v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-12 16:35:39    
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটে উন্নতি দেখা দিয়েছে

cri
    ১১ জানুয়ারী বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ সারা দেশে জরুরী অবস্থা জারী করার কথা ঘোষণা করার অল্প সময় পর মহা ঐক্য জোটের দাবী গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন। মহা জোটের দাবী এই যে, সাধারণ নিবার্চন যাতে ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেই জন্য সাধারণ নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতে হবে এবং প্রেসিডেন্টকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানউপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। পযর্বেক্ষকরা মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের দু' মাসব্যাপী রাজনৈতিক সংকটের কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

    ১১ জানুয়ারী ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ সারা বাংলাদেশে জরুরী অবস্থা জারি করার কথা ঘোষণা করেছেন। সহিংসতার তীব্রতা প্রতিরোধের জন্য রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রায় ৬০টি শহরে কারফিউ বলবত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জরুরী অবস্থা চলাকালে নাগরিকদের সমস্ত আচরণ নিষিদ্ধ এবং নানা রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন চালাতে অনুমোদন দেওয়া হবে না। ১০ জানুয়ারী প্রায় ৬০ হাজার সৈন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সারা দেশে জরুরী অবস্থা জারি করার কথা ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ মুখপাত্রের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেয়ার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন ।সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ফজলুল হক সাময়িকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন এবং সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ৯জন সদস্য ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকবেন।

    গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে মহা ঐক্য জোটের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তখন ক্ষমতাসীন পাটি বি এন পির নেতৃত্বাধীন ৪টি জোট সরকারের কার্যমেয়াদ শেষ হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃতাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নিবার্চন সম্পন্ন করা এবং নির্বাচনের পর নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতাহস্তান্তর করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সহ বিরোধী পাটিগুলো মনে করে , বি এন পির সঙ্গে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সম্পর্ক নিবিড়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সারধারণ নিবার্চনে নিরপেক্ষাতা বজায় রাখতে পারবে না। সুতরাং গত বছরের নভেম্বর মাসের পর তত্ত্বাবধান সরকারের উপর চাপ দেওয়ার জন্যে আওয়ামী লীগের আহ্বানে সারা দেশে বেশ কয়েক বার হরতাল ও অবরোধ পালিত হয়েছে । যার ফলে সারা দেশে দাঙ্গাহাঙ্গামা দেখা দিয়েছে। এ পযর্ন্ত কমপক্ষে ৪৫জন লোক দাঙ্গাহাঙ্গামায় প্রাণ হারিয়েছে। বাংলাদেশের রফতানিমুখী শিল্প বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্প অবরোধে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    মহা ঐক্য জোট সার্ধারন নির্বাচন থেকে বেরিয়ে আসার পর যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং ক্যানাডা অবিরাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে এসেছে। তারা বলেছে, যদি মহা জোট সাধারণ নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে তারা নির্বাচনের ফলাফল স্বীকার করবে না।

   গত বছরের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক একজন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়া ও হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন । ১১ জানুয়ারী জাতি সংঘ মহা সচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্দেশ্যে সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন , বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ মনোভাব পোষণ করবে , বিচার বিভাগ সংযম রাখবে এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান করবে। বর্তমানে জাতি সংঘ, ইইউ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে কারিগরি সমর্থন দেখাবে। এবং বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরকে পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছে।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদি বিরোধী পাটিগুলো বিচারপতি ফাজলুল হকের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজে অসন্তোষ্ট প্রকাশ করে তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত থাকবে।