v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-12 15:30:01    
সাদ্দাম হোসেনকে বিচারের প্রক্রিয়া

cri
    ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর , মার্কিন বাহিনী ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে তার জন্মস্থান তিকরিত থেকে গ্রেফতার করে।

    ২০০৪ সালের ৮ মে, সাদ্দামের আইনজীবী দল জর্দানের রাজধানী আম্মানে গঠিত হয়।

    ২০০৪ সালের ৩০ জুন, মার্কিন বাহিনী সাদ্দামের ক্ষমতা ইরাকের অস্থায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।

    ২০০৪ সালের ১ জুলাই, ইরাকের অস্থায়ী সরকার গঠিত বিশেষ বিচারালয়কে অস্বীকার করেছেন।

    ২০০৫ সালের ১৩ জুলাই, ইরাকের বিশেষ বিচারলয়ে সাদ্দামকে ১৯৮২ সালে উত্তর-পূর্ব বাগদাদের দুজাইল গ্রামের শিয়াপন্থীদের হত্যা করার অপরাধে অভিযুক্ত করে।

    ২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর সাদ্দাম ও তার ক্ষমতাসীন সাবেক সরকারের ৭ জন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার প্রথম বারের মতো ইরাকের উচ্চ বিচারলয়ে বিচার হয়েছে।

    ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর, সাদ্দামের সঙ্গে বিচারাধীন ৭ জন সাবেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার মধ্যে একজন আওয়াদ হামেদ আল-বান্দারের উকিল হত্যাকান্ডের শিকার হয়।

    ২০০৫ সালের ৮ নভেম্বর, সাদ্দামের আইনজীবী দল গাড়ি হামলার শিকার হয়। এতে একজন আইনজীবী আদেল আল-জুবেইদি প্রাণ হারায়, আরেক জন আহত হয়।

    ২০০৬ সালের ১৫ জানুয়ারী, সাদ্দামের মামলার প্রধান বিচারক রিজগার মোহাম্মেদ আমিন "ব্যক্তিগত" কারণে পদত্যাগ করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি চাপের কারণে পদত্যাগ করেছেন।

    ২০০৬ সালের ২৩ জানুয়ারী, রাউফ আব্দেল রাহমান সাদ্দামের মামলার প্রধান বিচারক নিযুক্ত হন।

    ২০০৬ সালের ১৫ মে, রাউফ আব্দেল রাহমান সাদ্দামকে দুজাইল গ্রামে অবৈধ্যভাবে গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করে গ্রামটি ধ্বংস করার জন্য অভিযুক্ত করে। সাদ্দাম এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

    ২০০৬ সালের ১৯ জুন, সাদ্দামের বিচার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে, তাঁকে ফাঁসি দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

    ২০০৬ সালের ২১ জুন, সাদ্দামের উকিল খমিস আল-ওবেইদি একটি হত্যাকান্ডের শিকার করেন।

    ২০০৬ সালের ২৬ জুলাই, সাদ্দাম ফাঁসির পরিবর্তে গুলিতে মারা যাওয়ার অনুরোধ দিয়েছেন।

    ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট, সাদ্দামের দ্বিতীয় মামলা "আনফাল" মামলার বিচার শুরু হয়। সাদ্দাম এই অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন।

২০০৬ সালের ৫ নভেম্বর, বিচারালয়ে সাদ্দামকে ফাঁসি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ।

২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর, ইরাকের আপীল আদালত সাদ্দামকে দুজাইল গ্রামের মামলার ফাঁসির সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, বিচারের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে হয়।

২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর, সাদ্দামের ফাঁসি হয়ে যায়।