v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-02-02 16:21:32    
"১০+৩" এবং "১০+১" মানে কি?

cri
    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় দেশসমূহের ইউনিয়ন, অর্থাত আশিয়ান প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর উপলক্ষ্যে আশিয়ান এবং চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া অর্থাত "১০+৩" সম্মেলন ১৪ জানুয়ারি ফিলিপিনের সেবু দ্বীপে আয়োজিত হয়েছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

    "১০+৩" সম্মেলন আসলে হুমকি মোকাবেলা করার একটি যৌথ ব্যবস্থা। ১৯৯৭ সালে সংঘটিত এশিয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংকট পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের একটি অভিন্ন মতামত গড়ে উঠেছে। তা হলো আঞ্চলিক সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করা। ১৯৯৭ সালের শেষ দিকে আশিয়ান এবং চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালাম্পুরে মিলিত হন। সেটাই ছিল এই সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার প্রতীক। আশিয়ানের ১০টি সদস্য দেশ এবং চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এই সম্মেলনের অংশীদার, তাই সম্মেলনকে "১০+৩" বলা হয়। একবিংশ শতাব্দীতে পূর্ব এশিয় অঞ্চলের সহযোগিতা ও উন্নয়ন হলো এই ব্যবস্থার প্রধান আলোচ্য বিষয়। বর্তমানে এই ব্যবস্থা হলো পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রধান মাধ্যম।

    এর পাশাপাশি আরেকটি সম্মেলনও চালু হয়েছে। তা হলো আশিয়ান চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া তিনটি দেশের পৃথক সম্মেলন, অর্থাত "১০+১" সম্মেলন। এই সম্মেলন আশিয়ান ও তিনটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুসংবদ্ধ করেছে।

    "১০+১" সম্মেলনের মাধ্যমে আশিয়ান ও চীনের সম্পর্ক সার্বিকভাবে উন্নত হচ্ছে। ২০০৫ সালে চীন ও আশিয়ানের আর্থ-বাণিজ্যের পরিমান ছিল ১৩০.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। তা ১৯৯১ সালের পরিমানের চেয়ে ১৫ গুণেরও বেশি। বর্তমান চীন ও আশিয়ান পরষ্পরের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

    ২০০৬ সালের ৩০ অক্টোবর, চীন-আশিয়ান সংলাপ অংশীদারী সম্পর্ক স্থাপনের ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দক্ষিণ চীনের নান নিং শহরে একটি স্মরণ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও আশিয়ানের দশটি দেশের নেতাদের সঙ্গে এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন, চীন ও আশিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ১৫ বছরে চীন অনেক মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। দু'পক্ষের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় শান্তি ও উন্নয়ন হলো পূর্বশর্ত, পারষ্পরিক সম্মান ও আস্থা হলো ভিত্তি, সহযোগিতা ও উভয়ের বিজয় হলো লক্ষ্য এবং জনগণের সমর্থন হলো শক্তি। দু'পক্ষের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য ওয়েন চিয়া পাও চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রথমত, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা। উচ্চ পর্যায়ের মতবিনিময় বজায় রাখা এবং পারস্পরিক আস্থা ত্বরান্বিত করা। কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ব্যাপারের সহযোগিতা জোরদার করা। দ্বিতীয়ত, সহযোগিতার বিষয় আরো সম্প্রসারিত করা। "চীন-আশিয়ান সার্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা কাঠামো চুক্তি"র ভিত্তিতে দু'পক্ষের আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরো সম্প্রসারিত করা। অর্থনৈতিক সহযোগিতার কাঠামো ব্যবস্থা স্থাপন করা এবং চীন-আশিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল নির্মান করা। তৃতীয়ত, অভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষা করা। সামরিক সংলাপ ও বিনিময় কর্মসূচী ত্বরান্বিত করা। চতুর্থত সাংস্কৃতি ক্ষেত্রের বিনিময়কে আরো ঘনিষ্ঠ করা।