v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-08 19:51:23    
চীনা সভ্যতা আফ্রিকা সভ্যতার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়

cri
    আফ্রিকা সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ৭ ফেব্রুয়ারী আফ্রিকার বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ সংক্রান্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার মারোফেং মানবজাতির জন্মস্থল পরিদর্শন করেছেন। চীনা জনগণের আফ্রিকান জনগণের প্রতি গভীর ভালবাসা জানানোর জন্য চীন সরকার আফ্রিকার বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ সংক্রান্ত তহবিলে ১০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে আফ্রিকার বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ সুরক্ষার বিষয়টি সমর্থন করেছেন ।

     মারোফেং সভ্যতার উত্পত্তিস্থলের আয়তন ৫০ হাজার হেকটর । দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরের পশ্চিমাঞ্চলের একটি খাদে অবস্থিত। স্টের্কফন্টেইন গুহা ও এর কাছাকাছি এলাকায় প্রাচীণ মানবজাতির জীবাশ্ম পাওয়া গেছে । এখানে মোট ৩ শো'র বেশি দর্শনীয় স্থান আছে।

    এ ধ্বংসাবশেষ সংক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার গাউটেং প্রদেশের গভর্নর ম্বহাজিমা শিলোওয়া অবহিত করেছেন যে, মারোফেংয়ের অর্থ হচ্ছে মানবজাতির উত্স । ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো স্থানটিকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। যাতে এখানে আবিষ্কৃত প্রাচীণ মানবজাতির বসবাসকারী প্রমাণ রক্ষা করা যায়। তিনি বলেন:" এ ধ্বংসাবশেষ প্রমাণ করেছে যে, আফ্রিকা হলো মানবজাতির উত্স্য স্থান। মারোফেংকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ তালিকায় অন্তর্ভূক্তহওয়ার ১২ বছর আগে, পেইচিং মানুষ সংক্রান্ত মানবজাতি ধ্বংসাবশেষও বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এ দু'টি মানবজাতি ধ্বংসাবশেষ আর চীন-দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য মানব সভ্যতার প্রমাণ আবিষ্কার করেছে বলে চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাংস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।

    তিনি আরো বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন জাতির ভাষা , সংস্কৃতি এবং আচার ভিন্ন ভিন্ন। তবে আমাদের মিলিত প্রাচীণ ইতিহাস আছে। আমরা হচ্ছি " এক পরিবারের লোক"।

    প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও এ ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনের পর বলেছেন, ধ্বংসাবশেষের মূল্যবান জীবাশ্ম পুরাকীর্তি আরও প্রমাণ করেছে যে, আফ্রিকা হচ্ছে মানবজাতি সভ্যতার উত্পত্তিস্থল। আফ্রিকা মানবজাতির উন্নয়নে বিরাট অবদান রেখেছে। এর জন্য চীন সরকার আফ্রিকার বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ তহবিলে মোট ১০ লাখ মার্কিন ডলার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হু চিন থাও বলেন:" আমরা আশা করি , দু'দেশের প্রাচীণ মানবজাতি বিষয়ক গবেষকরা পারস্পরিকভাবে যোগাযোগ ও সহযোগিতা করবেন , প্রাচীণ মানবজাতির গোপন ইতিহাস আরও জানার জন্য প্রচেষ্টা চালাবন । আমি বিশ্বাস করি, চীনা ও আফ্রিকার সভ্যতা মানবজাতির সাংস্কৃতিক মূল্যবান ঐতিহ্য হিসেবে মানবজাতির শান্তি ও উন্নয়নের জন্য বেশি অবদান রাখবে।"

    এ  অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকার শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ফাল্লো জোর্ডান বলেছেন, ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারী চীন-দক্ষিণ আফ্রিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর, দ্বিপক্ষীয় পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়েছে। এ উপলখ্যে , তিনি চীন সরকার আর প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন:"ধ্বংসাবশেষ , সংস্কৃতি এবং শিল্পের সামাজিক উন্নয়নে অনেক অবদান রয়েছে। তাই মারোফেংয়ের মতো এ ধরণের বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ রক্ষা করায় তা দক্ষিণ আফ্রিকা এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। চীন আফ্রিকার বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ তহবিলে সাহায্য করেছে বলে বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ মানবজাতির জন্য আরও কল্যান বয়ে আনবে। এর জন্য আমি দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের লক্ষ থেকে চীনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ।"

    ২০০৬ সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পদ সংক্রান্ত তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হয় । এটি ইউনেস্কোর অন্তর্ভূক্ত । এর লক্ষ হলো সাহারার দক্ষিণাঞ্চলের দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর বিশ্ব উত্তরাধিকার সম্পদ সুরক্ষায় অর্থ দেয়া।