v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-18 09:57:55    
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফ্যাল করেয়া

cri

    ইকুয়েডরের নতুন প্রেসিডেন্ট রাফ্যায়েল করেয়া ১৯৬৩ সালের ৬ এপ্রিল ইকুয়েডরের কুয়াকুইল শহরের একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ইকুয়েডরের ক্যাথলিক ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯১ সালে তিনি বেলজিয়ামের একটি ক্যাথলিক ধর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ মাস্টারস ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি মার্কিন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টারস ডিগ্রী লাভ করেন। দু বছর পর, তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেই ডিগ্রী লাভ করেন।

 

    ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত, তিনি ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে তিনি ইকুয়েডরের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। একই বছরের আগস্ট মাসে কঠোর মনোভাবের কারণে তাকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইকুয়েডরের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দাঙ্গাহাঙ্গামা, অর্থনীতির ধীরগতির বৃদ্ধি,গুরুতর দুর্নীতি, ধনী ও গরীবের ব্যবধান বেশী, ঐতিহ্যবাহী পার্টির ক্ষমতার খর্বকরণ। জনগণ নতুন রাজনৈতিক নেতা ও দেশকে পুরোপুরি সংস্কারের আহ্বান জানায়।

    করেয়াকে ল্যাটিন আমেরিকান রাজনৈতিক মহলের 'তরুণ চেহারা' এবং বামপন্থীরদের নতুন প্রতিনিধি বলে গন্য করা হয় । রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক ও আইন ব্যবস্থা সংস্কার বাস্তবায়ন করা, আইনের স্বাধীনতা ও ন্যায্য নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি দূর করার পক্ষপাতী। তিনি 'সংবিধান সম্মেলন' প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যাতে সরকারের ক্ষমতা জোরদার, কংগ্রেস, সুপ্রিম কোর্ট ও রাজনৈতিক পার্টির ক্ষমতা সীমিত করা যায়। অর্থনীতি ক্ষেত্রে তিনি নতুন উদারনৈতিক নীতির বিরোধীতা করেন, 'সাধারণ মানুষের অর্থনীতিকে' তুলে ধরেন। যাতে কৃষক, হস্তশিল্পী, ছোট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণ হয়। তিনি নতুন সমাজ উন্নয়নের কৌশল তৈরী করা, দারিদ্র্য দূর করার পক্ষপাতী। কূটনীতিতে তিনি বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করেন এবং পারস্পরিক সম্মাণ, পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করার পক্ষপাতী। তিনি জ্বালানী সম্পদের রাষ্ট্রায়ত্তকরনের পক্ষপাতী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরের বিরোধিতা করেন। তা ছাড়া, তিনি মার্কিন বাহিনীর চুক্তি শেষে ইকুয়েডর সামরিক ঘাঁটি থেকে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানান।

    তিনি ইংরেজী ও ফরাসীভাষায় দক্ষন। তিনি বিয়ে করেছেন। তাঁর ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে।