v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-01-12 14:57:32    
আলেয়া ফেরদৌসীর সাক্ষাত্কারের দ্বিতীয় অংশ

cri
প্রঃ আপনি একজন নামকরা নাট্যাভিনেত্রী হওয়া সত্বেও কিভাবে নারী ক্রীড়া জগতে এলেন?

উঃ আমি খেলাধূলার শিক্ষিকা হিসাবে কাজ শুরু করি প্রথমে। আমার এই খেলাধূলার শিক্ষিকা হিসাবে কাজ এবং নাটকের অন্তর্ভুক্তি, দুটোই একসঙ্গে। ১৯৬৬ সালে আমি চাকরীতে ঢুকি এবং নাটকের অভিনয়ও পুরোপুরিভাবে শুরু করি। টেলিভিশনেও নাটক আমি ১৯৬৬ সালেই শুরু করি। যার জন্য আমার চাকরীটা ছিল ক্রীড়াঙ্গনের এবং অভিনয় জগত্ ছিল আলাদা। যেহেতু এটা মিডিয়ার ব্যাপার এবং সবাই আমাকে জানে যে আমি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কিন্তু আমার চাকরীটা ছিল মাঠে ময়দানের , সেহেতু মাঠে ময়দানের খবরটা সবাই ভালো করে জানতো না। অনেকেই মনে করতো উনিতো শিক্ষক , উনি চাকরী করছেন। পরে চাকরী করতে করতে আমি সাংগঠনিক কাজে জড়িয়ে যাই ক্রীড়া ক্ষেত্রে। অভিনয়টা আলাদাই ছিল। চাকরীর পরে আমার যে সময়টুকু থাকতো , সেই সময়টুকু আমার অভিনয়ে দিতাম। আবার সময় পেলে আমি সাংগঠনিক কাজে মন দিতাম। এই ভাবে আমি সাংগঠনিক কাজের সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে যাই। ওতপ্রোত ভাবেই জড়িয়ে যাই। এবং এই জড়ানোটাই ক্রীড়াঙ্গনে আমাকে নিবেদিত প্রাণ করে ফেলেছে। আমার এখন মনে হয় যেন এটা আমার নেশা। আমি ছাড়তে পারি না। নাটকও তেমন, নেশা ছাড়তে পারি না। আমার সবটাই নেশার মত এখন। আমি ঘরের কাজ সেরে, সব কিছু সেরে আমি ক্রীড়াঙ্গনে কাজ করি ও অভিনয়ের জন্য সময় দেই।

প্রঃ আপনার নিজের পছন্দনীয় খেলা কি কি? এবং কখনো আপনি মাঠে নেমেছেন?

উঃ আমিতো মাঠে খেলাধূলা করেছি যখন আমি ফিজিকাল এডুকেশন কলেজে ট্রেনিং এর জন্য যাই। ট্রোনিং যখন শেষ হয় আমি জিমন্যাষ্টিক্স-এ এ গ্রেডের নম্বর পেয়েছি। তারপরে ভলিবলে এ গ্রেডের নম্বর পেয়েছি। এথেলেটিক্সে এ গ্রেডের নম্বর পেয়েছি এবং আপনার সফটবলে এ গ্রেডের নম্বর পেয়েছি। এভাবে ম্যাক্সিমাম সাবজেক্টেই আমি এ গ্রেডের নম্বর পেয়েছি। এবং মেয়েদের মধ্যে আমি ফার্ষ্ট হয়েছি। তারপরেই আমার শিক্ষকরা চাইলেন যে আমি যেন ঢাকায় থাকি এবং ঢাকায় থেকে কাজ করি। আমি যেন আমার নিজের ডিস্ট্রিক্টে না চলে যাই। ওনারাই আমার জন্য চাকরী ঠিক করলেন এবং চাকরী ঠিক করে আমাকে ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। এভাবেই আমার ঢাকায় থাকা। তারপরে খেলাধূলার ক্ষেত্রে আমি ব্যডমিন্টন ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেখানে আমি আপনাদের চাইনিজ কোচের অধীনে ট্রেনিং নিয়েছি ব্যাডমিন্টনে। এথেলেটিক্সে আমি একবার ন্যাশনাল পার্টিসিপেটে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। যদিও কোন পুরস্কার পাই নি। আমি মেয়েদের স্কুল ভলিবল বাংলাদেশে শুরু করি প্রথম এবং মেয়েদের ফুটবলও আমি প্রথম শুরু করেছিলাম। ভলিবলে যখন মেয়েরা ন্যাশনাল খেলা শুরু করলো তখনও সব দলের মেয়েরা সেভাবে তৈরী হয় নি। আমার মেয়েরা সাহস পেত না খেলার জন্যে। ওদের জন্যে মাঝে মাঝে আমাকে ঐ টিমে খেলতে হতো।

প্রঃ এটা কোন সালের কথা?

উঃ এটা ১৯৭১ এর পরে এই ধরুন ১৯৭৪ বা ৭৫ হবে।

প্রঃ আমার জানামতে বাংলাদেশে অনেক নারী বিয়ে হয়ে যাবার পর বাসায় গৃতিনী হয়ে যায় আর বাইরে চাকরী করে না। কিন্তু আপনার মত যে বাইরে বিশেষ করে খেলার মাঠে ও নাটকের ক্ষেত্রে সব দিকেই সাফল্য অর্জন করেছে। এমন লোকতো খুবই কম , তাই না?

উঃ আসলে হচ্ছে, আজকাল যে মেয়েরা বেডুচ্ছে না তা না। তবে হ্যাঁ পারবারিক দিক থেকে অনেক মেয়ের ইচ্ছে থাকলেও পারে না আসতে। তবে পারিবারিক দিক থেকে আমি কোন বাঁধা পাই নি। আমার বাবা মা আমাকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এবং আমার স্বামীও আমাকে ভিষণভাবে স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমাকে কখনো কোন কাজে বাঁধা দেন না। এই যে আমি চলে এলাম। এর আগে আমি জাপানে গিয়েছি, কমুমতুতে গিয়েছি। আমি যখন কাজ করি তখন কখনো হয়তো রাত দশটায়, আবার কখনো রাত ১১টায় ফিরি, উনি কখনো বলেন না, যে কেন তুমি এত রাত করে ফিরলে? হয়তো কখনো কখনো বলেন, তুমি এত কাজ করছো শরীর তোমার টিকবে না। শরীরের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এটুকুই শুধু বলেন। আর কিছু বলেন না।

প্রঃ এদিক থেকে আপনিতো খুব সৌভাগবান।

উঃ আমি খুবই সৌভাগ্যবান। এদিক থেকে আল্লাহ আমাকে খুব সুখী রেখেছেন।

প্রঃ আশা করি , আপনার এ অনুষ্ঠান প্রচারের সময় আপনার স্বামীও শুনবেন।

উঃ আশা করি শুনবেন। আমার সব কাজেই তিনি যথেষ্ট সহযোগিতা করেন ঘরেও সহযোগিতা করেন।

প্রঃ: আপনার মাধ্যমে আপনার স্বামীকে আমার সালাম দেবেন তার সমর্থনের জন্য।

উঃ দেবো। অবশ্যই দেবো।