v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-26 16:10:30    
ট্রাফিক আর্ট শিল্পী রূহুল আমীন কাজলের দেয়া সাক্ষাত্কারের প্রথম অংশ

cri
    প্রঃ জনাব রূহুল আমীন কাজল প্রথমেই আমাদের স্টুডিওতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা জেনেছি যে, ষ্ট্রিট পেইটিং-এ বড় কাজ করার জন্য গিনিস বুকে আপনার নাম উঠেছে। এ সম্পর্কে কি আমাদের একটু বলবেন?

    উঃ ধন্যবাদ আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যে। ১৯৯৪ সালে আমি প্রথম রাস্তায় ছবি আঁকি এবং সেই ছবিটি আমার খ্যাতি আনে এবং বিশ্বের দীর্ঘতম রাস্তা হিসেবে সেই রাস্তাটি পরিচিত পায়। এর নাম আমি দিয়েছিলাম ট্রাফিক আর্ট। তো এই ট্রাফিক আর্ট নামের পেছনেও আমার একটা মেনিফেষ্টেশন তৈরী করা ছিল। যেহেতু ট্রাফিক আর যানবাহন চলাচল করছে আর তার মধ্যে একটি স্থির চিত্র চলাচল করছে, অর্থাত্ জয়ালগ বিটিউইন স্ট্রীট এন্ড সাইলেম্স। সেই ছবিটি আমি এঁকেছিলাম ১৯৯৪ সালের গ্রীষ্মকালে। সুইডেনের ল্যান্সক্রোনা নামের একটি শহরে। এটি আমাদের কোপেন হেগেনের পাশেই সমুদ্রের ওপারে আর সেই ছবিটিই ছিল ৫৫০ মিটার দীর্ঘ এবং সেখানে আমার সাথে কাজ করেছে অনেক নবীন শিল্পীরা। তারা আমাকে সাহায্য করেছে। এই কাজটি করা হয়েছিল লান্সক্রোনারের বাত্ষরিক কার্নিভাল উত্সব উপলক্ষে।

    প্রঃ গিনিস বুকে আপনার নাম উঠলো কখন ১৯৯৪ সালে না আরো পরে?

    উঃ সুইডিশ ভাষায় যে গিনিস বুকটা পাবলিশ হয়। সেইটা ১৯৯৬ সালে প্রথম পাবলিশ হয়। তারপরে সেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং বিভিন্ন মাধ্যমেও পরিচিত পায়।

    প্রঃ বাংলাদেশেওতো বোধ হয় আপনি ট্রাফিক আর্ট যেটা বললেন বাংলাদেশেও আপনি করেছিলেন বিজয় স্মরণীতে।

    উঃ হ্যাঁ, বাংলাদেশেও করেছি। হ্যাঁ ঐটা আমার থেকে অনুপ্রানিত হয়ে "ইউডা" নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে , যাদের শিল্পকলা বিভাগ রয়েছে, তারা অথ্যাত্ ঐ বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা আয়োজন করে। আমি ওখানে তার আগেই ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে তাদের ধানমন্ডি এলাকায় একটি রাস্তায় প্রথমে ছোট একটি কাজ করি্ তা থেকেই তারা অনুপ্রানিত হয়ে প্রতি বছরই এখন তারা বিজয় স্মরণীতে ছবি আঁকছে।

    প্রঃ বাট, এটা খুব স্নল স্কেলে আসলে, যেমন

    উঃ হ্যাঁ, বিজয় স্মরণীতেও বেশী বড় , দীর্ঘ, ওরা চাচ্ছে যত দীর্ঘ সম্ভব। ওরা সারা রাত্রি ছবি আঁকে ওখানে। এ ছাড়াও চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীরাও ছবি আঁকে। যখনই আন্দোলন মূখী কোন একটা সমস্যা তৈরী হচ্ছে সামাজিকভাবে ও রাজনৈতিকভাবে, তখনই দেখা যাচ্ছে শিল্পীরা রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে ছবি এঁকে। তো এটা একটা প্রবণতা ঢাকাতেও শুরু হয়েছে। তো ঢাকাতে আমি প্রথম থেকে যে ভাবে জড়িত ছিলাম সেটা হচ্ছে আল্পনা আঁকা। হ্যাঁ এটাই ছিল আমাদের মূলত ট্র্যাডিশন।

    প্রঃ হ্যাঁ, চারুকলার ছাত্ররা প্রতি বছরই করে থাকে ১লা বৈশাখ।

    উঃ হ্যাঁ, আল্পনা আঁকতাম। আল্পনা শুধু নকশা কেন্দ্রীক। ঠিক কোন ছবি সরাসরি কোন ছবি রঙিন করে তোলা এমন কোন প্রবণতা ছিল না। শুধু সাদা রং দিয়ে আমরা আঁকতাম। তারপরে সেই আঁকার থেকেই আস্তে আস্তে এই রাস্তায় ছবি আঁকার যে একটা দীর্ঘ।

    প্রঃ সংস্কৃতি বলা যায়।

    উঃ হ্যাঁ, এবং বিশাল আকারে ড্রইং করা যায়। এটার একটা উত্সাহ যে আল্পনা থেকেই আমাকে দিয়েছে আমি বলতে পারি।

    প্রঃ এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে বলি। আপনিতো এবার নিয়ে দু'বার চীন আসলেন। চীন আপনার কেমন লাগছে?

    উঃ চীন সবসময়ই আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত দেশ। বিশেষ করে গত ১০/১৫ বছর থেকেই। আমি ছোট বেলা থেকেই চীন সম্পর্কে জানতাম এবং জেনেছি যে জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যাও। এসব কথাও আমরা ছোটবেলা থেকে শুনতাম। চীনের যে জ্ঞানের প্রসার অনেক আগে থেকেই ছিল , সেটা আমাদের ভারতীয় উপ-মহাদেশে একইভাবে ছিল তো সেই দিক থেকে সংস্কৃতির প্রতি সবসময় আমার আগ্রহ ছিল জানার জন্য। গত ২০০৪ সালে প্রথম চীনে আসার সুযোগ পাই। আমার স্ত্রীর সাথে আমি এসেছিলাম তো সেখান থেকে শি আন শহরে গেলাম । সেই টেরাকোটা সোলজার ওগুলো দেখার জন্য যেগুলো আমরা আর্ট কলেজে পড়াকালীন এগুলোর খবর পেয়েছিলাম এবং খুব আগ্রহী ছিলাম, যে কোন দিন যদি সম্ভব হয় দেখবো। তো সেই সুযোগটা এসেছিল, দেখেছি। এবারও বেইজিং থেকে উত্তরে মাঙ্ঞ্চুরিয়া এলাকায় গেলাম। যেখানে একসময় জাপানীরা দখল করে রেখেছিল এবং তাদের নিদর্শনকিছু স্থাপত্য নিদর্শন এগুলো দেখার জন্য। তো সার্বিকভাবে আমি চীন সম্পর্কে যেটা আমার এখন বোধ সেটা হচ্ছে যে চীন হচ্ছে বিশ্বের যদি আমি ইংরেজীতে বলি সেটা হচ্ছে ক্যাপিট্যাল অব দি ক্যাপিট্যালিষ্ট। এ রকম একটা পর্যায়ে এসেছে। যেহেতু অর্থনৈতিক একটা প্রসার ঘটেছে।