v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-04 17:27:34    
দক্ষিণ আফ্রিকা

cri
    দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বের প্রায় সব রকমের খনিজ সম্পদের অধিকারী, কিন্তু শুধু একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদের অভাব রয়েছে দেশটির, তা হলো খনিজ তেল। এ জন্য দক্ষিণ আফ্রিকর সরকার একটি কৌশল চিন্তা করেছে, তা হলো বিরাট পরিমানের কয়লা দিয়ে তেলের অভাবের সমস্যা সমাধান করা। ১৯২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কয়লা তরল করার প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্থাপন করে। ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা "কয়লা তরল করা ও তেল প্রস্তাব" গ্রহন করে। এর কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে।

    বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে আন্তর্জাতিক সমাজ দক্ষিণ আফ্রিকার উপর তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পদ গবেষণার গতি দ্রুত করে। ১৯৫৫ সালে দঃ আফ্রিকার সাসোল(SASOL) কোম্পানি সাফল্যের সঙ্গে কয়লা তরল করে প্রথম ব্যারেল তেল উত্পাদন করে।

    পঞ্চাশবছর ধরে এই কোম্পানি কয়লা থেকে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্পাদন করে। সাসোলকে বিশ্বের একমাত্র কয়লা তরল করার কোম্পানি বলা যায়। তার উত্পাদিত তেল দক্ষিণ আফ্রিকার তেল বাজারের ২৮ শতাংশ দখল করে আছে। প্রতি বছর দেশের ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশী মুদ্রা সাশ্রয়  হচ্ছে।

    বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম দিনদিন বাড়ছে এবং সম্পদের অভাবও দেখা দিয়েছে বলে কয়লা-তরল করার প্রযুক্তি আবার বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিছু পর্যবেক্ষণশীল সরকার ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেতা সাসোল কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা চালাতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তা, ভারত ও ইন্দোনেসিয়া প্রভৃতি দেশ সাসোলের কয়লা থেকে তেল উত্পাদিত প্রযুক্তি আমদানি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। চীনের কয়লা ও তেল সংক্রান্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানও সাসোলের সঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ খুঁজছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনের প্রতিনিধি দল ক্রমাগত বাড়ছে। ২০০৪ সালে চীন সাসোলের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। তার ফলে চীনের শানসি

    ও নিংসিয়ায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পুঁজি বিনিয়োগ করে দু'টি কয়লা তরল করার ঘাঁটি স্থাপন করেছে।

    দক্ষিণ আফ্রিকায় কয়লা থেকে তেল উত্পাদনের প্রযুক্তি ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসও আবিষ্কার করেছে। এ সত্যেও তেল আমদানির পরিমান খুব কমেনি। বাজারে তেলের দাম আন্তর্জতিক তেলের দামের সঙ্গে বাড়ছে। আমদানি তেলের তুলনায় সাসোলের গুণগতমান মন্দ নয়, দামও মোটামুটি একই। সুতরাং আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি বলে সাসোল কোম্পানি এ থেকে প্রচুর লাভবান পেয়েছে।

    আমাদের সংবাদদাতা দাতের তেল ব্যবহার করেছেন, তার মতে সাসোলের তেল আর অন্যান্য তেলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কেউ কেউ মনে করে সাসোলের তেল আরো পরিষ্কার। সাসোল এখন শিম থেকে জ্বালিনি তেল নিষ্কাশিত করার গবেষণা করছে। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, শিম থেকে তৈরী তেলের গুণ সাধারণ তেলের চেয়ে আরো ভালো হবে। এই কোম্পানির ২০০৬ সালে "বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা জ্বালিনি তেল" উত্পাদনের পরিকল্পনা আছে।

    কয়লা থেকে তেল তৈরী দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি-সম্পদ সমস্যা সমাধানে অনেক সাহায্য করেছে। স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমাজের পরিস্থিতি আরো ভালো হয়েছে।