v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-18 16:29:06    
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রির আফগানিস্তান সফরে সন্ত্রাস দমন পরিস্থিতির মূল্যয়ন

cri
     গত ১৭ জানুয়ারী মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস তাঁর আফগানিস্তান সফর শেষ করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হওয়ার পর এটা ছিল তাঁর প্রথম আফগানিস্তানসফর। আফগানিস্তানের সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতির মূল্যয়ন করা এবং নতুন সন্ত্রাস দমন নীতি নির্ধারণ করা তাঁর এবারকার আফগানিস্তান সফরের উদ্দেশ্য।

     গত ১৫ জানুয়ারী গভীর রাতে তিনি আফগানিস্তানে পৌঁছান।সফরকালে তিনি আলাদা আলাদাভাবে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজায়ি , আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো ও মার্কিন সামরিক অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তা ছাড়া , তিনি সশরীরে পকিস্তানসংলগ্ন আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি এ এলাকাও তালিবান সশস্ত্র ব্যক্তিদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। তাঁর সফর শেষ হবার আগে তিনি বলেছেন, যৌথ বাহিনী যাতে পর্যাপ্ত সম্পদ ও শক্তি নিয়ে তালিবানের মোকাবেলা করতে পারে সেই জন্য আরও বেশী সৈন্যকে আফগানিস্তানে পাঠাতে তাঁর কোন আপত্তি নেই । তিনি বলেছেন, সহিংসতা মোকাবেলা করতে আফগান সরকারের যথেষ্ট ক্ষমতা অর্জনের আগে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে মোতায়েন সৈন্য প্রত্যাহার করবে না এবং তার সংখ্যা কমিয়ে দেবে না ।

    নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক একজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, গত বছর আফগানিস্তানে ঘনঘন সংঘটিত রাস্তায় ফেলে রাখা বোমার বিস্ফোরণ, সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ আঘাত এবং আত্মঘাতি হামলা সহ সহিংসতায় কমপক্ষে ৪ হাজারেরও বেশী লোক প্রাণ হারিয়েছে। কিন্ত এ বছরের শুরুতে আফগানিস্তান সহিংসতা কমে যায়নি বরং বেড়েছে। এ পযর্ন্ত ২০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত ২ জানুয়ারী তালিবান গেরিলারা হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, ন্যাটোও মার্কিন পরিচালিত যৌথ বাহিনীর উপর প্রবল আঘাত হানার জন্য চলতি বছর তারা আরও বড় আকারের আত্মঘাতী আঘাত ও গেরিলা করতে পারে।

    ২০০১ সালের পর তালিবানের সবচে তীব্র আক্রমণের মুখে আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পরিচালক কার্লএইকেনবেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেইসকে আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য মোতায়েনের সময় বাড়ানো এবং এক ব্রিগেড সৈন্য বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। সন্ত্রাস দমন প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গেইজ জোর দিয়ে বলেছেন, সামরিক তত্পরতা আফনিস্তানের আর্থ-সামাজিক পূনর্গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে কেবল সহিংসতা কার্যকরভাবে ঠেকানো যাবে।

     গেটসের এবারকার আফগান সফরের আরেকটি বাস্তব ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হল পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সন্ত্রাস দমনের ব্যাপার সমন্বয় করা। বিশেষ করে দু'দেশের সীমান্তে আন্তর্দেশীয় সন্ত্রাসী আঘাতের মনোভাব সমন্বয় করা। এখন পযর্ন্ত পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্ত ভাগাভাগি বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে গেটস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে এ ধরনের আঘাত কমানোর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবে। গত ১৭ জানুয়ারী ন্যাটোরএকজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ন্যাটোর গোয়েন্দাসংস্থার সদস্যদেরকে নিয়ে গঠিত একটি যৌথ তত্পরতা কেন্দ্র চলতি মাসে কাবুলে প্রতিষ্ঠিত হবে।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, বতর্মানে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। আফগানিস্তানের সন্ত্রাস দমন সমস্যা অনেক আগেই সামরিক আয়তার বাইরে চলে গেছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হওয়া উচিত। তা ছাড়া, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ আর্থ-সামাজিক পুর্নগঠনের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রকিভাবে তাদের সন্ত্রাস দমন নীতি বাস্তবায়ন করবে এবং তা কার্যকর হবে কি না তা পযর্বেক্ষনপযর্বেক্ষনের সাপেক্ষ।