দক্ষিণ চীনের কুয়াংসি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হচ্ছে সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা । কুয়াংসির লিউ চৌ এলাকায় একটি বিখ্যাত মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এই মাধ্যমিক স্কুল "জাতীয় আদর্শ মাধ্যমিক স্কুল", "সংখ্যালঘু জাতির শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় উন্নত ইউনিট"সহ অনেক গৌরবময় সনদ পেয়েছে। ১৯৯১ সাল থেকে কুয়াংসির বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে চীনের বিখ্যাত ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই স্কুলটি কি করে এতো শ্রেষ্ঠ সাফল্য অর্জন করেছে? ৫ ফেব্রুয়ারী বিজ্ঞান বিচিত্রা আসরে লিলু এ বিষয়ে আপনাদের বলবেন।
চীনের লোকসংখ্যা ১৩০ কোটি। বর্তমানে চীনে যাদের বয়স ষাটের ওপর, তাদের সংখ্যা ১৪.৪ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এটি এশিয়ার বৃদ্ধ লোকদের অর্ধেক। ২০২০ সালে এ সংখ্যা আরো ১০ কোটি বাড়বে। কি করে চীনের বৃদ্ধদের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে নিশ্চয়তা বিধান করা যায়, যাতে তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দে তাদের শেষ জীবন যাপন করতে পারেন। এটি চীনের সমাজের বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। চীন সরকারও এ সমস্যা সমাধানের জন্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ৭ ফেব্রুয়ারী সমাজ দর্পণ আসরে শি চিং উ এ সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন।
২০০৬ সালে চীনে কৃষকরা প্রচুর ফলন পাওয়ার পাশাপাশি নতুন গ্রামাঞ্চলের নির্মাণকাজে সাফল্য অর্জন করেছেন। ২০০৬ সালের শুরুতেই চীনে গত ২৫০০ বছর ধরে চালু থাকা কৃষি কর আদায় সংক্রান্ত ব্যবস্থা তুলে নেয়া হয়েছে। পশ্চিম চীনের গ্রামাঞ্চলে ন'বছর মেয়াদী বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হওয়ায় পাঠ্যপুস্তক ছাড়া ছেলেমেয়েদের যাবতীয় ফি মওকুফ করা হয়েছে। এই সব পরিবর্তনের মূলে রয়েছে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের সরকারের কৃষিকে সমর্থন ও কৃষকদের অগ্রাধিকার দেয়ার নীতির প্রবর্তন। এই ক্ষেত্রে চীন সরকার বেশ কিছু বাস্তব ব্যবস্থা চালু করেছে। ৯ ফেব্রুয়ারী সেই গ্রাম এই জীবন আসরে থান ইয়াও খান চীনের কৃষকদের আনন্দ ও ভবিষ্যতমুখী আশা-আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন।
আজ আন্তর্দেশীয় বিবাহ আর নতুন কিছু নয়। ৯ ফেব্রুয়ারী কন্যা জায়া জননী আসরে চুং শাও লি চীনের হুনান প্রদেশের মেয়ে সুন সিয়াও ও তাঁর বাংলাদেশী স্বামী বাসুদেব দত্ত'র গল্প শোনাবেন।
প্রতি দিন ভোর ছ'সাতটায় দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউননান প্রদেশে বসবাসকারী আছাং জাতি অধ্যুষিত গ্রাম -- হুশা'র কামারশালা থেকে ডং ডং শব্দ শোনা যায়। দূর থেকে আসা অতিথিদের চোখে এটা একটা প্রাচীন গ্রাম্য সংগীত বলে মনে হয়। এই ছোট গ্রামে প্রায় এক শো পরিবারের লোক তলোয়ার বানাতে পারেন। আছার জাতির বৃদ্ধ সিয়াং লাও সেকে তলোয়ার রাজ বলে সুপরিচিত। ১০ ফেব্রুয়ারী ওরা অনন্য আসরে থাং ইয়াও খান সিয়াং লাও সের কাহিনী পড়ে শোনাবেন।
তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই সকল শ্রোতাবন্ধুদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।
|