v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-17 15:19:54    
রুশ কৌতুক মূকাভিনয় শিল্পী

cri
    ১৯৯৫ সালে আরিওসা প্রথমবার রাশিয়া থেকে চীনে এসেছেন । তিনি চীনের ছেং তু শহরে ৫ মাস প্রদর্শন করেছেন । ১১ বছর পর ২০০৬ সালের জুন মাসে তিনি আবার চীনে এসেছেন । চীনের হ্যাপী ভ্যালী পার্কে তিনি হাস্যরস পরিবেশনের মাধ্যমে সবাইকে আনন্দ এসে দিয়েছেন ।

    আরিওসা ১৫ বছর বয়স থেকে কৌতুকাভিনয় প্রদর্শন করতে শুরু করেছেন । নিজের মাতৃভূমিতে অনেক সাধনার পর তিনি বিখ্যাত হয়েছেন । তিনি জর্মানী , চীন ও অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশে অভিনয় করেছেন । নিজের মাতৃভূমির কথা বলতে তার খুব গর্ব হয় । তিনি বলেন , আমার জন্মস্থানে অনেকেই সার্কাসে অভিনয় করে । অন্য শহরের অনেক লোক বিশেষ করে আমার জন্মস্থানে গিয়ে সার্কাস শিখে আসে ।

    আরিওসা বলেন , আমি ভাঁড় পছন্দ করি । ভাঁড় মানুষকে খুশি করতে আর আনন্দ দিতে পারে । নাচ গান সব কিছুই ভাঁড়ামি করার সময়ই দেখানো যায় । আমি আশা করি আমার অভিনয়ের মাধ্যমে অন্যকে আনন্দ দিতে পারবো । ভাঁড়ের কথা হল প্রত্যেককে আনন্দ দান ।

    পেইচিংয়ের হ্যাপী ভ্যালী পার্কে আরিওসার প্রধান কাজ হল : প্রতিদিন সকাল ৯টায় পার্ক খোলার সময়ে প্রবেশদ্বারে পর্যটকের সঙ্গে আধ ঘন্টার কৌতুকাভিনয় প্রদর্শন করা , পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তোলা এবং পর্যটকদের আনন্দ দেয়া । দ্বিতীয় কাজ হল প্রতিদিন দুপুর ১২টায় পার্কের স্টেজে পর্যটদেরকে নিজের রচিত আন্তর্জাতিক কৌতুকাভিনয় দেখান ।

    যখন আরিওসা প্রথম হ্যাপী ভ্যালী আসেন , তখন তাঁর কাজ শুধু একটা ছিল , তা হল পর্যটকের সঙ্গে খেলাধুলা করা । তবে আরিওসা নিজের রচিত কৌতুকাভিনয় অনুষ্ঠান হাজার হাজার পর্যটককে দেখাতে যান । পরে তিনি সবেমাত্র শেখা চীনা ভাষা দিয়ে পার্কের প্রধানের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন । চিঠির প্রধান বিষয় হল "আমি একটি স্টেজ চাই" । এখন আরিওসার আশা বাস্তবায়িত হয়েছে । তাঁর অভিনয় অনেক পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে ।

    আরিওসা আনন্দের সঙ্গে বলেছেন , ২০০৬ সাল হল আমার সবচেয়ে খুশির বছর । প্রথম কারণ হল আমি পেইচিংয়ে এসেছি , দ্বিতীয় কারণ হল আমার মেয়ে চীনে জন্মগ্রহণ করেছে । তৃতীয় কারণ হল , আমার পরিবারের তিনজনই চীনে জন্মদিন উদযাপন করেছি ।

    গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর আরিওসার মেয়ে , একটি খুব সুন্দর রুশ মেয়ে কাটিউশা চীনে জন্মগ্রহণ করেছে । মেয়েটির জন্মগ্রহণের পর হ্যাপী ভ্যালী পার্কের চীনা বন্ধুরা কাটিউশার জন্য একটি জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করে । আরিওসা ও তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন ধরনের অনেক উপহার পেয়েছেন । তাঁরা এর জন্যও খুব খুশি এবং মুগ্ধ হয়েছেন । এর আগে আরিওসার স্ত্রীও চীনে জন্মদিন উদযাপন করেছেন । আমন্ত্রণে তাদের অনেক চীনা বন্ধু তাদের জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নিয়েছেন ।

    আরিওসার স্ত্রীও একজন নর্তকী এবং কৌতুকাভিনয় শিল্পী । তাঁরা একসঙ্গে পেইচিংয়ে এসেছেন এবং সবসময় একসঙ্গে কৌতুকাভিনয় পরিবেশন করেন । নিজের মেয়ে জন্মগ্রহণের চার দিন পরই আরিওসার স্ত্রী আবার কাজে ফিরে গিয়েছেন । কারণ তিনি স্বামীর সঙ্গে কাজ করতে চান । মজার ব্যাপার হল , মাঝে মাঝে অভিনয়নের স্থানে তাঁর পরিবারের তিন জনকেই দেখা যায় ।

    আরিওসা ইতোমধ্যেই পেইচিংকে তাঁর দ্বিতীয় মাতৃভূমি হিসাবে ঘোষণা করেছেন । তিনি বলেছেন , পেইচিং খুব বড় , খুব সুন্দর , এখানকার মানুষজন সবাই খুব বন্ধুত্বপূর্ণ । পেইচিংকে একটি সুন্দর শিল্প শহরও বলা যায়। আমি থিয়েন আন মেন মহাচত্ত্বর পছন্দ করি । পেইচিংয়ের বড় বড় শপিং কেন্দ্র পছন্দ করি । সেখানে সব জিনিস কিনতে পাওয়া যায় । যদিও প্রথম পেইচিংয়ে আসার পর তিনি চীনা খাবারের মধ্যে মরিচ থাকায় খেতে পারেন নি , তবে এখন তাঁর প্রিয় চীনা খাবার হল মরিচ দিয়ে ফ্রাই করা মাংস । তিনি বলেন , এখন আমি চীনের সব খাবার খেতে পারি । অবশেষে আরিওসা আশা করেন তিনি দীর্ঘকাল ধরে চীনে চাকরি করতে পারবেন । আরো বেশি চীনা বন্ধুদের হাসি আর আনন্দ গানে ভরে তুলতে পারবেন ।