v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-16 18:45:05    
চীন পূর্ব এশিয় সহযোগিতায় আসিয়ানের ভূমিকা সমর্থন করবে

cri

   চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও ১৫ জানুয়ারী ফিলিপাইনের কেবুতে দ্বিতীয় পূর্ব এশিয় শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন । ভাষণে তিনি পূর্ব এশিয় শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের দেশগুলোর অভিন্ন মত ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে বিভিন্ন দেশের মধ্যেকার সংহতি ও সহযোগিতাকে জোরদার করা , বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করা এবং এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা সম্পর্কে তিনটি প্রস্তাব পেশ করেছেন । তিনি উল্লেখ করেছেন, চীন আসিয়ানকে পূর্ব এশিয় সহযোগিতায় তার প্রধানভূমিকা পালন করতে সমর্থন করে ।

   বিভিন্ন দেশের উচিত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক আস্থা রাখা ও অভিন্নভাবে নিজেদের উন্নয়ন করা । অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক উপকারিতার ভিত্তিতে উভয়ের উন্নয়তির লক্ষে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পরস্পরের কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে অগ্রগতি লাভ করা । অর্থাত আসিয়ানের ১০টি দেশ ও চীনের মাধ্যমে আসিয়ানের ১০টি দেশ এবং চীন , জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রধান পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করে পূর্ব এশিয় শীর্ষ সম্মেলনের সুযোগে পরিপূর্ণভাবে আসিয়ান দেশগুলোর পরিচালনার ভূমিকা পালন করতে হবে এবং পূর্ব এশিয়ার অভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে ।

    পূর্ব এশিয়ার সহযোগিতায় চীনের অভিমত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও উপরোল্লেখিত মন্তব্য করেছেন । ১৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত পূর্ব এশিয় শীর্ষ সম্মেলনে ওয়েন চিয়াপাও " সহযোগিতার মাধ্যমে উভয়ের উন্নতিকরুন, হাতেহাত মিলিয়ে একসঙ্গেঅগ্রসর হন" শিরোনামে ভাষণ দিয়েছেন । এ সম্পর্কে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন কাং বলেছেন, ভাষণে তিনি পূর্ব এশিয়া সহযোগিতার দিক সম্পর্কে তিনটি প্রস্তাব পেশ করেছেন । এক , পূর্ব এশিয় সহযোগিতা অঞ্চলের অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বাস্তবায়িত করার জন্য সকলের সহযোগিতা থাকা উচিত । দুই , এই সহযোগিতা রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে সুষম সহাবস্থান ত্বরান্বিত করার এক সহযোগিতা থাকা উচিত । তিন , পূর্ব এশিয়ার সহযোগিতায় সামাজিক ব্যবস্থা, বৈচিত্র্যময় ও বহুমুখী সাংস্কৃতিক উন্নয়নের প্রতি সম্মান প্রদর্শনেরএকটি সহযোগিতাও থাকা উচিত ।

    ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মালয়েশিয়া সাফল্যের সঙ্গে প্রথম পূর্ব এশিয় শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করার পর এই নতুন ফোরাম ব্যাপক ক্ষেত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । পূর্ব এশিয় সহযোগিতার লক্ষ্য হল আঞ্চলিক শান্তি , স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা । এই অঞ্চলের নানান সহযোগিতা সম্পর্কে চীন সবসময় সক্রিয় মনোভাব পোষণ করে এবং আসিয়ানের প্রধান ভূমিকা ও মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে । যে মনোভাব ও প্রস্তাব আঞ্চলিক সহযোগিতার উন্নয়নে সহায়ক হবে সে সব মনোভাব ও প্রস্তাব চীন উন্মুক্তভাবে বিবেচনা করে । সুতরাং চীন পূর্ব এশিয় শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনকে সমর্থন করে । যাতে সম্মেলনটি আঞ্চলিক সহযোগিতার এক নতুন মঞ্চে পরিণত হতে পারে ।

    ছিন কাং বলেছেন , প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও তাঁর ভাষণে চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ সম্পর্কেও বর্ণণা করেছেন ।সংস্কার ও উন্মুক্ততার নীতি চালু হওয়ার ৩০ বছরে এক নির্ভূল উন্নয়নের পথ শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ বেছে নেয়ার কারণে চীনের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেআকর্ষণীয় সাফল্য আর্জিত হয়েছে । ছিন কাং বলেছেন , তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, উন্নয়ন চীনের প্রধান কর্তব্য । উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় চীনের যেমন শান্তি , বন্ধুর পাশাপাশি সহযোগিতাও দরকার । চীন এশিয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য , অর্থবিনিয়োগ ও সাহায্য সম্প্রসারিত করবে । এশিয়ার অন্যান্য দেশের স্বার্থের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করে মিলিতভাবে এক সুষম ও সমৃদ্ধিশালী এশিয়া গড়ে তুলবে ।

    তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও ভাষণে জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তা , তহবিল, শিক্ষা, বার্ডফ্লু, দারিদ্র্য বিমোচন সহ বেশ কয়েকটি প্রধান বিষয় নিয়ে এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা সম্পর্কে বিভিন্ন পক্ষের প্রস্তাব ব্যাখ্যা করেছেন । তিনি বলেছেন , বিভিন্ন পক্ষ জ্বালানী সম্পদ ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে এবং ব্যবহারকারী দেশ ও উত্পাদনকারী দেশের মধ্যেকার সংলাপ ও নীতিকে সমন্বয়ও জোরদার করবে । অভিন্নভাবে এই অঞ্চলেরজ্বালানী সম্পদ বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে । এই সব ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করা বিভিন্ন দেশের স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং পূর্ব এশিয় সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রেগুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে ।