। কোন ছবিতে সে রকম কিছু তৈরী করতে হলে নিজের ভেতরে সে রকম মানসিক বোধ যেটা কমিটমেন্ট এবং সত্যতা বোধও থাকতে হয়। এবং নিজস্বতা রাখার চেষ্টা করাটাই সবচেয়ে ভালো অনুকরণ করার চাইতে সরাসরি।

 প্রঃ মিঃ কাজল আমাদের স্টুডিওতে আসার জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 উঃ আমিও আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমন্ত্রণ করার জন্য। আমি সত্যিই খুব গর্বিত বোধ করছি যে চীনের বাংলা বিভাগের রেডিওতে এসে কিছু কথা কলার জন্য।