v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-07 17:02:22    
প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও আফ্রিকান দেশস্থ চীনের অর্থবিনিয়োজিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আলোচনা সভায়  উপস্থিত

cri

    দক্ষিণ আফ্রিকায় রওয়ানা হওয়ার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও ৬ ফেব্রুয়ারী নামিবিয়ায় চীনের অর্থবিনিয়োজিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন । হু চিনথাও উল্লেখ করেছেন , যাতে আফ্রিকার বন্ধুরা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চীনের বিশ্বস্ততাআন্তরিকতা এবং সমতা দেখতে পারেন তার জন্যে তিনি এবার আফ্রিকা সফর করছেন ।

    চীন আফ্রিকার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশিদার । চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সর্বশেষ পরিসংখ্যানে জানা গেছে , ২০০৬ সালে চীন ও আফ্রিকার বাণিজ্যমূল্য ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল । আগের বছরের তুলনায় এটা ৪০ শতাংশ বেশী । ২০০৬ সালের শেষ নাগাদ আফ্রিকার ৪৯টি দেশে চীন মোট৬৬৪ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে । ৬ ফেব্রুয়ারী সকালে নামিবিয়ায় হু চিনথাও তার রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করার আগে চীনের অর্থবিনিয়োজিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোরএক আলোচনা সভায় অংশ নেন । চীনের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রুপ কোম্পানি , চীনের নির্মাণ প্রকল্প কোম্পানি , হাইসন গ্রুপ, হুয়ালি খ্যথাই ঔষধ লিমিডিট কোম্পানির প্রতিনিধিরা আলোচনা সভায় ভাষণ দিয়েছেন । প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও মনোযোগের সঙ্গে তাদের মতামত ও প্রস্তাব শুনেন এবং চীন ও আফ্রিকার আর্থ-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে তত্পর শিল্পপতিদেরকে প্রবীন আফ্রিকান" বলে প্রসংশা করেছেন । তিনি বলেছেন , নতুন বছরের শুরুতে আমি  আফ্রিকাকে আমার প্রথম সফরের গন্তব্য স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছি এর প্রধান উদ্দেশ্য হল , চীন ও আফ্রিকার ঐতিহ্যিক বন্ধুত্বকে সুদৃঢ করা , চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য বাস্তবায়ন করা , সহযোগিতা সম্প্রসারিত করা এবং অভিন্ন উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা । যাতে আফ্রিকান বন্ধুরা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের বিশ্বস্ততা, আন্তরিকতা ও সমতা দেখতে পারেন ।

    হু চিনথাও বলেছেন , আফ্রিকা বৃহত্তম এক মহা দেশ । সেখানে সবচেয়ে বেশী উন্নয়নশীল দেশ কেন্দ্রীভূত রয়েছে । আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে জোরদার করা চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ন ও তাত্পর্যসম্পন্ন । বিশ্বের সুষম উন্নয়ন চীন -আফ্রিকা সম্পর্কের সুষম উন্নয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত । চীন-আফ্রিকা সম্পর্কের সুষম উন্নয়ন অবশ্যই সুষম বিশ্ব গড়ে তোলার জন্যে অনুকূল শর্ত সৃষ্টি করবে । অর্থনৈতিক সহযোগিতা চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশীদারীত্বের সম্পর্ককেজোরদার করার এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি । অর্থনৈতিক দিক থেকে চীন ও আফ্রিকার নতুন কৌশলগত অংশিদারীত্বের সম্পর্কের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হলে চীন ও আফ্রিকান দেশের সমর্থন লাগবে । সহযোগিতা জোরদার করতে দুপক্ষের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মিলিত প্রচেষ্টাও লাগবে ।

    এখন আফ্রিকান দেশগুলো অর্থনীতির উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাপনের মান উন্নত করাকে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রেখে দিয়েছে । এর পরিপ্রেক্ষিতে চীন-আফ্রিকা সম্পর্কে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভূমিকা দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । চীন ও আফ্রিকার সহযোগিতাকে জোরদার করার প্রক্রিয়ায় চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে । হু চিনথাও তিন দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন । এক , নিজের দায়িত্ব মনে রেখে গোটা পরিস্থিতির সেবা করতে হবে । দুই, আস্থা ও গুণমানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখতে হবে আর তিন , সুষম সমাজ গড়ে তুলে জনসাধারণের কল্যাণ সৃষ্টি করতে হবে ।

    হু চিনথাও বলেছেন , আফ্রিকাস্থ চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শুধু নিজ নিজ শিল্পপ্রতিষ্ঠানেরপ্রতিনিধিত্ব করছে তা নয় বরং মহান মাতৃভূমির প্রতিনিধিত্ব করছে । আফ্রিকান জনগণ চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রকল্প , পণ্যদ্রব্য ও সেবামুলক কাজকে চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত করে দেখবেন । হু চিনথাও উল্লেখ করেছেন , চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার দূর দৃষ্টিকোণেদাঁড়িয়ে দেখতে হবে । স্থানীয় লোকদের সঙ্গে সুষমভাবে সহাবস্থান করতে হবে । বিশেষ করে উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক দায়িত্ব বহন করতে হবে । স্থানীয় কর্মসংস্থান , জীবনযাপনের মান উন্নত , পরিসেবামুলক প্রকল্প নির্মাণ , দক্ষ মানুষ লালনপালন , পরিবেশ রক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণকে অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে হবে । আফ্রিকার সমাজে বিশেষকরে ব্যাপক আফ্রিকান জনগণের মধ্যে চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে হবে ।