পঞ্চম দফার ছ'পক্ষীয় বৈঠকের তৃতীয় পর্যায়ের সম্মেলন ৮ ফেব্রুয়ারী পেইচিংয়ে শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলন দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হওয়ায় এক মাসের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই এবারের সম্মেলনের প্রধান প্রসঙ্গ এবং সম্মেলনে সক্রিয় সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষের গুরুত্ব পেয়েছে। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট পক্ষ এ পর্যায়ের সম্মেলনে সক্রিয় অগ্রগতি অর্জিত হওয়ার ওপর আশাবাদ প্রকাশ করেছে।
৬ ফেব্রুয়ারী চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিয়াং ইয়ু তৃতীয় পর্যায়ের সম্মেলনের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন।
এবারের সম্মেলন আগের মতই প্রতিনিধি দলের নেতাদের সম্মেলন, পূর্ণাংগ অধিবেশনসহ, কিছু দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ গ্রহণের ব্যবস্থা হয়েছে। এবারের সম্মেলনের প্রসঙ্গ হচ্ছে ১৯ সেপ্টেম্বর অভিন্ন বিবৃতি বাস্তবায়নের প্রথম দিকে বিভিন্ন পক্ষের ব্যবস্থা ও কার্যক্রম। চীন আশা করে, বিভিন্ন পক্ষ অভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে এ পর্যায়ের সম্মেলনে সক্রিয় সাফল্য অর্জন ত্বরান্বিত করবে।
চীনের সামাজিক ও বিজ্ঞান এক্যাডেমীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সিন সি ডে বলেছেন,
বর্তমানে বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এবারের সম্মেলন খুব আশাবাদী। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় পর্যায়ের প্যাকেজ প্রস্তাব দিয়েছে। তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবলিউ বুশ এবং মার্কিন সরকারের কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরিহারের বাস্তব ব্যবস্থা নিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবে। উত্তর কোরিয়া ১৯ সেপ্টেম্বর অভিন্ন বিবৃতি বাস্তবায়নের ভিত্তিতে নতুন অগ্রগতি অর্জনের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে। দু'পক্ষের পারস্পরিক আপোষের উপায় খুঁজে বের করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রবণতা অব্যাহত উন্নয়নের লক্ষে তৃতীয় পর্যায়ের সম্মেলনে উত্তর কোরিয়া কিছু পরমাণু স্থাপনা বন্ধ করলে ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে কিছু ক্ষতিপূরণ দিলে তৃতীয় পর্যায়ের সম্মেলন ছ'পক্ষীয় বৈঠকের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
তিনি মনে করেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলনের সুষ্ঠু ভিত্তিতে তৃতীয় পর্যায়ের সম্মেলনে এক অভিন্ন দলিল প্রণয়ন করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবু আশাবাদ প্রকাশ ছাড়াও, তিনিও মনে করেন, বিভিন্ন পক্ষের সাবধান হওয়া উচিত। বিভিন্ন পক্ষ পরবর্তী কোরীয় পারমাণবিক সমস্যার মনস্তত্ত্বের বিকাশে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।
দীর্ঘদিন থেকে কোরীয় পারমাণবিক সমস্যার অনেক কারণ রয়েছে। এই সমস্যা খুবই জটিল। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান উত্তর কোরিয়াকে স্বীকার করে নি। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে নি। দ্বিতীয়ত কোরীয় উপদ্বীপ হচ্ছে উন্নত দেশগুলোর দখল করতে চাওয়া একটি এলাকা। তৃতীয়ত উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এই সমস্যার সমাধান খুবই কঠিন। সুতরাং কোরীয় পারমাণিবক সমস্যা সমাধানের পথে এখনও অনেক অসুবিধা রয়েছে।
তিনি মনে করেন, কোরীয় পারমাণবিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া সুষ্ঠু নয়। তবে কিছু অগ্রগতি অর্জিত হলে এই বিষয়ে আমরা আশাবাদী হবো।
|