মধ্য চীনের সান সি প্রদেশের পুরাকীর্তি ব্যুরোর একটি খবরে প্রকাশ , এ বছর সান সি প্রাদেশিক সরকার পুরানিদর্শন ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ক্ষেত্রে দুই কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করবে ।
সান সি প্রদেশের ইউয়ুন কান পাহাড়ী গুহা , ইন জেলার কাঠের প্যাগোডা , পিন ইয়াওয়ের প্রাচীন নগর , উ থাই পাহাড়ের ফোকুয়ান মন্দির ও চিনইয়াং প্রাচীন নগর চীনের বিখ্যাত পুরানিদর্শন ।
চীনের সানসি প্রদেশে পুরানিদর্শনের সংখ্যা বেশি । কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রধান প্রধান পুরানিদর্শনের সংখ্যার দিক থেকে সান সি প্রদেশ দেশের সবকটি প্রদেশে শীর্ষ স্থানে রয়েছে । কিন্তু প্রদেশের প্রায় সাত হাজার ছোট- বড় পুরানিদর্শনের মধ্যে অর্ধেকের সংরক্ষণ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুরানিদর্শনসংরক্ষণ ক্ষেত্রে সান সি প্রদেশের অর্থ বরাদ্দ ক্রমেই বাড়ছে ।
**ছান পাই পাহাড়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তুষার ভাষ্কর্স প্রদর্শিত হবে
সম্প্রতি উত্তর- পূর্ব চীনের ছান পাই পাহাড়ে তুষার ভাস্কর্য প্রচার কর্মসূচী পেইচিংয়ে চলছে । দেশবিদেশের পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য ছান পাই পাহাড়ের দর্শনীয় স্থানে একটি বিরাটাকার তুষার ভাষ্কর্য তৈরী করা হয়েছে ।
জানা গেছে , ছান পাই পাহাড়ে তৈরী এক তুষার ভাষ্কর্য কর্মকে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত তুষার ভাষ্কর্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে । এই তুষার ভাষ্কর্য ১৮ শ' মিটার উচু এক উপত্যকায় তৈরী করা হয়েছে । এতে ' রহস্যময় বন ' , ' ছান পাই পাহাড়ের দেবতা ' , ' চিতাবাঘ বনে প্রত্যাবর্তন' ও ' বনের প্রাণীগুলো ' নামে বেশ কয়েক ভাগ নিয়ে গঠিত । এই তুষার ভাষ্কর্যের মোট দৈর্ঘ্য ২৪০ মিটার , এতে ২৫টি প্রবেশদ্বার আছে ।
এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ পাহাড় এবং চীন ও উত্তর কোরিয়ার সীমানা পাহাড় হিসেবে ছান পাই পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোরম । ২০০৬ সালে দেশবিদেশের মোটসাত লাখ পর্যটক ছান পাই পাহাড়ের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন ।
**ভান গো নানীর চিত্র প্রদর্শনী হংকংয়ে শুরু
মধ্য চীনের হোনান প্রদেশের নারী কৃষক ছান সিউ ফেংয়ের একক চিত্রপ্রদর্শনী ১৪ জানুয়ারি থেকে হংকংয়ে শুরু হয়েছে। তার আঁকা ছবি অনেকে পছন্দ করেন, তার অনুরাগীরা ছান সিউ ফেংকে ভান গো নানী ডাকেন।
৭৩ বছর বয়সী ছান সিউ ফেং হোনান প্রদেশের একটি পাহাড়ী গ্রামে থাকেন। তিনি অক্ষর চিনেন না এবং চিত্রশিল্প জানেন না। তিন বছর বয়সের নাত্নীকে এক ধরনের ফলের আকার ব্যাখ্যা করার জন্য ছান সিউ ফেং কাগজে নাত্নীর জন্য এ ফলের ছবি আঁকেন। যদিও তিনি কোনো পেশাগত প্রশিক্ষণ পান নি, তবে তিনি সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকতে পারেন। তার ছেলে, মার আঁকা ছবিগুলো ইন্টারনেটে প্রকাশ করেন। ফলে তার ছবিগুলো অনেক অনুরাগীর প্রশংসা পেয়েছে।
বর্তমানে ভান গো নানী-ছান সিউ ফেংয়ের ছবির এলবাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এই এলবাম বিক্রি থেকে পাওয়া টাকা, চীনের পাহাগী অঞ্চলের স্কুল পুনর্নির্মান প্রকাল্পে দান করেছেন।
|