নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হিফিকেপুনয় পোহাম্বার আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও স্থানীয় সময় ৫ ফেব্রুয়ারী নামিবিয়ার রাজধানী ভিন্ডহোক পৌঁছে তাঁর নামিবিয়া সফর শুরু করেছেন ।
নামিবিয়া আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে উপস্থিত । এ দেশে প্রচুর সূর্য আছে । আবহাওয়া ভালো । নামিবিয়ার সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে । দেশটি আফ্রিকার সর্বশেষ স্বাধীন হওয়া দেশ । তাই নামিবিয়াকে বলা হয় আফ্রিকার সবচেয়ে তরুণ প্রজাতন্ত্র ।
যখন প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের বিশেষ বিমান ভিন্ডহোক বিমানবন্দরে পৌঁছে , নামিবিয়ার জনগণ তখন নাচ গানের মাধ্যমে অনেক দূর থেকে আসা চীনা অতিথিদের স্বাগত জানায় ।
যদিও চীন ও নামিবিয়া অনেক দূর , তবে দু'দেশের জনগণের মধ্যে মানসিক যোগাযোগ রয়েছে । নামিবিয়ার স্বাধীন হওয়ার পরের দিনে অর্থাত্ ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ চীন ও নামিবিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় । নামিবিয়ার প্রেসিডেন্ট পোহাম্বা জন্য আয়োজিত এক স্বাগত সভায় প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও দু'দেশের জনগণের গভীর মৈত্রীর ভূয়সি প্রশংসা করেছেন , তিনি বলেছেন
নামিবিয়া জাতীয় মুক্তি অর্জনের জন্য যুদ্ধ করার সময় চীন নামিবিয়াকে সমর্থন করে , নামিবিয়া স্বাধীন হওয়ার পর চীন নামিবিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা সম্পর্ক স্থাপন করে । দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ১৭ বছরে অর্থ-বাণিজ্য , শিক্ষা , স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতা , পারস্পরিক সমঝোতা ও মৈত্রী দিন দিন গভীর হয়েছে । আন্তর্জাতিক ব্যাপারাদিতে দু'পক্ষ বরাবরই পরস্পরকে বিশ্বাস এবং সমর্থন করে । নামিবিয়া একচীন নীতিতে অবিচল থেকে চীনের ঐক্যে সমর্থন করেছে । চীনারা ভুলে যাবে না যে , যখন চীন নামিবিয়ার সমর্থন চায় , তখন নামিবিয়া সরকার ও জনগণ দ্বিধা না করে সমর্থন দিয়েছে । চীন নামিবিয়াকে সবেচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু হিসেবে মনে করে ।
গত বছরের নভেম্বর মাসে চীন ও আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলন সাফল্যের সঙ্গে আয়োজিত হয় এবং উল্লেখযোগ সাফল্য অর্জন করে । হু চিন থাও বলেছেন , তাঁর এবারের নামিবিয়া সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হল নামিবিয়ার নেতাদের সঙ্গে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত সব চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করা । নামিবিয়ার অর্থনীতি ও জনগণের জীবনযাপনের মানের উন্নয়নে সমর্থন করার জন্য হু চিন থাও ধারাবাহিক ব্যবস্থা ঘোষণা করেছেন । তিনি বলেছেন :
চীন সরকার নামিবিয়াকে এক অপরিশোধনীয় সাহায্য এবং সুদমুক্ত ঋণ দেবে । ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে চীন নামিবিয়াকে ১ বিলিয়ন ইউয়ানের অগ্রাধিকারমূলক ঋণ ও ১০ কোটি মার্কিন ডলারের অগ্রাধিকারমূলক রপ্তানি ঋণ দেবে ।
পোহাম্বা বলেছেন , নামিবিয়ার জনগণ চীন সরকার ও জনগণের দেয়া মূলবান সমর্থন ভুলে যাবেনা। নামিবিয়া দু'দেশের মৈত্রীর ওপর গুরুত্ব দেয় , বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসারণের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে । তিনি আবার ঘোষণা করেছেন :
নামিবিয়া সরকার একচীন নীতি সমর্থন করে । তাইওয়ান চীনের অবিভক্ত এক অংশ । চীন সর্বভৌমত্ব ও ভূভাগীয় অখন্ডতা রক্ষার জন্যে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে , নামিবিয়া সরকার দৃঢ়ভাবে তা সমর্থন করে । চীন দেশের ঐক্য বাস্তবায়নের জন্য যে চেষ্টা চালিয়েছে , নামিবিয়া সরকার তাও সমর্থন করে ।
|