চীনের কমিউনিষ্ট পাটির কেন্দ্রীয় শৃংখলা ও পরীক্ষা কমিশনের সপ্তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ১০ জানুয়ারী পেইচিংএ শেষ হয়েছে। নবর্বষের শুরুতে এটা হল দুর্নীতি দমন নিয়ে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির আয়োজিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন। চীনের ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সত সরকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রেন জিয়েন মিন মনে করেন, একটি সত ও সুষম সসাজ গড়ে তোলা দুর্নীতি দমন করার লক্ষ্য। এবারের অধিবেশনে দুর্নীতি দমন কাজকে সুষম সমাজ গড়ে তোলার নিশ্চয়তা বলে মনে করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে চীনের দুর্নীতি দমন কাজে নি:সন্দেহে সাফল্য অর্জিত হবে। একটি সুষম সমাজ নিশ্চয়ই বাস্তবায়িত হবে। এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার লেখা একটি রির্পোট।
৮ জানুয়ারী চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় শৃংখলা ও পরীক্ষা কমিশনের সপ্তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী এ অধিবেশনে গত এক বছরের দুর্নীতি দমন কাজের পযার্লোচনা করা হয়েছে এবং পরর্বতী এক বছরের দুর্নীতি দমন কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অধিবেশনে মনে করা হয়েছে যে, ২০০৬ সালে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির রীতিনীতি , সত সরকারের গঠন কাজ এবং দুর্নীতি দমন ক্ষেত্রে নতুন অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ছিনহুওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধাপক রেন জিয়েন মিন মনে করেন, গত এক বছরে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির দুর্নীতি দমন কাজে তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তিনি বলেছেন,
প্রথম বৈশিষ্ট্য হল, বিশেষ অভিযানে বাণিজ্যিক ঘুষ প্রথারউপর দমন কাজ চালানো হয়েছে, দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হল , কয়েকটি বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে এবং তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হল, জনসাধারণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি এবং অসততার দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
২০০৬ সালে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । যার ফলে ব্যাপক জনসাধারণের মধ্যে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। চীনের ক্ষমতাসীন পাটি হিসেবে চীনের কমিউনিষ্ট পাটি সবর্দাই দুর্নীতি দমনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে এসেছে। গত ১০ জানুয়ারী এবারের অধিবেশনে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির সাধারণ সম্পাদক হু চিন থাও জোর দিয়ে বলেছেন, সুষম সমাজ গড়ে তুলতে নেতৃবৃন্দের কর্ম রীতিনীতির গঠন কাজ সার্বিকভাবে জোরদার হওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে অধাপক রেন এভাবে উপলদ্ধি করেছেন,
দুর্নিতি দমন আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য নয় বরং একটি উপলদ্ধি। একটি সত ও সুষম সমাজ গড়ে তোলা আমাদের কাজকর্মের লক্ষ্য। এবারের অধিবেশনে দুর্নীতি দমন কাজকে সুষম সমাজ গড়ে তোলার নিশ্চয়তা বলে মনে করা হয়েছে। এতে প্রতিপন্ন হয়েছে যে চীনের কমিউনিষ্ট পাটি দুর্নীতি দমনের দিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। দুর্নীতি দূর করতে না পারলে সুষম সমাজ গড়ে তোলা অসম্ভব।
হু চিন থাও তাঁর ভাষণে মনে করেন , বতর্মানে পাটির রীতিনীতি ও সত সরকার গঠন এবং দুর্নীতি দমনের সংগ্রাম এখনও কঠোর। তিনি মনে করেন, দুর্নীতি দমন কাজ গভীরে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে চার দিকে কাজ করতে হবে। প্রথমত: নেতৃবৃন্দের শিক্ষাদান আরও জোরদার করতে হবে; দ্বিতীয়ত: বড় বড় ঘটনার তদন্ত কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে ; তৃতীয়ত: জনসাধারণের স্বার্থ ক্ষতিকারী অসুভ্যতা ও কুআচরণ সংশোধন করতে হবে ওবং চতুর্থত দুর্নীতি দমন ও সত সরকার গঠন কাজের কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দুর্নীতি দমনে চীনের কমিউনিষ্ট পাটি যে দৃঢ়সংকল্প গ্রহণে ও উদ্যোগ নিয়েছে সে সম্বন্ধে অধাপক রেন অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি বলেছেন,
গত ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দুর্নীতি দমনের একটি কৌশলগত ব্যবস্থা মোটামুটি খুঁজে বের করেছি। কিন্তু দুর্নীতি দমনে অনেক পথ যেতে হবে। কিন্তু আমি মনে করি, ভবিষ্যতে চীন দুর্নীতি দমন ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করতে পারবে। একটি সুষম সমাজ অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। এ সম্বন্ধে আমি আশাবা
|