উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রতিনিধি দলের নেতা , উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উ তাওয়েই সম্মেলনের অগ্রগতি সম্পর্কে নিজের মত ব্যাখ্যা করে বলেছেন , আমরা আজ আবার পেইচিংয়ে মিলিত হয়ে " অভিন্ন বিবৃতি" বাস্তবায়ন কার্যক্রম সম্পর্কে যে মত বিনিময় করছি তা অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ । যাতে এবারের সম্মেলন অভিন্ন বিবৃতি বাস্তবায়নের এক শুভ সূচনা এবং কোরীয় পরমাণু সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ার এক নতুন সূচনায় পরিণত হতে পারে তার জন্যঅতীতের দুবার সম্মেলন ও বহু ধরণের দ্বিপক্ষীয় সম্মেলনের ভিত্তিতে বিভিন্ন পক্ষ নতুন প্রচেষ্টা চালাবে বলে আমি আশা করি ।
পঞ্চম দফার ৬ পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলন গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে । বিভিন্ন পক্ষ " চতুর্থ দফা ৬ পক্ষীয় বেঠকের অভিন্ন বিবৃতি" বাস্তবায়নের ব্যবস্থা ও শুরুতে বিভিন্ন পক্ষের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেছে । সম্মেলনের বিরতিকালে বিভিন্ন পক্ষ নানা পদ্ধতির মাধ্যমে সহযোগিতা বজায় রেখেছে । বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতাদের বার্লিন বৈঠক সাফল্যহয়েছে ।
৭ ফেব্রুয়ারী থেকে যুক্তরাষ্ট্র , দক্ষিণ কোরিয়া , জাপান , রাশিয়া, উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দল পরপর পেইচিং পৌঁছে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছে । চীনের প্রতিনিধি দলের নেতা উ তা ওয়েই যথাক্রমেঅন্য পাঁচটি দলের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ৬ পক্ষের প্রতিনিধি দলের নেতাদের সভা অনুষ্ঠিত হয় । বিভিন্ন পক্ষ বর্তমান পর্যায়ের সম্মেলনের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং সম্মেলনের ইতিবাচক অগ্রগিত সম্পর্কে আশাবাদী ।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতা খ্রিস্টোফার হিল ৮ ফেব্রুয়ারী বলেছেন , এটা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন । ৬ পক্ষীয় বৈঠকে উপদ্বীপের পারমাণিবকমুক্তকরণের লক্ষ্য বাস্তবায়ণ করতে হবে । বিভিন্ন পক্ষ এই সমস্যার সমাধানের জন্যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে । " চতুর্থ দফার ৬ পক্ষীয় বৈঠকের অভীন্ন বিবৃতি" বাস্তবায়ন করতে যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার তেমনি ৬পক্ষেরঅভিন্নঅংশ গ্রহণ দরকার ।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতা চুন ইয়ুন ও বলেছেন , আমি মনে করি ৬ পক্ষীয় বেঠক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে । তাই পরবর্তীকালে আমরা অত্যন্ত কঠিন আলোচনার সম্মুখীন হব । এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বিভিন্ন পক্ষের মিলিত প্রচেষ্টা , বুদ্ধি ও নমনিয়তা দরকার ।
জাপান প্রতিনিধি দলের নেতা সাসাই কেনিচিরো বলেছেন , এবারের বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য হল , " অভিন্ন বিবৃতি"র বাস্তবায়ন করা । এর কেন্দ্রীয়সমস্যা হল উপদ্বীপের পারমাণবিক মুক্তকরণ ত্বরান্বিত করা । অভিন্ন বিবৃতির প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রমে ঐকমত্য হওয়া প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।
সবাই উপলব্ধি করেছে যে , পারমাণবিক সমস্যা এক জটিল সমস্যা । কার্যক্রম থেকে কার্যক্রমের সময় যতই ঘনিষ্ঠ হয় বৈঠকের অসুবিধা ততই বেড়ে যাবে । দক্ষিণ কোরিয় দলের নেতা চুন ইয়ুং ও বলেছেন , এখন তাড়াহুড়া করে আশাবাদের সময় নয় । বিভিন্ন পক্ষ কোরীয় উপদ্বীপের অপারমাণবিকের লক্ষ্যের জন্যে ইতিবাচক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ।
|