খাবার খাওয়ার আগের প্রস্তুতি:
১. খাবার খাওয়ার আগে, প্রথমেই সুপ খান । তার ফলে খাওয়ার সময় আপনার আর পেট খুব ক্ষিদে অনুভব করবেন, ফলে বেশি খাবার খেতে হবে না ।
২. খাবার খাওয়ার আগে আধ ঘন্টা ফল খান । ফলের মিষ্টি উপাদান এবং ফলের ওজন আপনার পাকস্থলীর কিছুটা জায়গা পরিপূর্ণ করবে । ফলে কম খাবার খেতেই হবে।
৩. খাবার খাওয়ার আগে একটু মিষ্টি খান । মিষ্টি খাওয়ার পর রক্তের মধ্যে চিনির উপাদান বাড়বে, পাকস্থলীর ক্ষিদা বাড়বে না । ফলে ভাত খাওয়ার ইচ্ছা ও পরিমাণ কম হবে ।
৪. বেশী ক্ষিদার সময় খাবার খাওয়া ভাল নয় । কারণ সে সময় আমরা সহজভাবেই অনেক বেশি খাবার খেয়ে কেলি । পাকস্থলীর ওপর চাপ বেড়ে যায় এবং সহজভাবেই মোটা হতে সাহায্য করে ।
খাবার খাওয়ার পদ্ধতি:
১. আস্তে আস্তে খাবার খান । অধিকাংশ মোটা লোকের খাবার খাওয়ার গতি খুবই দ্রুত, এদের চিন্তা নেই যে তারা বেশী খাবার খেতে ফেলছে । শুধু ক্ষেতেই থাকে । এর ফলে শরীরের বেশী মেদ জমে যায় । খাবার খাওয়ার গতি কমিয়ে দিলে, সঠিকভাবে পেট ভরে খাওয়া যায় ।
২. খাবার খাওয়ার সময় বই, পত্রিকা বা টেলিভিশন দেখবেন না । মনোযোগ দিয়ে খাবার খান, যুক্তিযুক্ত পরিমাণে খাবার খাবেন তাহলে সহজভাবে মোটা হবে না ।
৩. খাবারের সঙ্গে মিষ্টি রস জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো না । বিশুদ্ধ পানি বা চা খাওয়া ভালো ।
৪. প্রথমে সবজি, মাশরুম, বিনকার্ডসহ বিভিন্ন কম ক্যালরি যুক্ত খাবার খান, পরে অল্প ভাত আর মাংস খান । এভাবে খেলে শরীরের ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বেশি হবে না ।
৫. খাবার খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে যদি আরো খাবার গ্রহণের ইচ্ছা থাকে, তাহলে তাকে বন্ধ করা উচিত ।
খাবার খাওয়ার পরের কয়েকটি টিপস:
১. খাবার খাওয়ার পর, বাদাম জাতীয় ক্যালরি বা তৈলাক্ত যুক্ত খাবার অবশ্যই খাবেন না । কলা, আপেলও না খাওয়া ভালো ।
২. অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় সহ কোকাকোলাও না খাওয়া ভালো ।
৩. রাতের খাবার শেষে অবিলম্বে দাঁত ব্রাস করুন । তা দাঁতের জন্য সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি আরো বেশি স্ন্যাক খাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে ।
৪. খাবারের শেষে অবিলম্বে বসে থাকা বা শুয়ে থাকা ভালো না । বাইরে গিয়ে একটু হাঁটলে শরীরের স্বাভাবিক রূপান্তরের জন্য সহায়ক হবে ।
খাবারের ধারণার বিছাই পদ্ধতি:
১. মিষ্টি, কেক, বিস্কুট বা পিঠার মত খাবারে সাধারণত ভাত ও পাউরুটির চেয়ে আরো বেশি ক্যালরি থাকে, সবসময় খেলে সহজভাবেই মোটা হয়ে যাবেন ।
২. মুরগীর মাংস এবং মাছএ গরুর মাংসের চেয়ে কম মেদ থাকে । সবসময় খেলে , শরীরের জন্য তা সহায়ক হবে । এবং প্রত্যেক সপ্তাহে কমপক্ষে একবার মাছ খেলে, মানুষের মাথায় আরো বুদ্ধি বাড়বে এবং চোখও পরিস্কার হবে ।
৩.সবসময় সামুদ্রিক গুল্মাদি, মাশরুম, কালো ছত্রাকসহ বিভিন্ন খাবার খান, কারণ তাতে ক্যালরি কম , দীর্ঘকাল খেলে শরীরের স্লিম হওয়ার জন্য খুবই সহায়ক ।
|