বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কয়েক ধরনের সবজি রান্না না করে, কাঁচা খেলে সবজির মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদান শরীর বেশি গ্রহণ করতে পারে । নানা ধরনের ভিটামিনের মাধ্যমে মেদ জমাতে পারে তা কমাতে হবে । এ জন্য এসব কাঁচা সবজি খেলে তা শরীরের জন্য সহায়ক হবে এবং শরীরের স্লিম হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।
শসা. শসার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি,ভিটামিন বি ছাড়াও খনিজ পুষ্টিকর পদার্থ রয়েছে । কাঁচা শসা শরীর স্লিম করার জন্য খুবই ভালো । কিন্তু শসার উপর কীটনাশক দেয়ার কারণে শসা খাওয়ার আগে লবণ পানিতে তা কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর খাওয়া ভাল । তা ছাড়া যদি শসা লবণ, চিনি , কাঁচা মরিচ ও তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সালাএর মত তৈরী করেন , তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে নেয়া ভালো । এতে আপনার কাছে সুস্বাদু মনে হবে । তবে মনে রাখবেন দীর্ঘ সময় পর তা খাওয়া উচিত হবে না । কারণ যে কোন শবজী কেটে ফেলার পর দীর্ঘ সময় রাখলে তাতে ব্যবপোরয়া আক্রান্ত হতে পারে ।
টম্যাটো: টম্যাটোর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে । ভিটামিন এ মানুষের চোখ ও চামরার জন্য সহায়ক এবং শরীর স্লিম করার জন্যও সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে । ছোট বাচ্চারা টম্যাটো ছোট ছোট করে তাহলে চিনির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে খেতে খুব বেশি পছন্দ করে । কিন্তু বেশি মোটা লোক, ডায়াবেটিস , উচ্চ রক্ত চাপ রোগীদের চিনির সঙ্গে মেশানো টম্যাটো খাওয়া মোটেই ভালো নয়।
কাঁচা মরিচ: হ্যাঁ বন্ধুরা কাঁচা মরিচ কিন্তু আমাদের খাবারের ধনব্যদিনের সঙ্গে তা রান্নায় খেতে বা কাঁচাই হোক । তাই না ? কাঁচা মরিচের মধ্যে ভিটামিন সি'র পরিমাণ সবচেয়ে বেশি । ভিটামিন সি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধক সামর্থ্য বাড়ায় এবং শরীরের অতিরিক্ত কিন্তু মেদ কমাতে যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে । বন্ধুরা, অভ্যাস না থাকলে এক সঙ্গে খুব বেশী খাবেন না ।
সমস্যা হতে পারে, শাক বা লতা জাতীয় খাবার সম্পর্কে আমাদের বাঙ্গালী বন্ধুদের খুব আকর্ষণ রয়েছে । শাকের সবজির মধ্যে প্রচুর ভিটামিন বি এবং প্রচুর খাদ্যশূল্যসহ এতে রয়েছেঅনেক আশঁ । যা শরীরের রাসায়নিক রূপান্তরের ক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করতে পারে । গ্রীষ্মকালে মানুষের শরীরে বেশী ঘাম হয় । এর ফলে পানির উপাদান কমে যাওয়ার জন্য সহজভাবেই কোষ্ঠ-কাঠিন্য দেখা দিতে পারে । শাক ও লতাপাতা খেলে, তা শরীরে চাহিদানুয়ারী পুষ্টিকর উপাদান প্রদানসহ দেহের চামড়া ও স্নায়ু ব্যবস্থার জন্য খুব সহায়ক । মানুষের শরীরে ভিটামিন বি'র অভাব হলে সহজভাবেই শরীরে ক্লান্তি বোধ ও মুখের বিকৃতি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । বেশি শাক পাতা খেলে তা প্রতিরোধ করা অনেক সহজ হয়ে যায় ।
বিশেষ করে শাক সবজির পাতায় সবচেয়ে বেশি পুষ্টি রয়েছে । শবজী খাওয়ার সময় তার পাতাগুলোকে ফেলে দেবেন না । বন্ধুরা, শাক পাতা কাঁচা অথবা রান্না করে খাবার পূর্বে তা সামান্য লবণ পানিতে কিছু সময় ভিজিয়ে রাখার পর হাল্কা গরম পানিতে ধূয়ে নেয়া ভালো । মনে রাখবেন শাক পাতা খুব বেশী যাতে কিছু না হয়ে যায় ।
বেগুন: বেগুনের মধ্যে অনেক সিলিনিয়ম রয়েছে । টাটকা বেগুনকে ছোট ছোট করে কেটে লবন ও জলপাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে খুব সুস্বাদ্যু লাগবে । সিলিনিয়ম মানুষের শরীরের সেলের স্বাভাবিক সামর্থ্যকে বজায় রাখার পাশাপাশি শক্তিশালী করে থাকে । ফলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমে যাবে এবং ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না ।
|