দু দিনব্যাপী আফ্রিকা ইউনিয়নের অষ্টমশীর্ষ সম্মেলন ২৯ জানুয়ারী ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় শুরু হয়েছে।সম্মেলনে ৩৪টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার সরকারী প্রধান সহ আফ্রিকা ইউনিয়নের ৫৩টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা ' বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিজ্ঞান গবেষণা' এবং ' আফ্রিকার জলবায়ু পরিবর্তন' এ দুটো বিষয় আর অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সব বিষয়ের মধ্যে 'বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি', বিজ্ঞান গবেষণা' এবারের শীর্ষ সম্মেলনের এক প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার লেখা একটি রেকডিংভিত্তিক রির্পোট।
মারছাল হলেন এবারের সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী নেদারল্যান্ডের একজন পযর্বেক্ষক। তিনি মনে করেন, আফ্রিকা ইউনিয়ন ' বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান গবেষণার ভিত্তিতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাকে' এবারের শীর্ষ সম্মেলনের এক প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে গণ্য করেছে। এর তাত্পর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তিনি বলেছেন,
আমার মনে হয়, আফ্রিকা ইউনিয়ন এবারের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য যে প্রধান আলোচ্য বিষয় বেছে নিয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের আলোচ্য বিষয় আফ্রিকার দেশগুলোকে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত করেছে।
বতর্মানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান গবেষণার ফলাফলকে উত্পাদন শক্তিতে রুপান্তরিত করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভিত্তিতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আফ্রিকা ধারাবাহিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। জাতি সংঘের উপ মহা সচিব এবং জাতি সংঘে আফ্রিকার অর্থনৈতিক কমিশনের কার্যনির্বাহী সচিব আবডোলিয়ে জানেহ ব্যাখ্যা করে বলেছেন,
এ সব সমস্যা হল, প্রথমত অনেক আফ্রিকান দেশের গবেষণা সংস্থাগুলোর সরকারের সঙ্গে বিভক্তি , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নীতিপন্থা বাসি হয়ে যাওয়া; দ্বিতীয়ত আফ্রিকার দেশগুলোর এক শতাংশ জি ডি পির মোটমূল্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার কাজে লাগানোর পরিকল্পনা এখনও কার্যকর না হওয়া; তৃতীয়ত বিজ্ঞান ও গবেষণার ব্যবস্থা সীমিত বলে বৈজ্ঞানিক ও ইনজানিয়ারিং শিক্ষার মান ক্রমেই কমে যাওয়া ।
আফ্রিকা ইউনিয়ন উপলদ্ধি করেছে যে . শিক্ষার ভিত্তিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন করতে হবে। এ ব্যাপারে আফ্রিকার অনেক দেশও এক মত হয়েছে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতি সংঘ মহা সচিব বান কি মুন এ সম্বন্ধে স্বীকার করে বলেছেন,
বতর্মানে ১৫টি আফ্রিকার ১৫টি দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পুরোপুরি জনপ্রিয় করা হয়েছে। কোন কোন দেশে এর লক্ষ্যও বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ সব অগ্রগতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এর ভিত্তিতে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালানো উচিত।
এর সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে আফ্রিকান দেশগুলোর বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাহায্য দরকার। আফ্রিকা ইউনিয়নের মানব সম্পদ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিশনার নাডিয়া নাদিয়া বলেছেন,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতি সংঘ ইউনেস্কোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে সমর্থন পেয়ে থাকি। তা ছাড়া, আমরা দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার উপর গুরত্ব আরোপ করি। আমার মনে হয়, এটা সহযোগিতার সুত্রপাত মাত্র।
|