v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-23 21:00:11    
শহরের শিল্পীরা গ্রামাঞ্চলে প্রশংসাপেয়েছেন

cri
    চীনের সাহিত্য ও শিল্পকলা ফেডারেশনের অষ্টম সম্মেলন ও চীনের লেখক সমিতির সপ্তম সম্মেলন সম্প্রতি পেইচিংয়ে শেষ হয়েছে । সম্মেলন দু'টোতে গত পাঁচ বছরে চীনের সাহিত্য ও শিল্পকলা ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং শিল্পীদের প্রাথমিক স্তরে গিয়ে ব্যাপকভাবে অনুষ্ঠান করার আহ্বান জানানো হয়েছে । পেইচিংয়ের শিল্পীরা গত জুলাই মাস থেকে পেইচিং শহরের আশেপাশের নয়টি জেলার গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কৃষকদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন । তাদের এই উদ্যোগ স্থানীয় কৃষকদের প্রশংসা পেয়েছে ।

    শিল্পীরা পেইচিংয়ের উপকন্ঠের মেন থৌ কৌ জেলার পাই ইয়ু গ্রামে স্থানীয় কৃষকদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন । এই জেলার একটি ছোট সভাকক্ষে মাত্র তিন শ'তিনটি আসন আছে , অনুষ্ঠানের সময় অনেক লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।

    সাহিত্য ও শিল্পকলা ফেডারেশন একটি বেসরকারী সংগঠন । এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা থেকে সংস্কৃতি ব্যাপক জনসাধারনের মধ্যে প্রচারের কাজ করে আসছে । অক্টোবর মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত পেইচিংয়ের সাহিত্য ও শিল্পকলা ফেডারেশনের শতাধিক শিল্পীরা উপকন্ঠের ৯ টি জেলায় অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন । ৫৯ বছর বয়সের লি চেন লুই চীনের একজন নামকরা রসাত্মক অভিনয় সংলাপ শিল্পী ।১৯৬০ সাল থেকে তিনি রসাত্মক সংলাপ চর্চা করতে শুরু করেন। খনি শ্রমিকদের প্রিয় রসাত্মক সংলাপ পরিবেশনের জন্য তিনি প্রায়ই কয়লা খনিতে যান । এবার পাই ইয়ু গ্রামে গিয়ে তিনি আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছেন যে স্থানীয় অধিবাসীরা রসাত্মক সংলাপ শুনতে খুব পছন্দ করেন। তিনি বলেছেন , কৃষক ভাই রসাত্মক সংলাপ পছন্দ করেন । এতে প্রমাণিত হয়েছে রসাত্মক সংলাপের প্রাণশক্তি আছে । যদি কোনোদিন জনসাধারণ আর রসাত্মক সংলাপ শুনতে না চান , তাহলে রসাত্মক সংলাপের আর কোনো আশা থাকবে না । শিল্পকলার প্রাণশক্তি জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে । আমি যে এখানে কৃষকভাইদের রসাত্মক সংলাপ পরিবেশন করছি , তা' আমার দায়িত্ব ও আনন্দ । সৌভাগ্যের বিষয় হলো আমার জন্য দায়িত্ব ও আনন্দ একই । কৃষকদের সাংস্কৃতিক জীবন সমৃদ্ধ করা ছাড়া কৃষকদের চাহিদা জানা ও কৃষকদের জীবনকে শহরের শিল্পীদের মাঝে পরিচিত করে তোলা ।

    এখন কৃষকদের জীবনের মান দিন দিন উন্নত হচ্ছে । তাই তারা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক জীবন চায় । গ্রামাঞ্চলের শিল্পকলার অনুরাগীরা নিজের উদ্যোগে চিত্রপ্রদর্শনীরএবং নাচ গান প্রতিযোগিতা আয়োজনকরেছেন । নিজের মান উন্নত করার জন্য তারা পেশাদার শিক্ষকদের সাহায্য পেতে চান । পেইচিংয়ের উপকন্ঠের ইয়েন ছিং জেলার চান সান ইং মহকুমায় চিত্রশিল্পীরা ৬০ বছরের একজন মহিলাকে দেখেছেন । মহিলাটি গত কয়েক বছর ধরে ব্যাঙ্গচিত্র আঁকেন এবং ' লাল পৃথিবী কৃষক ব্যঙ্গচিত্র গ্রুপ ' নামে একটি শিল্পী গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন । স্থানীয় কৃষকদের চাষ করা আঙ্গুরের নাম লাল পৃথিবী । তাই মহিলাটি নিজের শিল্পী গ্রুপের নাম লাল পৃথিবী দিয়েছেন । শিল্পীরা মহিলাসহ এ গ্রুপের সদস্যদের ব্যঙ্গচিত্র আঁকার কৌশল শিখিয়েছেন ।

    স্থানীয় বৈশিষ্টসম্পন্ন ইয়ান কে অপেরার ইতিহাস তিন শ' বছরের বেশি । কয়েকজন শিল্পী মঞ্চে বসে বাদ্যযন্ত্রের তারে সুর তুলে গান করেন। শিল্পীদের গান একটু একঘেঁয়ে মনে হয় । অপেরা বিশেষজ্ঞ ওয়াং চুয়ো ই কৃষকদের পরিবেশন দেখে বলেছেন , দশর্কদের আকর্ষণের জন্য ঐতিহ্যিক অপেরার পরিবতর্ন করা উচিত । ইয়াং কে অপেরার ইতিহাস দীর্ঘ দিনের হলেও এই অপেরায় অভিনয় নেই । তাই এ অপেরা পরিবতর্ন করেই শুধু আরো বেশি দশর্কদের আকৃষ্ট করতে পারে । ৬৫ বছর বয়সী কৃষক ছেন ইয়োং লু ইয়াং কে অপেরা পছন্দ করেন। ইয়াং কে অপেরাকে বাঁচানোর জন্য পাঁচ বছর আগে থেকে তিনি এ অপেরার গানের সুর ও কথাগুলো লিপিবদ্ধ করার কাজ শুরু করেন এবং একটি ইয়াং কে অপেরা দল প্রতিষ্ঠা করেন । শহরের শিল্পীদের পরামর্শ শুনে ছেন ইয়োং লু আনন্দের সঙ্গে বলেছেন , শহরের শিল্পীদের পরামর্শ শুনে আমরা অনুপ্রাণিত । তাদের পরামর্শ ইয়াং কে অপেরাকে বাঁচানো এবং প্রসারে সাহায্য করবে । আমরা আশা করি শহরের শিল্পীরা নিয়মিতভাবে গ্রামে আসবেন এবং আমাদের পরামর্শ দেবেন ।