মোটরোলা মোবাইল ফোন কোম্পানি ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ১০০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের অন্যতম এবং পৃথিবীর টেলিযোগাযোগ শিল্পের অগ্রনী প্রতিষ্ঠান। ২০০৫ সালে কোম্পানির বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন এডওয়া জান্দ । মোটরোলা কোম্পানি ১৯৮৭ সালে চীনের পেইচিংয়ে তার কার্যালয় স্থাপন করেছে ।১৯৯২ সালে চীনের থিয়েনচিন মহা নগরে আনুষ্ঠানিকভাবে মোটরোলার ইলেকট্রনিক চীন শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে । বর্তমানে কোম্পানির প্রধান উত্পাদিত দ্রব্য হচ্ছে মোবাইল ফোন, ওয়াকি-টোকি এবং টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি । কোম্পানির উত্পাদিত দ্রব্য বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয় । লিয়াং নিয়ানসিয়ান হচ্ছেন চীনা শাখা কোম্পানির মহা-পরিচালক এবং কাও রুইবিন হচ্ছেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
বর্তমানে চীনের মূলভূভাগে মোটরোলা কোম্পানি একটি শেয়ার নিয়ন্ত্রণ কোম্পানি। এই কোম্পানির অধীনে তিনটি পুঁজি বিনিয়োজিত কোম্পানি ,৫টি যৌথ পুঁজি বিনিয়োজিত কোম্পানি,১৬টি গবেষণা কেন্দ্র এবং ২৫টি শাখা কোম্পানিসহ এর কর্মী সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি । ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ নাগাদ মোটরোলা কোম্পানি চীনে ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পুঁজি বিনিয়োগ করেছে । তা হলো চীনের বৃহত্তম বৈদেশিক ব্যবসায়ী পুঁজি বিনিয়োগকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের অন্যতম । পুঁজির মধ্যে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি গবেষণা কেন্দ্রে ব্যবহৃত হয়েছে। পেইচিং, থিয়েনচিন, শাংহাই, নানচিং, ছেংতু এবং হাংচৌয়ে তার গবেষণা কেন্দ্র ও পরীক্ষাগার রয়েছে । গবেষণা কর্মীর সংখ্যা ২৫০০রও বেশি ।
২০০৫ সালে মোটরোলা কোম্পানি চীনের গবেষণা ক্ষেত্রে দুটি মাইল ফলক সৃষ্টি করেছে । এক. মোটরোলা কোম্পানির সফ্টওয়ের চীনের তিনটি সফ্টওয়ের কেন্দ্রে সি.এম.এম.আই. ৫ -এর যোগ্যতা অর্জন করা । দুই.হাতে লেখার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের খবর পাঠানো প্রযুক্তির জন্য এশিয়ার উদ্ভাবনী পুরস্কার লাভ করা ।
মোটরোলা কোম্পানি ভালভাবে ব্যবসা চালু করার পাশাপাশি, চীনের নানা ধরনের সেবামূলক প্রকল্পেও অবদান রেখেছে । ১১ বছরের মধ্যে "আশা প্রকল্পে" ৩.৪ কোটি ইউয়ান অনুদান দিয়ে ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করে এবং ১৩ হাজার ছাত্রছাত্রীদের পুনরায় প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ।
স্বেচ্ছাকর্মীর পরিসেবা : মোটরোলা কোম্পানির কর্মীরা দরিদ্র অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ করা এবং প্রায় ১০ হাজার ঘন্টা যুবকদের সঙ্গে সহযোগিতা করে সেবামূলক কাজ করছে ।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ এলাকায় ত্রাণ সাহায্য করা ক্ষেত্রে মোটরোলা কোম্পানি চায়না মোবাইল ও নকিয়া কোম্পানির সঙ্গে পেইচিংয়ে "খারাপ মোবাইল ফোনের ফেরত " সংক্রান্ত যৌথ কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ২০০৫ সালের জানুয়ারী মাসে মোটরোলা কোম্পানি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে ৫.৪ লাখ ইউয়ান ত্রাণ সাহায্য দিয়েছে ।
|