v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-16 16:13:36    
সংস্কৃতি তথ্য উপভোগ প্রকল্প প্রতিষ্ঠায় গ্রামবাসীরা উপকৃত হবেন

cri
    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের পল্লী অঞ্চল ও শহরের ব্যবধানের কথা অনেকেই বলেন । এই ধরনের ব্যবধান শুধু অথর্নৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানে প্রতিফলিত হয় নি , সাংস্কৃতিক জীবনেও লক্ষণীয় । চীন সরকার উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে পল্লী অঞ্চল ও শহরের সাংস্কৃতিক ব্যবধান কমিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ।

    সান ছা মহকুমা হচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিম চীনের কুই চৌ প্রদেশের চুন ই জেলার একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ী মহকুমা । দু বছর আগে চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় মিলিতভাবে এই মহকুমায় একটি সাংস্কৃতিক তথ্য উপভোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে । এই কেন্দ্র একটি কম্পিউটার , একটি সিনেমা প্রজেক্টর ও অনেক ডিজিটাল তথ্য আছে । এই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দিন থেকে এ কেন্দ্র গ্রামবাসীদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে । এই কেন্দ্রের প্রধান লো কান আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন , এই মহকুমায় ৩০ হাজার অধিবাসী থাকেন । এ মহকুমার যে কোনো একটি গ্রাম আমাদের ডাকলে আমরা গাড়ী চালিয়ে কম্পিউটার নিয়ে সেখানে যাই । আমরা গ্রামে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় চাষাবাদের কৌশল , গবাদি পশু পালনের পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য ও ছায়াছবি দেখাই । স্থানীয় কৃষকরা এই ধরনের ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন ।

    জানা গেছে , এই ধরনের কেন্দ্র সমগ্র দেশের পল্লী অঞ্চলে ৬ হাজারটি আছে । এটা চীন সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতি তথ্য যৌথ উপভোগ প্রকল্পের একটি অংশ । ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে চীন সরকার এই প্রকল্প শুরু করে । এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংস্কৃতি ও চাষাবাদের তথ্য সংগ্রহ করে ওয়েবসাইট ও উপগ্রহের মাধ্যমে সমগ্র দেশে , বিশেষ করে প্রত্যন্ত ও অনুন্নত অঞ্চলে পাঠানো , যাতে সেখানকার অধিবাসীরা এ সব আধুনিক তথ্য কাজে লাগানোর সুযোগ পায় ।

    একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , এখন চীনে গড়পড়তা হারে প্রতি ৪ লাখ ৬০ হাজার লোকের জন্য একটি লাইব্রেরী আছে । প্রতি বছর যারা থিয়েটারে অপেরা বা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন , এমন লোকের সংখ্যা মাত্র সমগ্র দেশের লোকসংখ্যার তিন শতাংশ , যারা যাদুঘর পরিদর্শন করেন , তাদের সংখ্যা সমগ্র দেশের লোকসংখ্যার ৬ শতাংশ মাত্র । সংস্কৃতি তথ্য উপভোগ প্রকল্পের নেতৃত্ব গ্রুপের উপপ্রধান , চীনের উপসংস্কৃতি মন্ত্রী চৌ হে ফিং বলেছেন , সমগ্র দেশে সংস্কৃতি তথ্য উপভোগ প্রকল্প চালু হওয়ার পর এ অবস্থার পরিবর্তিত হবে । তিনি বলেছেন , চীনের সাংস্কৃতিক গঠনকাজের পশ্চাদপদ অবস্থা এবং উন্নয়নের ভারসাম্যহীন অবস্থা সাংস্কৃতিক তথ্যের প্রচারে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । ব্যাপক জনসাধারণ , বিশেষ করে গরীব ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের বইপত্র ও চলচ্চিত্র উপভোগের সমস্যা এখনও প্রকট । তাই সংস্কৃতি তথ্য উপভোগ প্রকল্প বুনিয়াদি স্তরের অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে । বমর্তানে এই প্রকল্প সমগ্র দেশের ৩২টি প্রদেশের জেলা ও মহকুমায় কয়েক হাজার পরিসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে ।

    শহরের নাগরিকরা ইন্টারনেট থেকে জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন না এবং স্বত্বাধিকার সম্পন্ন পুরো বই পড়তে পারেন না । তবে পল্লী অঞ্চলের গ্রামবাসীরা সংস্কৃতি উপভোগ প্রকল্পের তথ্য ভান্ডার থেকে উচ্চমানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নতুন বই পড়তে পারেন । চীনের সংস্কৃতি তথ্য উপভোগ প্রকল্পের জাতীয় কমিটির প্রধান চান ইয়েন পো বলেছেন , এই প্রকল্প অঞ্চল ও সময় উত্তীর্ণ এক সাংস্কৃতিক তথ্য প্রচারের পথ সৃষ্টি করেছে । এই প্রকল্প চীনের বিস্তীর্ণ পল্লী অঞ্চলের কৃষকের সাংস্কৃতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করা এবং গ্রামাঞ্চলের পশ্চাদপদ অথর্নৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে সাহায্য করবে ।

    তিনি বলেছেন , আমাদের লক্ষ্য হলো ২০১০ সালে সমগ্র দেশের সব জেলা ও মহকুমায় সংস্কৃতি তথ্য উপভোগ কেন্দ্র এবং দেশের অধর্কে গ্রামে এ ধরনের কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা । চীনের প্রায় সাত লাখ গ্রাম আছে , ২০১০ সালে সাড়ে তিন লাখ গ্রামে এই ধরনের তথ্য উপভোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে ।

    চান ইয়েন পো বলেছেন , চীনের কমিউনিস্ট পার্টি স্পষ্ট ভাবে সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠার শ্লোগান তুলেছে । সংস্কৃতি তথ্য উপভোগ প্রকল্প সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা । সরকারের অর্থবরাদ্দে প্রতিষ্ঠিত এ প্রকল্প শহর ও গ্রামের অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক জীবন আরো সমৃদ্ধ করতে এবং তাদের সাংস্কৃতিক মান উন্নত করতে সহায়ক হবে ।