চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের আসন্ন সফরের আগে জাম্বিয়ার নেতৃবৃন্দ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তাগণ পৃথক পৃথকভাবে চীন ও আফ্রিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্কের উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন।
জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট লেভি পাট্রিক ওয়ানাওয়াসা ২ ফেব্রুয়ারী রাজধানী লুসাকায় বলেছেন, চীন জাম্বিয়ার মতামত শুনতে ইচ্ছুক এবং নানা ক্ষেত্রে জাম্বিয়াকে সাহায্য করেছে। চীনের জাম্বিয়াকে দেয়া নানা ক্ষেত্রের সাহায্য দৃশ্যমান। তথাকথিত "আফ্রিকার ওপর চীনের কৌতুহল হচ্ছে অন্য রকম ঔপনিবেশবাদ" কথাটি তিনি খন্ডন করেছেন। তিনি বলেছেন, ঔপনিবেশবাদের অর্থ হচ্ছে আফ্রিকার সম্পদ অপহরণ করা এবং আফ্রিকান জনগণকে দরিদ্র করা। কিন্তু চীন আফ্রিকায় বিপুল পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগ করেছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং আফ্রিকান জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করেছে।
একই দিন দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজিজ গোলাম হোসেইন পাহাদ জোহানেসবার্গে বলেছেন, চীন ও আফ্রিকা সহযোগিতার গভীর উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো সমতা ও পারস্পরিক উপকারিতা , সহযোগিতার দ্বারা সকলের কল্যাণ বয়ে আনার তাত্পর্য অধিক থেকে অধিকতরভাবে উপলব্ধি করেছে । এর জন্য আফ্রিকা নিয়ে তাদের নীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ঐতিহাসিক তাত্পর্যসম্পন্ন চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলনের পর চীন ও আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত কার্যকর করা দরকার। সুতরাং প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে আফ্রিকা সফর করছেন।
|